নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কোনো লেখক নই। শুধুমাত্র মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি একজন সাধারন মানুষ

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিকারি শিকারে

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

অধ্যায় ১: অতীতের ছায়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির এক নিরিবিলি কোণে বসে সজীব পড়াশোনা করছিল। তার চশমার কাঁচে জ্বলজ্বল করছিল বাতির আলো। কিন্তু চোখে একটা অস্থিরতা ছিল। বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে তার মনে ভেসে উঠছিল অতীতের কঠিন দিনগুলো। বাবা-মাকে ছোটবেলায় হারিয়ে সে দূর সম্পর্কের নিঃসন্তান চাচা-চাচীর আশ্রয়ে বড় হয়েছিল। কিন্তু চাচী তার প্রতি কখনো মায়ের মতো আচরণ করেননি। বরং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন তার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সজীবের চাচা-চাচীর একমাত্র উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তার চাচী তাকে পছন্দ করত না। চাচীর বোনের ছেলে কোরবান আলীকেই সে তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বানাতে চাইত। চাচার মৃত্যুর পর কোরবান আলী আর তার চাচী মিলে সজীবকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সজীবের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছিল।

অধ্যায় ২: প্রতিশোধের পথে

সজীব তার চাচীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এক রাতে সে চাচীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অন্ধকার ঘরে সজীবের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। হঠাৎ সে একটি ঘরে একজন মানুষকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে। চাচী জানায় সে তার এক আত্মীয়।

সেই রাতে ঘটনাচক্রে সজীবের শরীরে একটা অদ্ভুত গন্ধ বের হতে থাকে। সেই গন্ধ শুনে ঘুম থেকে ওঠা মানুষটি সজীবের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সজীব জীবন বাঁচাতে পালাতে চায় কিন্তু কোরবান আলী তাকে ধরে ফেলে। তিনজনে মিলে তার হাত-পা বেঁধে দেয় এবং পরে তাকে হত্যা করে।

অধ্যায় ৩: রহস্যের জাল

সজীবের মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ মামলা নেয়। তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু সজীবের হত্যাকারীদের সন্ধান পাওয়া যায় না।

এদিকে, সজীবের মৃত্যুর পর তার চাচী ও কোরবান আলীর আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারা সজীবের সম্পত্তি দখল করে নেয়। কিন্তু তাদের মনে একটা ভয় কাজ করতে থাকে। সজীবের আত্মা তাদের শাস্তি দিতে আসবে বলে তারা ভয় পায়।

অধ্যায় ৪: সত্যের উন্মোচন

এদিকে, একজন তরুণ ডিটেকটিভ এই মামলার তদন্তে নিযুক্ত হয়। সে সজীবের অতীত খুঁটিয়ে দেখতে থাকে। সে জানতে পারে সজীবের চাচী ও কোরবান আলী সজীবের প্রতি কতটা নিষ্ঠুর ছিল। ডিটেকটিভ ধীরে ধীরে সত্যের কাছে পৌঁছে যায়। সে বুঝতে পারে সজীবের মৃত্যুর পেছনে চাচী ও কোরবান আলীর হাত রয়েছে।

ডিটেকটিভের জালে আটকা পড়ে চাচী ও কোরবান আলী। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে। এইভাবে একজন শিকারি শিকারে পরিণত হয়।

উপসংহার:

এই গল্পটি প্রতিশোধের ভয়াবহ পরিণতির কথা বলে। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে প্রতিশোধের পথে হেঁটে আমরা নিজেরাই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাই। সজীবের মতো আমাদেরও কখনো কখনো অতীতের ক্ষত বহন করে চলতে হয়। কিন্তু এই ক্ষতকে আমাদের মনে জায়গা দিয়ে রাখা উচিত নয়। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

বিঃদ্রঃ: এই গল্পটি কল্পনাপ্রসূত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:


এক সময় নীহার রঞ্জন গুপ্তের রহস্য উপন্যাস পড়তাম।
কিরীটি রায় ছিল বাংলার শারলোক হোমস।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: Thanks for reading my post

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.