নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হ্যালো! আমি শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি, যার পেশাগত জীবন মানবসম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনায় নিবেদিত। আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে, যা আমাকে আরও দৃঢ় এবং সফল হতে প্রেরণা জুগিয়েছে।\nজাত

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে আলুর বাজার: উৎপাদন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত এক বিশ্লেষণ

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আলু: স্বাদে মিষ্টি, বাজারে কেন এত তিক্ততা?

আলু, বাংলাদেশী খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমনভাবে যেন এই সাধারণ খাদ্যই হয়ে উঠেছে বিলাসিতার বস্তু। উৎপাদন বৃদ্ধির পরও কেন আলুর দাম এত বেড়েছে? আসুন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।

উৎপাদন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত:

উৎপাদন: বাংলাদেশে আলুর উৎপাদন বছরের পর বছর বাড়ছে। কৃষকরা আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে আলু চাষ করছেন। কিন্তু উৎপাদিত আলু সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
মধ্যস্থতাকারী: কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে আলু পৌঁছাতে অনেক মধ্যস্থতাকারীর হাত দিয়ে যেতে হয়। প্রতিটি পর্যায়ে আলুর দাম বাড়তে থাকে।
কোল্ড স্টোরেজ: কোল্ড স্টোরেজ মালিকরাও বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা আলু মজুদ করে রেখে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে।
পরিবহন ব্যয়: পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিও আলুর দাম বাড়ার একটি কারণ।
বাজার ব্যবস্থাপনা: দেশের বাজার ব্যবস্থাপনা এখনো আধুনিক নয়। ফলে মজুদদারি, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা সহজ হয়।
সরকারি নীতি: সরকারের নীতিগত জটিলতাও বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।

বাজার অস্থিরতার কারণ:

সিন্ডিকেট: আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।
মজুদদারি: কোল্ড স্টোরেজে অতিরিক্ত আলু মজুদ করে দাম বাড়ানো হয়।
পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি: ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, রাস্তার অবস্থা খারাপ ইত্যাদি কারণে পরিবহন ব্যয় বাড়ে।
দুর্নীতি: বাজার মনিটরিংয়ের অভাব এবং দুর্নীতির কারণে বাজারে অনিয়ম চলে।

সমাধান:

সরাসরি বিক্রয়: কৃষকদের সরাসরি বাজারে আলু বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা।
মধ্যস্থতাকারী কমানো: মধ্যস্থতাকারীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।
কোল্ড স্টোরেজ নিয়ন্ত্রণ: কোল্ড স্টোরেজের উপর কঠোর নজরদারি রাখা।
বাজার মনিটরিং: বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা।
দুর্নীতি দমন: বাজারে দুর্নীতি দমন করা।
কৃষকদের প্রশিক্ষণ: কৃষকদের আধুনিক কৃষি পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া।
সরকারি সহযোগিতা: কৃষকদের সরকারি সহযোগিতা বাড়ানো।

উপসংহার:

আলুর বাজারের অস্থিরতা একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সরকার, কৃষক, ব্যবসায়ী সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারকে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষকদেরকে আধুনিক কৃষি পদ্ধতির দিকে উৎসাহিত করতে হবে। ব্যবসায়ীদেরকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে হবে। শুধু তাহলেই আমরা আলুর দাম স্থিতিশীল রাখতে পারব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রামানিক বলেছেন: আগে আলু পঁচে যেত এখন আলু মানুষ পায় না

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: অসৎ ব্যবসায়ী এবং মজুদদারদের রোধ করতে হবে একই সাথে বাজারে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করতে হবে। তাহলেই জনসাধারন এর সুফল পাবেন।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আলু নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। আমি এক ব্যবসায়ী থেক্ব ৬০ টাকা কিলো পুরাতন আলু ক্রয় করতে যাবো এমন সময় কতিপয় লোক এসে সেই আলু ব্যবসায়ী কে মারধর শুরু করে। তাদের বলতে শুনি কেন সবাই ৭০ টাকা কিলো বিক্রি করলেও সে ৬০ টাকায় বিক্রি করছে? বুঝেন অবস্থা!

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সম্ভবত এই এলাকায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কোনও সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা সব ব্যবসায়ীকে একই দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.