নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Blogger | Law Student | Human Rights Activist”

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিএসপি সুবিধা, শ্রম অধিকার এবং বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প: একটি জটিল সমীকরণ

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার। এই বাজারে প্রবেশাধিকার এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বজায় রাখতে জিএসপি (Generalized System of Preferences) সুবিধা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সুবিধা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বা কম শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ দেয়

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বানিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত ১১ দফা বাস্তবায়নের চাপ দিয়েছে। এতে ট্রেড ইউনিয়ন করার শর্ত শিথিল করা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দাবিগুলো জিএসপি সুবিধার সাথে জড়িত, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এই সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।

এই পরিস্থিতির গার্মেন্ট সেক্টরে প্রভাব:

* জিএসপি সুবিধা হারানোর ঝুঁকি: যদি বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের শর্তাবলী পূরণ না করে, তাহলে জিএসপি সুবিধা হারাতে পারে। এতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে এবং ফলে আমাদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা কমে যাবে।

* রপ্তানি আয় কমে যাওয়া: জিএসপি সুবিধা হারালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

* কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া: গার্মেন্ট শিল্প বাংলাদেশের একটি প্রধান কর্মসংস্থানের উৎস। রপ্তানি কমে গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে যাবে।

* পরিবর্তনের চাপ: এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পকে পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিবে। কারখানাগুলোকে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে।

* নতুন সুযোগ: এই পরিবর্তনকে সুযোগ হিসেবেও নেওয়া যায়। যদি বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে গার্মেন্ট শিল্প আরও টেকসই হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ইমেজ উন্নত হবে।

উপসংহার:

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ভবিষ্যৎ জিএসপি সুবিধা এবং শ্রম অধিকারের মধ্যকার সম্পর্কের উপর নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে বাংলাদেশকে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো কঠিন হলেও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের জন্য উপকারী হতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই, আমার লেখাগুলো পড়বেন ভাই ❤️

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! অবশ্যই, আমি আপনার লেখাগুলো পড়তে আগ্রহী। আপনার লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, আমি পড়ে দেখবো। ❤️

ধন্যবাদ!

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: পোশাক খাতে আমাদের রপ্তানী কমবে।প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার মতে সাময়িক সমস্যা হবে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হবে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

মুনতাসির বলেছেন: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যেখানে জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো প্রধান বাজার।

প্রতিযোগিতা আসবে। সেটাই তো ভাল। যে পারবে, সে থাকবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতা অবশ্যই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি আমাদের শিল্পকে আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে সহায়ক। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের মান উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.