নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার। এই বাজারে প্রবেশাধিকার এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বজায় রাখতে জিএসপি (Generalized System of Preferences) সুবিধা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সুবিধা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বা কম শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ দেয়
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বানিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত ১১ দফা বাস্তবায়নের চাপ দিয়েছে। এতে ট্রেড ইউনিয়ন করার শর্ত শিথিল করা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দাবিগুলো জিএসপি সুবিধার সাথে জড়িত, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এই সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।
এই পরিস্থিতির গার্মেন্ট সেক্টরে প্রভাব:
* জিএসপি সুবিধা হারানোর ঝুঁকি: যদি বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের শর্তাবলী পূরণ না করে, তাহলে জিএসপি সুবিধা হারাতে পারে। এতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে এবং ফলে আমাদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা কমে যাবে।
* রপ্তানি আয় কমে যাওয়া: জিএসপি সুবিধা হারালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
* কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া: গার্মেন্ট শিল্প বাংলাদেশের একটি প্রধান কর্মসংস্থানের উৎস। রপ্তানি কমে গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে যাবে।
* পরিবর্তনের চাপ: এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পকে পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিবে। কারখানাগুলোকে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে।
* নতুন সুযোগ: এই পরিবর্তনকে সুযোগ হিসেবেও নেওয়া যায়। যদি বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে গার্মেন্ট শিল্প আরও টেকসই হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ইমেজ উন্নত হবে।
উপসংহার:
বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ভবিষ্যৎ জিএসপি সুবিধা এবং শ্রম অধিকারের মধ্যকার সম্পর্কের উপর নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে বাংলাদেশকে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো কঠিন হলেও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের জন্য উপকারী হতে পারে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! অবশ্যই, আমি আপনার লেখাগুলো পড়তে আগ্রহী। আপনার লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, আমি পড়ে দেখবো। ❤️
ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই, আমার লেখাগুলো পড়বেন ভাই ❤️