নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতি: শ্বেতপত্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২৭

এক নজরে:

শ্বেতপত্র প্রকাশ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিদেশে পাচার: প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
অর্থনৈতিক অবক্ষয়: এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের ফলে দেশের অর্থনীতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্নীতি ও লুটপাট: প্রতিবেদনে দুর্নীতি, লুটপাট ও পরিসংখ্যানগত কারসাজির মাত্রা ছিল ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকল্প ব্যয়: অনেক প্রকল্পের ব্যয় প্রাথমিক অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।
কর মওকুফ: কর মওকুফের পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপি’র ছয় শতাংশ।
অর্থনৈতিক সংস্কার: শ্বেতপত্রে অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিস্তারিত সুপারিশ করা হয়েছে।

বিস্তারিত আলোচনা:

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন সামনে আসার পর দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের তথ্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি, লুটপাট ও পরিসংখ্যানগত কারসাজির মাত্রাও বেড়েছে।

শ্বেতপত্রে উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিগত সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা ছিল, তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, কর মওকুফ, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

শ্বেতপত্রের গুরুত্ব:

এই শ্বেতপত্র বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমাদের একটি স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে। এছাড়াও, শ্বেতপত্রে দেওয়া সুপারিশগুলো ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আমাদের দায়িত্ব:

আমরা প্রত্যেকেই দেশের নাগরিক হিসেবে এই শ্বেতপত্রের তথ্যগুলো গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সকলকে মিলে দেশের অর্থনীতি সুস্থ রাখার জন্য কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য কণ্ঠস্বর তুলতে হবে।

আগামী পথ:

এই শ্বেতপত্রের প্রকাশের পর সরকারকে এখন অবশ্যই শ্বেতপত্রে দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দেশের অর্থনীতি সুস্থ রাখতে এবং দুর্নীতি দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার মতামত:

এই শ্বেতপত্রের তথ্যগুলো পড়ে আপনার কেমন লাগল? আপনার মতে, দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য আর কী কী করা উচিত? নিচে কমেন্ট করে জানান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

জেনারেশন৭১ বলেছেন:



প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন যদি পাচার হয়, ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে; ইহা কোথা থেকে যোগাড় করেছে পাচারকারীরা?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সত্যিই, প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়া একটি গুরুতর সমস্যা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে আসে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত, এই অর্থ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম, যেমন দুর্নীতি, কর ফাঁকি, এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে আসে । সরকারের উচিত এই সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং অর্থ পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.