নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
প্রবাসীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল:
সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি (২.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি টানা চার মাস ধরে মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের ওপর রেমিট্যান্স পাঠানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা।
রেকর্ড ভাঙার ধারা:
একক মাস হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ১২.২৫ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার। তার আগের বছর ২০২২ সালের নভেম্বরে এসেছিল ১৬০ কোটি ডলার। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ দিন দিন বাড়ছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে। তবে ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ:
ব্যাংক থেকে ডলারের দর বেশি মিলছে: ব্যাংক থেকে ডলারের দর খোলাবাজারের দরের সমান হওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে: ব্যাংক খাতের ওপর প্রবাসীদের আস্থা বাড়ায় হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়ছে।
রেমিট্যান্সের গুরুত্ব:
প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে, দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হয় এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রাখে।
সামনের দিন:
প্রবাসী আয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। তবে এই প্রবাহ স্থায়ী রাখতে সরকারকে আরো বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রবাসীদের জন্য আরো সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
উপসংহার:
প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের জন্য যে অবদান রাখছেন তা অপরিসীম। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রবাসীদের এই অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মতো হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখছেন। আপনাদের রেমিট্যান্স দেশের অনেক পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: পাচার বন্ধ হওয়ায় হুন্ডির চাহিদা কম।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: হুন্ডি রোধে সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, তা কার্যকর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি, রেমিট্যান্সের সুবিধা বাড়ানো ইত্যাদি পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হচ্ছে।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো খবর শুনলে মনটা ভালো হয়ে যায়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ভালো খবর আমাদের মনে এক ধরনের ধনাত্মক শক্তি সঞ্চার করে। এই শক্তি আমাদের মনকে উজ্জীবিত করে এবং নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
রাসেল বলেছেন: সাধারণ মানুষ চরম কষ্ট করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়; অপরদিকে আমাদের দেশের নিষ্পাপ, দেশপ্রেমিক ব্যক্তিরা সেই টাকা আবার বিদেশে নিয়ে যায়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার উদ্বেগ সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত। প্রবাসীদের কষ্টের উপার্জিত অর্থ দেশে ফিরে আসা উচিত এবং দেশের উন্নয়নে ব্যবহৃত হওয়া উচিত। দুর্নীতি ও অবৈধ মূলধন স্থানান্তর এটি নিশ্চিত করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সরকার এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: একজন প্রবাসী হিসেবে বিগত ১৮ বছর ধরে দেশে টাকা পাঠানো হচ্ছে তবে এই বছরই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছি। এত বছরেও বাংলাদেশের কাউকে কোনদিন কৃতজ্ঞতা জানাতে দেখিনি। দায় সারা গোছের কথা বলা পর্যন্তই শেষ। আপনার লিখার শেষের প্যারার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।