নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
গত নভেম্বরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে কী কারণ এবং এর ফলে জনজীবনে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা প্রয়োজন।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ :
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী শক্তি ও খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন: করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হয়েছে। এতে পণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, যা সরাসরি ভোক্তাদের উপর পড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা: যখন মানুষ মনে করে যে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, তখন তারা আগে থেকেই পণ্য কিনতে শুরু করে। এতে চাহিদা বাড়ে এবং মূল্যও বাড়ে।
স্থানীয় কারণ: দেশের মধ্যে কৃষি উৎপাদনে অনিয়মিততা, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণেও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব :
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস: মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তারা কম পণ্য কিনতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান কমে যায়।
বেকারত্ব বৃদ্ধি: মূল্যস্ফীতির কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন কমে যায় এবং বেকারত্ব বাড়তে পারে।
গরিবের উপর প্রভাব: মূল্যস্ফীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের উপর। কারণ তাদের আয় স্থির থাকলেও জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যায়।
বিনিয়োগে নিরুৎসাহ: মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। ফলে তারা বিনিয়োগে অনীহা প্রকাশ করে।
সমাধান :
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
মুদ্রানীতি ব্যবহার: কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়াতে হবে।
সরবরাহ বাড়ানো: খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, আমদানি সুবিধা করে দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়াতে হবে।
সরকারি ব্যয় কমানো: অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে বাজেট ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা: গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
উপসংহার :
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি একটি জটিল সমস্যা। এর সমাধানের জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে, মানুষকেও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং সরকারের সহযোগিতা করতে হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করলে দেশের অর্থনীতির উপর এর প্রভাব খুবই মারাত্মক হতে পারে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
বইয়ের পাতা বা অনলাইন লাইন থেকে লিখলে, বাংলাদেশের পরিস্হিতির সাথে মিলবে না; আপনি যা লিখেছেন, ইহা পশ্চিমা ও ধনী দেশের জন্য অনলাইনে লেখা আছে।
আবার চেষ্টা করে দেখেন, বাংলাদেশের মতো ৩য় বিশ্বের দেশে মুল্যস্ফীতি কেন "শত বছর" ধরে চলে আসছে!
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বর্তমান সময়ে দ্রুত তথ্য জানার জন্য অনলাইনের বিকল্প নেই। আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তাই বলছিলাম যে আপনি জ্ঞানী মানুষ, জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন, শুনেছেন, এবং বুঝেছেন। আপনি যদি এ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতেন, তাহলে আমরা সেই জ্ঞানের আলোকে বিকশিত হতে পারতাম। ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: মূল কারণটাই তো লিখলেন না ,বিগত স্বৈরাচারী সরকার অপ্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে ফলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। টাকার মান হারানোর পিছনে এটাই মূল কারণ। সমাধান বাজার থেকে অপ্রয়োজনীয় টাকা উঠিয়ে নিতে হবে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কিছু লিখুন। এগুলো সব আমাদের জানা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মস্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
নিমো বলেছেন: @শিশির, বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর কেন বাইশ হাজার কোটি দিয়ে শুরু করে সত্তর হাজার কোটিতে পৌছাতে চাইছে বলুনতো? এখন আবার নূতন নকশার টাকা ছাপবে!এই কি টাকা তুলে নেয়ার নমুনা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!