নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠ্যবই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর নতুন বছরে বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়, যা তাদের শিক্ষাজীবনের একটি উৎসবের মতো মনে হয়। কিন্তু এই বইয়ের মান বজায় রাখা এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রকাশক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জিং লড়াই চলছে।
মানসম্মত বই: একটি চ্যালেঞ্জ
এনসিটিবি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের উজ্জ্বলতা ৮৫ ও ৮২ জিএসএম যথাক্রমে বজায় রাখতে চায়। কিন্তু প্রকাশকরা জানাচ্ছেন, পুরনো মেশিনারির কারণে এই মান বজায় রাখা কঠিন। অন্যদিকে, সিন্ডিকেটের কারণে বিগত সময়ে ব্যবসা করতে না পারায় অনেকেই মানসম্মত কাজ করতে আগ্রহী হলেও, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা :
শুধু মানসম্মত বই তৈরিই নয়, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম সংক্ষিপ্ত করার কারণে বই ছাপানোতে দেরি হচ্ছে। এছাড়াও, করোনার কারণে অনলাইন শিক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে বইয়ের উপর নির্ভরতা কমছে।
এনসিটিবির প্রচেষ্টা :
এনসিটিবি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য পিজি না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা নিজস্ব মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে কাজ সমন্বয় করছে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের অনুমোদন এখনো বাকি।
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। মানসম্মত পাঠ্যবই এই মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং, আমাদের সবারই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রকাশকরা সবাই মিলে কাজ করলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.