নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
সারসংক্ষেপ:
বাংলাদেশে দশ লক্ষেরও বেশি বিদেশি নাগরিকের অবস্থান, বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করা, দেশের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। এই বিদেশিদের বেশিরভাগই ভারতীয় এবং তারা গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করছে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তারা নিজ দেশে পাচার করছে, যা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বিস্তারিত আলোচনা:
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রায় দশ লক্ষ বিদেশি নাগরিক এখন দেশে অবস্থান করছে। এই বিশাল সংখ্যক বিদেশির মধ্যে অনেকেই ছাত্র হিসেবে এসেছেন, কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ:
এই বিদেশিদের একটি বড় অংশের ওয়ার্ক পারমিট নেই। অর্থাৎ তারা আইনবহির্ভূতভাবে কাজ করছে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিকরা বেশি বেতনে এবং ভালো সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই অবৈধ বিদেশিদের নিয়োগ দিচ্ছেন। ফলে স্থানীয় নাগরিকরা কাজ হারাচ্ছেন এবং বেকারত্বের হার বাড়ছে।
অবৈধ অর্থ পাচার:
এই অবৈধ বিদেশি নাগরিকরা যে অর্থ উপার্জন করেন, তা তারা অবৈধ পথে নিজ দেশে পাচার করেন। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদেশি মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশের মুদ্রার মূল্য কমে যায় এবং আমদানি খরচ বাড়ে।
এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা:
বেকারত্ব: স্থানীয় যোগ্য ব্যক্তিরা কাজ হারাচ্ছে।
অর্থনৈতিক ক্ষতি: দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সামাজিক সমস্যা: অবৈধ শ্রমিকদের উপস্থিতিতে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
নিরাপত্তা হুমকি: অবৈধভাবে দেশে থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হতে পারে।
সমাধান:
কঠোর আইন প্রয়োগ: অবৈধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা উচিত।
ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা শক্তিশালী করা: ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তৈরি করা উচিত।
সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো: সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়ে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা বন্ধ করা উচিত।
গার্মেন্টস শিল্পে নিয়ন্ত্রণ: গার্মেন্টস শিল্পে অবৈধ বিদেশিদের নিয়োগ বন্ধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সচেতনতা সৃষ্টি: জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত যাতে তারা অবৈধ শ্রমিকদের সহায়তা না করে।
বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশিদের আগমন একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণ সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সকল অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: তারা হিন্দু না মুসলমান।পোশাক শিল্পে তারা কি কাজ করে।পোশাক শিল্পের মালিক কারা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আজকের দিনে ধর্মের চেয়ে দক্ষতা বড় কথা। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে অনেকেই কাজ করেন। অনেকেই আবার আইনগত অনুমতি ছাড়াই এখানে থেকে প্রচুর টাকা দেশে পাঠান। আমাদের দেশের তরুণরাও একই কাজ করতে পারে, কিন্তু মালিকরা বিভিন্ন কারণে বিদেশিদের বেশি পছন্দ করেন। এতে অনেক সময় কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: দশ লাখ বিদেশী আছে!!!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: চেক ব্যাক করে দেখুন। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবৈধ ভারতীয়দেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।