নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচার বিলম্বে ভুক্তভোগী নিরীহ জনতা: একটি দীর্ঘশ্বাস

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৫৯

একটি ভয়াবহ চিত্র

আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার এক চিত্র উপস্থাপন করতে গেলে, মনির হোসেন ও মুনছের আলী মুন্নার মতো নিরীহ মানুষের কাহিনীই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। দুর্ধর্ষ খুনিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হওয়া এই দুই যুবকের পরিবার আজও ন্যায়ের জন্য আকুল। তাদের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে হত্যাকারীর পলায়ন এবং হত্যার হুমকি।

বিচার ব্যবস্থার জটিলতা

এই ঘটনা শুধুমাত্র দুই পরিবারের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি আমাদের সমাজের বিচার ব্যবস্থার গভীর জটিলতার একটি প্রতিফলন। বিচার বিলম্ব, আদালতে মামলা জটলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অদক্ষতা, এমনকি দুর্নীতির মতো সমস্যাগুলো এই ঘটনার পেছনে কাজ করেছে।

বিচার বিলম্বের কারণ

বিচারক সংকট: দেশে বিচারকের সংখ্যা যথেষ্ট নয়, ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
অপ্রয়োজনীয় মামলা: অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় মামলা দায়েরের ফলে আদালতের কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
প্রসিকিউশন বিভাগের অদক্ষতা: প্রসিকিউশন বিভাগের অদক্ষতার কারণে মামলা সঠিকভাবে পরিচালিত না হওয়ায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।
আইনজীবীর অযাচিত সময় নেয়া: একই মামলায় নানা কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর অযাচিত সময় নেয়ার ফলে মামলা জটলায় পড়ে যাচ্ছে।
দুর্নীতি: দুর্নীতির কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
দুর্নীতির ছায়া

শামসুদ্দোহা খন্দকারের মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরও একবার প্রমাণ করে যে, দুর্নীতি আমাদের সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনের ঘটনা জনগণের বিচার বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করে এবং দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।

একটি সচেতনতার আহ্বান

মনির ও মুন্নার মতো হাজার হাজার নিরীহ মানুষ আজও বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের যন্ত্রণা আমাদের সকলকে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য করে। আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে, বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানাতে হবে। আমাদের সকলকেই মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

কীভাবে পরিস্থিতি উন্নতি করা যায়?

বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো: বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়ে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় মামলা রোধ করা: অপ্রয়োজনীয় মামলা দায়ের রোধ করে আদালতের কাজের চাপ কমাতে হবে।
প্রসিকিউশন বিভাগকে দক্ষ করা: প্রসিকিউশন বিভাগকে দক্ষ করে মামলা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।
আইনজীবীদের দায়িত্বশীল করা: আইনজীবীদের দায়িত্বশীল করে মামলা জটলা রোধ করতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিচার ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিযোগ্য করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা রাইট।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.