নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Blogger | Law Student | Human Rights Activist”

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রুসেড: ধর্মীয় উগ্রতা ও রাজনৈতিক লক্ষ্যের মিশেল

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২১

ক্রুসেড কী?

ক্রুসেড শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে ধর্মীয় যুদ্ধের চিত্র ভেসে ওঠে। একাদশ থেকে তের শতাব্দীর মধ্যে পবিত্র ভূমি জেরুসালেম দখল করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাবহ অভিযান চালিয়েছিল, তাকেই ক্রুসেড বলা হয়।

ক্রুসেডের পেছনে একাধিক কারণ কাজ করেছে:

ধর্মীয় কারণ: পবিত্র ভূমি জেরুসালেমকে মুসলিমদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে খ্রিস্টানদের হাতে তুলে দেওয়া।
রাজনৈতিক কারণ: ইউরোপের শাসকরা তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তার করতে এবং নতুন ভূমি দখল করতে ক্রুসেডকে ব্যবহার করেছিল।
অর্থনৈতিক কারণ: বাণিজ্যিক সুযোগ এবং সম্পদ অর্জনের লক্ষ্যে অনেকে ক্রুসেডে যোগদান করেছিল।
সামাজিক কারণ: সমাজের নিম্নবর্গের মানুষের জন্য একটি নতুন জীবন ও সুযোগের সন্ধানে ক্রুসেড একটি আকর্ষণীয় বিকল্প ছিল।

ক্রুসেড ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং বহুমুখী ছিল:

ধর্মীয় উগ্রতা: ক্রুসেড ধর্মীয় উগ্রতার একটি উদাহরণ। এটি দেখিয়েছিল যে, ধর্মের নামে কীভাবে মানুষকে যুদ্ধে উৎসাহিত করা যায়।
সভ্যতার মধ্যে সংঘাত: ক্রুসেডের ফলে খ্রিস্টান ও মুসলিম সভ্যতার মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
বাণিজ্য ও সংস্কৃতির বিনিময়: ক্রুসেডের ফলে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির বিনিময় বৃদ্ধি পায়।
ইউরোপের উত্থান: ক্রুসেড ইউরোপের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

ক্রুসেডের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক:

ক্রুসেডের ইতিবাচক দিক হিসেবে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির বিনিময়কে বলা যায়। কিন্তু নেতিবাচক দিক হিসেবে ধর্মীয় উগ্রতা, সহিংসতা এবং দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতকে উল্লেখ করা যায়।

আজকের দিনে ক্রুসেডের প্রাসঙ্গিকতা

আজকের দিনেও ধর্মের নামে সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। ক্রুসেডের ইতিহাস থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ধর্মকে কখনোই সহিংসতার যুক্তি যোগ দেওয়া উচিত নয়। আমাদের সকলকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এখন ক্রুসেড হলে আপনি যোগ দিবেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ক্রুসেড একটি ঐতিহাসিক শব্দ, যা ধর্মীয় যুদ্ধ এবং সংঘাতের প্রতীক। বর্তমানে, বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সংলাপের প্রয়োজন। আমি এমন কোনো সংঘাতে যোগ দিতে আগ্রহী নই যা ঘৃণা ও বিভেদ ছড়ায়। বরং, আমি এমন যেকোনো প্রচেষ্টার অংশ হতে চাই যা শান্তি, সহনশীলতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার দিকে কাজ করে।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের কারনে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহিত হয়েছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: কিছু মানুষের দ্বারা ধর্মের অপব্যবহারের কারণে ইতিহাসে অনেক প্রাণহানি হয়েছে।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমার মনে হয় ক্রসেডের উদ্দেশ্য শুধু ধর্ম ছিলো না। বরং ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। ছিলো গোষ্ঠী স্বার্থ!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সহমত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ক্রুসেড ধর্মযুদ্ধ হলেও খৃষ্টান-ইহুদী মিডিয়ার অপপ্রচারণায় শুধুমাত্র ইসলাম/মুসলিমদের ধর্মযুদ্ধকেই প্রধান্য দিচ্ছে!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ক্রুসেড ছিল মধ্যযুগে খ্রিস্টানদের দ্বারা সংঘটিত ধারাবাহিক ধর্মযুদ্ধ, যা প্রায় দুই শতাব্দী ধরে চলেছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেম এবং পবিত্র ভূমি মুসলিমদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা। ইতিহাসে ক্রুসেডের ভয়াবহতা এবং এর ফলে সংঘটিত গণহত্যা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু মিডিয়া ক্রুসেডের এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র 'জিহাদ' শব্দটিকে ধর্মযুদ্ধের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করে।

'জিহাদ' একটি আরবি শব্দ, যার অনেকগুলো অর্থ আছে। এর মধ্যে একটি অর্থ হলো 'সংগ্রাম' বা 'প্রচেষ্টা'। একজন মুসলিমের জীবনে আত্মশুদ্ধি, জ্ঞানার্জন, এবং সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করাও 'জিহাদ' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী 'জিহাদ' শব্দটিকে সহিংসতার justification হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থী।

সুতরাং, ক্রুসেড এবং জিহাদ উভয়কেই তাদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বোঝা উচিত। কোনো একটি বিশেষ ধর্ম বা গোষ্ঠীকে ধর্মযুদ্ধের একমাত্র ধারক হিসেবে চিহ্নিত করা ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল। আমাদের উচিত পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া প্রচারণার ঊর্ধ্বে উঠে ইতিহাসকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা এবং সকল ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে শান্তি ও সহনশীলতার বার্তা প্রচার করা

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

নতুন বলেছেন: আজকের দিনেও ধর্মের নামে সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। ক্রুসেডের ইতিহাস থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ধর্মকে কখনোই সহিংসতার যুক্তি যোগ দেওয়া উচিত নয়। আমাদের সকলকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য কাজ করতে হবে।

ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রনের একটা টুলস মাত্র।

রাজনিতিকরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে নিজেদের দল ভারি করে ক্ষমতায় থাকে।

রাজনিতিকরা ধর্মের নামে ক্ষমতায় আসে, নিজেরা বিলাসি জীবন জাপন করে, আর সাধারন মানুষেরা ধর্মের ভয়ে অনুসরন করে।

মানবতাকে উপরে রেখে নতুন করে বিশ্বের উন্নত দেশে ধর্ম ছাড়াই উন্নত জীবন ব্যবস্থা চলছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার শেষ বক্তব্যে, আপনি উন্নত বিশ্বে ধর্ম ছাড়াই উন্নত জীবন ব্যবস্থার কথা বলেছেন। এটা সত্য যে, অনেক উন্নত দেশ এখন সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে। এই দেশগুলোতে রাষ্ট্র ধর্ম থেকে আলাদা থাকে এবং সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। এখানে মানবতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে। এই কারণে, এই দেশগুলোতে ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্নত জীবনযাত্রা সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু, এর মানে এই নয় যে, ধর্ম এবং উন্নত জীবনযাত্রা পরস্পরবিরোধী। অনেক ধার্মিক মানুষও আছেন যারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন এবং মানব কল্যাণে কাজ করছেন। আসল কথা হলো, ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ধর্মকে ঘৃণা, বিদ্বেষ, এবং বিভেদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আর যদি ধর্মকে শান্তি, প্রেম, এবং সেবার আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সমাজের জন্য কল্যাণকর।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন পৃথিবী থেকে ধর্ম চিরতরে মুছে যাবে, সেদিন বিশ্বে পুরোপুরি শান্তি চলে আসবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: যদি আমরা ধরেও নিই যে পৃথিবী থেকে ধর্ম চিরতরে মুছে গেল, তবুও কি সংঘাত থেমে যাবে? সম্ভবত না। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতার লোভ, আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা, এবং মতপার্থক্য তখনও থাকবে। তখন হয়তো অন্য কোনো 'মতবাদ' বা 'পরিচয়' সংঘাতের নতুন কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন, বিংশ শতাব্দীতে আমরা দেখেছি কিভাবে নাস্তিক্যবাদী কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থায়ও ব্যাপক গণহত্যা ও নিপীড়ন হয়েছে।

বরং, আমার মনে হয়, আসল সমাধান ধর্মের বিলোপ নয়, বরং ধর্মের সঠিক ব্যবহার। ধর্ম যদি শান্তি, সহনশীলতা, এবং মানবতার সেবার আদর্শ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া, এবং সহাবস্থানের মাধ্যমে আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারি।

তাই, 'ধর্ম মুছে গেলেই শান্তি আসবে' - এই ধারণার পরিবর্তে, আমাদের উচিত মানুষের ভেতরের ঘৃণা, বিদ্বেষ, এবং অসহিষ্ণুতার মতো নেতিবাচক দিকগুলোর মোকাবেলা করা। শিক্ষা, সচেতনতা, এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি, যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:<<<<<<<<<<<<<<এখানে মানবতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে। এই কারণে, এই দেশগুলোতে ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্নত জীবনযাত্রা সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু, এর মানে এই নয় যে, ধর্ম এবং উন্নত জীবনযাত্রা পরস্পরবিরোধী। অনেক ধার্মিক মানুষও আছেন যারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন এবং মানব কল্যাণে কাজ করছেন। আসল কথা হলো, ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ধর্মকে ঘৃণা, বিদ্বেষ, এবং বিভেদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আর যদি ধর্মকে শান্তি, প্রেম, এবং সেবার আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সমাজের জন্য কল্যাণকর।


ধর্মের আলোকে মানুষকে পরিচালনায় সমস্যা হইলো কার র্ধম সেরা এটা চলে আসে।

আর মানবতার আলোকে সমাজ/রাস্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে মানুষ সবার আগে। তখন রাস্ট মানুষের জন্য কল্যানকর হয়ে উঠে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধর্ম এবং মানবতা উভয়ই মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে। তবে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানবতার নীতি অনুসরণ করাই শ্রেয়, কারণ এটি সকল মানুষের অন্তর্ভুক্তি এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করে। যখন রাষ্ট্র মানবতার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, তখন ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে সকল নাগরিকের কল্যাণ সাধিত হয় এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.