নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
এক নিঃসঙ্গ মাতার গল্প:
ইসলামে মারিয়াম (আ) একজন বিশেষ স্থানধারী নারী। তিনি একজন নিঃসঙ্গ মাতা হিসেবে সমাজের নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কুরআনে তাঁর জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে তিনি একজন পবিত্র, বিশ্বাসী এবং ধৈর্যশীল নারীর চিত্র হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি একাকীভাবে ঈসা (আ)-কে জন্ম দিয়েছিলেন এবং সমাজের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁকে লালন পালন করেছিলেন।
সমাজের বাধা বিঘ্ন:
মারিয়াম (আ)-এর সময়কালে সমাজে একজন অবিবাহিত নারীর গর্ভধারণ অকল্পনীয় ছিল। তিনি সমাজের নানা ধরনের অপবাদ ও অপমান সহ্য করেছিলেন। তবুও তিনি নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছিলেন।
আধুনিক সময়ে প্রাসঙ্গিকতা:
আজকের সমাজেও অনেক নারী একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। একাকী মাতৃত্ব, সমাজের নিন্দা, অর্থনৈতিক সংকট ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে মারিয়াম (আ)-এর জীবনী অনেক নারীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন: মারিয়াম (আ) নিজের জীবন নিজে চালানোর উদাহরণ। তিনি সমাজের চাপে না গিয়ে নিজের বিবেক অনুযায়ী কাজ করেছেন।
ধৈর্য ও সহনশীলতা: তিনি সমাজের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ধৈর্য ধরেছিলেন এবং সহনশীলতা দেখিয়েছিলেন।
বিশ্বাস ও আস্থা: তিনি আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস রাখতেন। এই বিশ্বাসই তাকে সব বাধা পেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।
মাতৃত্বের মহিমা: তিনি একজন মহান মাতা ছিলেন। তিনি ঈসা (আ)-কে একা হাতে মানুষ করে তুলেছিলেন।
বর্তমান সমাজের জন্য শিক্ষা:
আজকের সমাজের নারীদের জন্য মারিয়াম (আ)-এর জীবনী অনেক শিক্ষা বহন করে।
স্বাধীনতা: নারীদের নিজের জীবন নিজে চালানোর অধিকার রয়েছে।
সমানতা: নারী-পুরুষ সকলেই সমান।
সমাজের পরিবর্তন: সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
আত্মবিশ্বাস: নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
মারিয়াম (আ) একজন নিঃসঙ্গ মাতা হিসেবে সমাজের নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর জীবনী আজকের সমাজের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, স্বাধীনতা, ধৈর্য, বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে পারি।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মেরির জীবনের কাহিনী ইতিহাস এবং বিশ্বাসের একটি জটিল মিশ্রণ। এর ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকবে। তবে, এর ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য অনস্বীকার্য।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশের মরিয়মদের অবস্থা করুণ।এখন বিশ্বাস দুর্বল হয়ে গেছে।কোরানের ঐতিহাসিক বিবরণ বেশির ভাগ ভুল।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: কুরআনের ঐতিহাসিক বিবরণ নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। কিছু গবেষক মনে করেন কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো ঐতিহাসিকভাবে সত্য, আবার কেউ কেউ এর ভিন্ন মত পোষণ করেন। কুরআনের ঐতিহাসিকতা একটি জটিল বিষয়, এবং এ নিয়ে ইসলামিক পণ্ডিত ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে আলোচনা ও গবেষণা চলছে। এই বিষয়ে কোনো একক ও সর্বজনগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে আসা কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
নতুন বলেছেন: কুমারী ম্যারী কাহিনির উতস মার্ক এবং লুকের গসপেলে যেটা লেখা হয়েছিলো ৭০-১১০ সালের দিকে।
সেখানে ম্যারী সাথে জোসেফের বাগদান সম্পর্ন হয়েছিলো কিন্তু বিয়ে হয় নি। তখন ম্যারী গর্ভবতী হলে তার হবু স্বামী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলো এবং পরে গ্রেবরিয়াল জোসেফকে স্বপ্ন দেখালে সে ম্যারীকে মেনে নেয়।
কোরানের কাহিনি এসেছে সুরা মারিয়ামে যেটা নাজিল হয়েছিলো ৬১৫-৬১৭ সালের দিকে।
দুটা সোর্সই ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এসেছে। এবং তার জীবনীর ঐতিহাসিক কোন প্রমান নাই।