নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। এই পরিবর্তনে ভারতের অবস্থান নিচে নেমে গেছে এবং সিঙ্গাপুরের ব্যবহার বেড়েছে।
পরিবর্তনের চিত্র:
থাইল্যান্ডে এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ ১৬ কোটি টাকা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে এই খরচ ছিল ৪২ কোটি টাকা, যা অক্টোবরে বেড়ে ৫৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এই বৃদ্ধির ফলে থাইল্যান্ড, বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমে যাওয়ায় দেশটি দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।
সিঙ্গাপুর চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে, যা আগে অন্য কোনো দেশের দখলে ছিল।
কেন এই পরিবর্তন?
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গত আগস্ট মাসের দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এই পরিবর্তন এসেছে। আগে অনেক বাংলাদেশি ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতেন এবং সেখানে ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করতেন। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ কমে গেছে।
ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিরা এখন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, যার কারণে এসব দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
অন্যান্য তথ্য:
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে। অক্টোবরে সেখানে ৮৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৭ কোটি টাকা বেশি।
অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৯৭ কোটি টাকা বেশি।
বিদেশে বাংলাদেশিরা অক্টোবরে ৪৯৯ কোটি টাকা খরচ করেছেন, যা সেপ্টেম্বরের ৪২১ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।
বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই (২৮ শতাংশের বেশি) খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডে।
সিঙ্গাপুরেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অক্টোবরে সেখানে ৪৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের ৩০ কোটি টাকার চেয়ে ১৩ কোটি টাকা বেশি।
ক্রেডিট কার্ড থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনের পরিমাণও বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের ৩৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।
বিভিন্ন কার্ডের মধ্যে ভিসা কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার করা সহজ। এর পরেই রয়েছে মাস্টার কার্ড, ইউনিপে ও অ্যামেক্স।
দেশের বাইরের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে এই পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনৈতিক ও ভিসানীতির পরিবর্তনের ফলে মানুষের ভ্রমণ পছন্দের পরিবর্তন হয়েছে, যা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ধরনেও প্রভাব ফেলেছে। থাইল্যান্ডের মতো দেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশিরা এখন নতুন গন্তব্যের দিকে ঝুঁকছেন এবং তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও সেই দিকে পরিবর্তিত হচ্ছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দেশের অর্থনীতি যেহেতু স্থিতিশীল নয়, তাই অনেকেই বিদেশ ভ্রমণকে বিলাসিতা হিসেবে দেখেন। কিন্তু সবাই তা করে না। অনেকেই চিকিৎসার মতো জরুরি প্রয়োজনে বিদেশ যান। আগে ভারতে চিকিৎসা করাতে অনেকে যেতেন, কিন্তু এখন ভারতীয় ভিসার সমস্যার কারণে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন। এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, বিদেশমুখীতা কমছে না, শুধু গন্তব্য পরিবর্তন হচ্ছে।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সব কালো টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বিদেশ ভ্রমণে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি এড়াতে এবং লেনদেন সহজ করার জন্য মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকে পছন্দ করে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশের ইকোনমি খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে কিন্তু অনেক লোক বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এদের আয়ের উৎস কি?