নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাম্প্রতিক এক সেমিনারে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সরকারি জমি ব্যবহার, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি দমন এবং ব্যাংকগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বায়ত্তশাসন: সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আর সরকারের উপর নির্ভরশীল থাকবে না। তারা নিজেরাই গ্রাহক খুঁজে বের করতে পারবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এতে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকরা আরও ভালো সেবা পাবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের প্রসার: সরকারি জমি ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, এটি পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দুর্নীতি দমন ও স্বচ্ছতা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন বাতিল করে সরকার দুর্নীতি দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে। এটি বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।
ব্যাংকের অংশগ্রহণ: ব্যাংকগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি এই খাতের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ:
প্রযুক্তিগত জটিলতা: নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন এবং বিতরণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন।
অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা: নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা: বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষ্ঠুভাবে গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে একটি দক্ষ বিতরণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে এই পরিবর্তনগুলো দেশের উন্নয়নের জন্য একটি বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। তবে, এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হলে সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব খাতের সহযোগিতা এবং জনগণের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের উপর প্রভাব ফেলে। একটি স্থিতিশীল এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করে।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব এই সরকারের আমলে বিনিয়োগ বাড়বেনা এটা শতসিদ্ধ কথা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অত্যাবশ্যক।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
তাবরিযি বলেছেন: শুধু এই এক বিদ্যুৎ খাত দিয়েই হাসিনা দেশের ঋণের অপচয় করে অর্থনৈতিকে পচিয়ে ফেলেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তেব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ আমলে বিদ্যুতে শান্তিতে ছিলাম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: রেন্টাল পাওয়ার, কুইক রেন্টাল পাওয়ার এবং আদানির সাথে করা বিদ্যুৎ চুক্তির কারণে আমাদের আগামী বহু বছর ধরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। এই চুক্তিগুলো দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, এবার তেল গ্যাস অনুসন্ধানে কোন বিদেশি কোম্পানি আগ্রহ দেখায়নি। আমাদের সামনে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।