নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বছর, নতুন আশা: সূরা আদ-দুহার আলোকে হতাশা মুক্তি

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১



নতুন বছর মানেই নতুন করে শুরু করার প্রেরণা। কিন্তু যদি বিগত দিনের হতাশা, দুশ্চিন্তা আর আশাভঙ্গের বোঝা আমাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে রাখে, তাহলে নতুন শুরুর আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে, কুরআন মজিদের সূরা আদ-দুহা আমাদের জন্য এক বিশেষ বার্তা নিয়ে আসে।

সূরা আদ-দুহার মূল বার্তা:

এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয় যখন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। আল্লাহ তা'আলা এই সূরার মাধ্যমে তাঁকে এবং আমাদের সকলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন:

আল্লাহর অনুগ্রহ অবিরাম: আল্লাহ সকালের আলো এবং রাতের অন্ধকারের শপথ করে বলছেন যে তিনি তাঁর বান্দাদের ত্যাগ করেন না। আমাদের জীবনেও যখন অন্ধকার নেমে আসে, তখন মনে রাখতে হবে যে শীঘ্রই আলোর আগমন ঘটবে।

পরকালের শ্রেষ্ঠত্ব: আল্লাহ বলেন, "আর অবশ্যই তোমার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।" (৯৩:৪) অর্থাৎ, এই জীবনের কষ্ট ও হতাশার তুলনায় পরকালের অনন্ত সুখ অনেক বড়। এই বিশ্বাস আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে সাহায্য করে।

বিপদের মুহূর্তে সাহায্য: আল্লাহ নবী (সাঃ) কে স্মরণ করিয়ে দেন কিভাবে তিনি তাঁকে এতিম অবস্থায় আশ্রয় দিয়েছেন, পথহারা অবস্থায় পথ দেখিয়েছেন এবং অভাবের সময় প্রাচুর্য দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আমাদেরও এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় সাহায্য করবেন।

সহানুভূতি ও কৃতজ্ঞতা: সূরাটিতে দুর্বল ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর এবং আল্লাহর নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ থাকার কথা বলা হয়েছে। যখন আমরা অন্যের কষ্ট অনুভব করি এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য শুকরিয়া আদায় করি, তখন আমাদের নিজেদের হতাশা অনেকটা কমে যায়।

কিভাবে সূরা আদ-দুহার আলোকে হতাশা কাটানো যায়:

আল্লাহর উপর ভরসা: সূরাটির মূল বার্তা হল আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা। যখন আমরা বিশ্বাস করি যে আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, তখন যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হয়।

ধৈর্য ধারণ: হতাশার সময়ে ধৈর্য ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। সূরাটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে কষ্টের পরেই শান্তি আসে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: আমাদের জীবনে যা কিছু আছে, তার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কৃতজ্ঞতা আমাদের মনকে শান্তি ও সন্তুষ্টিতে ভরে দেয়।

অন্যের সাহায্য: অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং তাদের সাহায্য করা আমাদের নিজেদের হতাশা কমাতে সাহায্য করে।

নতুন বছর ২০২৫ এর শুরুতে, আসুন আমরা সূরা আদ-দুহার এই বার্তাগুলোকে নিজেদের জীবনে ধারণ করি। হতাশা ও দুশ্চিন্তার মেঘ সরিয়ে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও আশ্রয়ে নতুন করে জীবন শুরু করি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি স্রষ্টার প্রতি।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: শুভ নববর্ষ এবং ধন্যবাদ।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সূরা দিয়ে কাজ হবে না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৯

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: "লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন" এই আয়াতটি কোরআনের সূরা কাফিরুনের ৬ নম্বর আয়াত। এর সরল বাংলা অর্থ হল, "তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন, আর আমার জন্য আমার দ্বীন।" ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ নববর্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.