নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
ইসলামে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বা লিভ টুগেদার সম্পূর্ণ হারাম। ইসলামে বিয়ের আগে পরস্পরকে জানার এবং বোঝার সুযোগ আছে, কিন্তু তা অবশ্যই শরীয়তসম্মত সীমার মধ্যে হতে হবে। নির্জনে সাক্ষাৎ, অবাধ মেলামেশা, এবং যৌন সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
বর্তমান সমাজে লিভ টুগেদার, পরকীয়া (এক্সট্রা মেরিটাল রিলেশনশীপ), সমকামিতা ইত্যাদি যেভাবে বাড়ছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে এসব অপকর্মকে প্রচার করা হচ্ছে, যা ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী।
পবিত্র কোরআন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। নিচে কোরআনের আলোকে একটি বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করা হলো:
ব্যভিচার ও অশ্লীলতার নিষিদ্ধ:
কোরআনে ব্যভিচার ও অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ।" (সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২)
এই আয়াতে শুধু ব্যভিচার করতে নিষেধ করা হয়নি, বরং এর নিকটবর্তী হতেও নিষেধ করা হয়েছে। লিভ টুগেদার, পরকীয়া, এগুলো মানুষকে ব্যভিচারের দিকে ধাবিত করে।
বিবাহের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন:
ইসলামে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের একমাত্র বৈধ পথ হলো বিবাহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ তাদেরও। যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" (সূরা আন-নূর: ৩২)
এই আয়াতে বিবাহের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপনের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এবং এর মাধ্যমে অভাব দূর হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
সমকামিতার নিন্দা:
কোরআনে লুত (আঃ) এর কওমের ঘটনার মাধ্যমে সমকামিতার কঠোর নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"আর লূতকে প্রেরণ করেছিলাম। যখন সে তার কওমকে বলল, ‘তোমরা কি এমন কুকর্ম করছ যা বিশ্বজগতের কেউ তোমাদের আগে করেনি? তোমরা তো নারীদেরকে ছেড়ে দিয়ে পুরুষদের কাছে কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে যাও। বরং তোমরাই সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।" (সূরা আল-আ’রাফ: ৮০-৮১)
এই আয়াত থেকে স্পষ্ট হয় যে সমকামিতা একটি জঘন্য অপরাধ এবং এটি মানব প্রকৃতির পরিপন্থী।
সমাজ থেকে এই অবক্ষয় দূর করার উপায়:
ইসলামী শিক্ষার প্রসার: কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক শিক্ষা সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে দিতে হবে।
পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা: পরিবার হলো সমাজের ভিত্তি। পারিবারিক মূল্যবোধ ও বন্ধন মজবুত করার মাধ্যমে এই অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
সচেতনতা বৃদ্ধি: লিভ টুগেদার, পরকীয়া, সমকামিতা ইত্যাদির কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
আইনগত পদক্ষেপ: রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিশেষে, আমাদের মনে রাখতে হবে যে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা অবশ্যই আছে, কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে ইসলামী মূল্যবোধ লঙ্ঘন করার কোনো সুযোগ নেই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম যা বলে সেটা এই আধুনিক যুগে গুরুত্বপূর্ন না।
আমাদের দেশ বা বিশ্ব আধুনিক নিয়মে চলছে না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মতামতকে সম্মান করি। তবে ইসলামকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা ঠিক হবে না। ইসলামের মধ্যে অনেক মূল্যবান শিক্ষা আছে যা আজকের সমাজের জন্যও প্রাসঙ্গিক।
আমার মতে, ইসলামকে আধুনিক জীবনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা উচিত। তবে এই ব্যাখ্যায় ইসলামের মূলনীতিগুলোকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
কাঁউটাল বলেছেন: ব্লগার "নাহল তরকারি" এর লেখার একটা অনন্য বৈশিষ্ট হল, সহজ সরল সত্য কথা। জটিল, কুটিল, তাত্বিক, আড়ম্বর, ভন্ডামি এবং ফাত্রামি পূর্ন ব্লগের ভিড়ে উনার সহজ "সরল সত্য কথা মাথা" উচু করে দাড়িয়ে থাকে।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: কিন্তু সমাজ অবৈধ সম্পর্ক সহজ করে দিচ্ছে আর বিবাহ কঠিন করে দিচ্ছে
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
নতুন বলেছেন: লিভ টুগেদার, সমকামিতা ও পরকীয়া
এটা আগেও ছিলো, রাজ রাজা, জমিদার, ধনীদের ক্ষত্রে এই সব কিছুই সব সময়ে জায়েজ ছিলো।
এখন এটা সাধারন সমাজে চালু হচ্ছে।
ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রভাব কমে যাচ্ছে সমাজে, আধুনিক বিশ্বের সাথে পুরানো ধর্মীয় আইডিয়া তাল মেলাতে পারছেনা। পারবেও না।
মানুষ এখন ড্রাইভার ছাড়া গাড়ীর প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, চ্যাট জিপিটি সবার ফোনে, যেকোন তথ্য পেতে কয়েক মিনিট সময় লাগে মানুষের।
সেখানে আমাদের মোল্যারা ৩ তালাক দিলে হিল্লা, সহবাসের পরে অজু করে ঘুমানো, স্ত্রীর সাথে দুস্টুমি করা সুন্নত, ৪ বিবাহ কেন করা উচিত সেই আলোচনা করে ওয়াজ করলে নতুন প্রযন্ম তাদের থেকে কিছুই শিখবে না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বলতে চাই যে, ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো বিরোধিতা নেই। ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখায় এবং বিজ্ঞান মানুষকে জগতের রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করে। দুটিকেই সামঞ্জস্য রেখে চলা সম্ভব।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকেও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং তাদের বক্তব্যকে আধুনিক মানুষের বোধগম্য করতে হবে। তাদের উচিত ধর্মের মূলনীতিগুলোকে আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাখ্যা করা।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছেলেমেয়েরা ১৭/১৮ বছর বয়সে কামাই করা শিখে গেলে বৈধ উপায়ে যৌনতাকে উপভোগ করতে পারতো। এখনের ছেলেমেয়েরা ৯/১০ বছর বয়সে যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান লাভ করে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: যৌনতা একটি জটিল বিষয় এবং এর সমাধানের জন্য সামাজিক, ধর্মীয়, আইনগত এবং শিক্ষাগত সকল দিক বিবেচনা করা জরুরি। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বয়সে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলা যাবে না, বরং মানুষের মানসিক ও সামাজিক পরিপক্কতাকে বিবেচনা করা উচিত।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার এই অবৈধ বিষয় গুলা আপনাদের গর্বের সকল বির গনের মধ্যে ছিলো ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। ধন্যবাদ
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বলতে চাই যে, ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো বিরোধিতা নেই। ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখায় এবং বিজ্ঞান মানুষকে জগতের রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করে। দুটিকেই সামঞ্জস্য রেখে চলা সম্ভব।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকেও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং তাদের বক্তব্যকে আধুনিক মানুষের বোধগম্য করতে হবে। তাদের উচিত ধর্মের মূলনীতিগুলোকে আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাখ্যা করা।
ধর্মীয় নেতারা ১৪০০ বছর আর হাজার বছর পুরানো বই নিয়ে পড়ে আছে। তারা বর্তমানে মানুষের নেত্রিত্বে নাই।
লিভ টুগেদার, পরকিয়া, এসব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হলে মানুষকে মানবিক বোধে উদ্ভুদ্য করতে হবে।
ভালোবাসা, কমিটমেন্টের প্রয়োজনিয়তার উপরে গুরত্ব দিতে হবে, বিয়ে এবং বিচ্ছেদ সহজ করতে হবে।
সর্বপরি মানুষের মাঝে মানবিক বোধগুলি যেন বৃদ্ধি পায় সেই প্রচারনা এবং শিক্ষা সমাজে বাড়াতে হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার কিছু মতামত:
ধর্মীয় নেতৃত্ব: ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং তাদের বক্তব্যকে আধুনিক মানুষের বোধগম্য করতে হবে।
সামাজিক মূল্যবোধ: সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় একটি গুরুতর সমস্যা। এটি সমাধান করতে সবার যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিবাহ ও বিচ্ছেদ: বিবাহ ও বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলা উচিত, তবে এটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত এবং এটি সহজভাবে নেওয়া উচিত নয়।
মানবিক বোধ: মানবিক বোধ জাগিয়ে তোলা সকল সমস্যার সমাধানের মূল চাবিকাঠি।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম নৈতিকতা শিখায় না।ধর্ম শিখায় আনুগত্য।আইন নৈতিকতা শিখায়।নৈতিক হতে বাধ্য করে।অনৈতিক হলেই জেল,জরিমানা।ধর্মে ধর্ষণের কোন শাস্তি নাই।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধর্ম এবং আইন উভয়ই নৈতিকতার গুরুত্ব বোঝায়। ধর্ম ব্যক্তিকে নৈতিক মূল্যবোধ শিখিয়ে আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ দেখায়। আইন সমাজের নৈতিক মানদণ্ডকে প্রতিষ্ঠিত করে এবং অনৈতিক কাজের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করে।
ধর্ম এবং আইন উভয়েরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ধর্মের নামে অনৈতিক কাজ করা এবং আইনের ফাঁক গলি দিয়ে অন্যায় করার ঘটনাও ঘটতে পারে।
একটি সুস্থ সমাজ গড়ার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা এবং আইনের শাসন উভয়েরই প্রয়োজন।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনাকে আবারো ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৬
নাহল তরকারি বলেছেন: অবৈধ যৌন সম্পর্ক সুখ দেয় না। এটা দীর্ঘস্থায়ী মানষিক অস্থিরতা দান করে। আপনার ব্লগ টি সম্পন্ন পরার সময় পাই নাই।