নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোশাক শিল্পে অর্ডার প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৮

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তবে এই খাতটি বিভিন্ন সময়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। অর্ডার প্রাপ্তি মূলত সিজন-নির্ভর, যেখানে ‘পিক সিজন’ এ কারখানাগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় চলে, এবং ‘অফ পিক সিজন’ এ তুলনামূলকভাবে কম অর্ডার থাকে।

সম্প্রতি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০% অর্ডার বাতিল করেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন। যেকোনো বায়ারের প্রধান চাওয়া থাকে সময়মতো পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ। সাপ্লাই চেইনে কোনো প্রকার ব্যাঘাত ঘটলে বায়ারের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কিছু বায়ার সরাসরি মেইলের মাধ্যমে আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানাগুলোতে অর্ডার প্রদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হলো অনিশ্চয়তা; কেউই ব্যবসায়িক ক্ষতির ঝুঁকি নিতে চায় না।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পোশাক কারখানাগুলোকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে:

ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি: প্রতিটি কারখানার উচিত নিজস্ব ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করা। এর মাধ্যমে বায়ারদের কাছে কারখানার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন: কারখানা মালিক, শ্রমিক এবং মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপনার মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করতে হবে।

যোগাযোগ ও নিশ্চয়তা: বায়ারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানাগুলো নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য। তাদের অর্ডার সময়মতো সরবরাহ করা হবে এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কোনো বিলম্ব হবে না।

সরাসরি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ: বিশ্ব ফ্যাশন বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী (দালাল) আছে, যারা বিভিন্ন ব্র্যান্ড থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে কারখানায় দেয় এবং বিনিময়ে কমিশন নেয়। এদের মাধ্যমে কাজ করলে কারখানাগুলোর লাভ কম হয় এবং বিভিন্ন চাপের মধ্যে থাকতে হয়। তাই, সরাসরি ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার পাওয়ার চেষ্টা করা অধিক লাভজনক। এতে কারখানা এবং ব্র্যান্ড উভয়েই সরাসরি কাজ করার সুযোগ পায় এবং উভয়পক্ষই লাভবান হয়।

এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব বাজারে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারবে। শ্রমিক অসন্তোষের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে হবে এবং একটি স্থিতিশীল ও উৎপাদনমুখী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উপকারি পোষ্ট।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.