নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বৈবাহিক জীবন: একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪১

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বৈবাহিক জীবন ইসলামিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর বিবাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা, বিশেষ করে একাধিক বিবাহ ও স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক, ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা নবীর বৈবাহিক জীবনের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব, বিশেষ করে তাঁর একাধিক বিবাহ এবং স্ত্রীদের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি।

প্রথম বিবাহ ও দীর্ঘ সংসার জীবন:

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ২৫ বছর বয়সে খাদিজা (রা.) কে বিবাহ করেন। খাদিজা (রা.) তখন বিধবা এবং একাধিক সন্তানের জননী ছিলেন। তাঁর বয়স নবীর চেয়ে ১৫ বছর বেশি ছিল। এই বিবাহ ছিল তাদের দুজনের জন্যই সুখকর এবং সফল।

খাদিজার মৃত্যুর পর এবং একাধিক বিবাহ:

খাদিজার (রা.) মৃত্যুর পর নবী (সা.) বিভিন্ন সময়ে একাধিক নারীকে বিবাহ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন আয়েশা (রা.)। আয়েশার (রা.) সাথে তাঁর বৈবাহিক জীবন সুখকর ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে হাফসা (রা.) সহ অন্যান্য নারীদের বিবাহের ফলে পরিবারে কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোরআনে সূরা আহযাব নাযিল হয়, যেখানে নবীর স্ত্রীদেরকে তাঁকে কষ্ট না দেয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

নবীর আবেগ ও বিবাহ:

নবীর জীবনী থেকে জানা যায় যে তিনি তাঁর জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি তাঁর চাচাত বোন উম্মে হানির প্রেমে পড়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আয়েশা (রা.) এবং মারিয়া কিবতিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হন। মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে তাঁর একমাত্র পুত্র ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করেন।

নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ:

নবীর বৈবাহিক জীবনকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, তিনি তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সমানভাবে আচরণ করতে পারেননি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্ত্রীর সাথে তাঁর সম্পর্কের উত্থান-পতন ঘটেছে। এটি স্বাভাবিক মানবিক সম্পর্কের একটি প্রতিফলন।

একাধিক বিবাহের কারণ:

নবীর একাধিক বিবাহের পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ: আরব সমাজে একাধিক বিবাহ ছিল স্বাভাবিক। নবী (সা.) বিভিন্ন গোত্রের নারীদের সাথে বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক জোরদার করতে চেয়েছিলেন।
ধর্মীয় কারণ: ইসলামে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের বিবাহকে উৎসাহিত করা হয়। নবী (সা.) এই বিধানের অনুসরণ করেছেন।
রাজনৈতিক কারণ: কিছু বিবাহ রাজনৈতিক কারণে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, জুওয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিসের সাথে বিবাহের মাধ্যমে মুসলিমদের সাথে বনি মুস্তালিক গোত্রের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিল।

আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি:

আধুনিক সমাজে নবীর একাধিক বিবাহকে নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। অনেকেই একে সমর্থন করেন, আবার অনেকেই বিরোধিতা করেন। তবে এটি স্বীকার করতে হবে যে, নবীর জীবনকালে এবং আজকের সমাজে নারীদের অবস্থান এবং সমাজের গঠন প্রায় সম্পূর্ণ ভিন্ন।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বৈবাহিক জীবন ইসলামিক ইতিহাসের একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। তাঁর একাধিক বিবাহ এবং স্ত্রীদের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি বিশ্লেষণ করার সময় আমাদের অবশ্যই তাঁর জীবনকালের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। আধুনিক সমাজে আমাদের এই বিষয়টিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের আলোকে বিশ্লেষণ করা উচিত।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

নাহল তরকারি বলেছেন: পরকীয়া থেকে বিয়ে করা থেকে উত্তম। আমি তাই মনে করি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

যখন উনি বিয়েগুলো করেছিলেন তখন সমস্যা হয়নি,এখনো হওয়ার কথা নয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: তিনি কয়টা বিবাহ করেছিলেন তার কোন সঠিক ইতিহাস নাই।এক এক জীবনী লেখক এক এক সংখ্যা উল্লেখ করেছেন।কোরানে পালিত পুত্রের বৌকে বিবাহের কথা উল্লেক আছে।
মারিয়া কিবতিয়া নিয়েও বিতর্ক আছে।হাদিস মতে দাসির সাথে সংগম করা যায়।মারিয়া দাসি ছিলো।বিয়ে করার দরকার কি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৯

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন। আপনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন, যার মধ্যে নবীর (সাঃ) বিবাহ সংখ্যা, পালিত পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ, এবং মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) এর প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য।

নবীর (সাঃ) বিবাহ সংখ্যা:

নবী (সাঃ) কতগুলি বিবাহ করেছিলেন, এই বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছু মতভেদ আছে, এটা সত্য। তবে, এই মতভেদের মূল কারণ হলো কিছু বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা, সময়কাল, এবং স্ত্রীদের মর্যাদা (যেমন, কেউ শুধু আকদ করেছিলেন, কিন্তু সংসার করেননি)। নির্ভরযোগ্য সূত্রে নবীর (সাঃ) ১১ জন স্ত্রীর নাম পাওয়া যায়। এই বিবাহগুলির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল, যেমন- বিধবাদের আশ্রয় দেওয়া, বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, এবং ইসলামী দাওয়াতের প্রসারে সাহায্য করা।

পালিত পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ (যায়েদ বিন হারেসা ও যায়নাব বিনতে জাহশ):

কোরআনে পালিত পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহের বৈধতা আছে, এই কথাটি সুরা আহযাবের ৪ ও ৫ নম্বর আয়াতের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। এখানে পালক পুত্রকে নিজের ঔরসজাত পুত্রের সমতুল্য মনে করার যে প্রথা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। যায়দ (রাঃ) ছিলেন নবীর (সাঃ) পালিত পুত্র, পরে তিনি যায়নাব (রাঃ) কে তালাক দিলে আল্লাহ্‌র নির্দেশে নবী (সাঃ) যায়নাব (রাঃ) কে বিবাহ করেন। এর মাধ্যমে পালক পুত্রের স্ত্রীর সাথে বিবাহের বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জাহেলিয়াতের যুগের একটি কুসংস্কার দূর হয়।

মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) এর প্রসঙ্গ:

মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) এর বিষয়ে বিতর্ক আছে, এই কথাটিও সত্য। তবে, হাদিসের আলোকে তিনি নবীর (সাঃ) বাঁদী ছিলেন এবং তার গর্ভে নবীর (সাঃ) পুত্র ইব্রাহিম (রাঃ) এর জন্ম হয়। এখানে "দাসীর সাথে সংগম করা যায়, তাই বিয়ে করার দরকার কি" - এই যুক্তির প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলা প্রয়োজন:

ইসলামে দাস-দাসীর সাথে সম্পর্কের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। শুধুমাত্র দাসী হলেই তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, এমন ধারণা সঠিক নয়।

মারিয়া (রাঃ) এর ক্ষেত্রে, তিনি শুধু বাঁদী ছিলেন না, বরং নবীর (সাঃ) পরিবার এর একজন সদস্যের মত ছিলেন। তার গর্ভে পুত্র সন্তান হওয়ার পর তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পায়।

ইসলামে বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো বংশপরম্পরা রক্ষা করা এবং একটি সুস্থ সমাজ গঠন করা। যদিও দাসীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সন্তান জন্ম হতে পারত, কিন্তু বিবাহের মাধ্যমে যে সামাজিক ও পারিবারিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়, তা ভিন্ন।

মোটকথা, প্রত্যেকটি বিষয়ের নিজস্ব প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য আছে। কোনো একটি বিষয়কে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, যেখানে মানব জীবনের সকল দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উম্মে হানির সাথে তাঁর প্রেমের বিষয়টি সঠিক নয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এবিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত আশা করছি। ধন্যবাদ

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

রাসেল বলেছেন: মুসলিম হিসাবে বলছি না, অতীতে বিভিন্ন গ্রন্থ পড়ে জেনেছি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অনুকরণীয় আদর্শ হিসাবে নিয়েছেন সকল ধর্মের মানুষ। ইদানিং শুধুমাত্র ধর্মকে বিতর্কিত করার জন্য মুহাম্মদ (সা.) এর নাম মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। অন্য ধর্মের লোক আমার অনুসরীত ধর্মে আনুগত্য প্রকাশ করলে আমার লাভ-ক্ষতির কিছুই নাই, তবে কেন আমি জোর করে অপরকে আমার ধর্মে আনুগত্য প্রকাশ করতে বলব। ইহা ধর্মকে বিতর্কিত করার কি পদ্ধতি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার এই যুক্তির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আপনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তবসম্মত।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

নতুন বলেছেন: রাসুল সা: যৌনতা পছন্দ করতেন বলেই এতো বিয়ে করেছিলেন। তিনি যেহেতু বিয়ে করে ছিলেন তাই এটা খারাপ কিছু না।

অনেকেই রাসুল সা: এর যৌনতা নিয়ে হাদিস গুলি জানেনা। তাই তার বহু বিবাহের সমালোচনা মোকাবেলায় তারা তার বিয়ে গুলি মানবিক এবং রাজনিতিক প্রয়োজনিয়তা থেকে করেছিলেন বলে যুক্তি দেখায়।

রাসুল সা: এর যৌন ক্ষমতা নিয়ে হাদিস গুলি পড়লে তার বিয়ের ব্যাপারাটা আরো পরিস্কার হবে।

পরিচ্ছেদঃ ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।

২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=24104

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ইসলাম ধর্মে প্রথম এবং প্রধান দলিল হচ্ছে আল কোরআন। হাদিসের সংগ্রহ এবং বিস্বাসযোগ্যতা সন্দেহাতীত নয়। সয়ং বুখারী এক লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে তারমধ্য থেকে সাতানব্বই হাজার বাদ দিয়েছেন।

এরপর রয়েছে কোরআন এবং হাদিসের মধ্যে সংঘর্ষিকতা। অনেক হাদিস আছে যা সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বাতিলযোগ্য।

এছাড়া হাদিসে নবী (সঃ) কে একজন অতিমানবীয় চরিত্রে অঙ্কন করা হয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ বলেছেন নবী তোমাদের মতই একজন মানুষ যার কাজ শুধুমাত্র আল্লাহর বানী প্রচার করা।

আপনি নবী (সঃ) এর যৌন ক্ষমতা বিষয়ে যে হাদিসের উল্লেখ করেছেন তা কোরআনের আলোকে বিস্বাসযোগ্য নয়। কারন কোনো পুরুষের পক্ষে ত্রিশ জন পুরুষের সমান যৌন ক্ষমতা থাকা সম্ভব নয় এবং একজন ব্যক্তি যদি দিন ও রাত মিলিয়ে এগারো জন নারীর সাথে যৌন মিলন করেন তাহলে তিনি তার সাধারন কাজ কর্ম ও ধর্ম প্রচার কখন করেছেন ?

এই হাদিসটি আমার মতে নবীকে সন্মানীত করার পরিবর্তে বরং তাকে একজন সেক্স মেশিন হিসেবে তুলে ধরে অপমান করা হয়েছে। I

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি কি করেছেন, কি করেন নাই- সেটা এই আধুনিক যুগে এসে অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাড়িয়েছি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এক মত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি কি করেছেন, কি করেন নাই- সেটা এই আধুনিক যুগে এসে অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাড়িয়েছি।


আমার তা মনে হয় না। তিনিই আমাদের আদর্শ। আমরা যে কোন অবস্থায় ত঳াকেই অনুসরণ করবো।
তিনি যেমন আয়েশার মতো নাবালিকাকে বিবাহ করেছিলেন এই যুগেও যারা বুড়োভাম তাদেরও উচিত শিশুবিবাহ করে নবীজীর মহান আদর্শ পালন করা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ঐতিহাসিক তাবারি এর মতে, আয়েশা (রাঃ) হিজরতের ১৭ বছর পূর্বে জন্মগ্রহন করেন। এই হিসেবে বিয়ের সময় তাঁর বয়স ১৯ বছর হওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত তিনি একজন অত্যন্ত জ্ঞনবান ব্যক্তি ছিলেন। তার মতো মানুষের পক্ষে একজন নাবালিকাকে বিয়ে করাটা বিষ্বাসযোগ্য হয়না। হাদিসের বেশিরভাগ অংশই ভুল তথ্যে ভরা যা কোরআনের সাথে সংঘর্ষিক। নবী শিশু বিয়ে করেছেন বলে যে কথা বলা হয় তা ঠিক নয়। তারপরও যদি তিনি তা করে থাকেন সেক্ষেত্রেও বর্তমান সময়ে বিবেকবান মানুষ কেনো ঐ কাজ করতে যাবে ? কোন যুক্তিতে করবে?

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উম্মে হানির সাথে তাঁর প্রেমের বিষয়টি সঠিক নয়।

আপনার আরো পড়াশোনা করা দরকার।
উম্মে হানির প্রতি তার আশেকী ছিল এবং তিনি বিহাহের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু উম্মে হানির পিতা আবু তালিব সেই প্রস্তা প্রত্যাখ্যান করেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সহমত পোষন করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইসলাম ধর্মে প্রথম এবং প্রধান দলিল হচ্ছে আল কোরআন। হাদিসের সংগ্রহ এবং বিস্বাসযোগ্যতা সন্দেহাতীত নয়। সয়ং বুখারী এক লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে তারমধ্য থেকে সাতানব্বই হাজার বাদ দিয়েছেন।

এরপর রয়েছে কোরআন এবং হাদিসের মধ্যে সংঘর্ষিকতা। অনেক হাদিস আছে যা সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বাতিলযোগ্য।


তাহলে আপনি ওনলি কোরান দলের পক্ষে। হাদিস বাদ দিলে এমন বিব্রতকর কাহিনি এড়ানো যাবে এটা ঠিক। কিন্তু হাদিস ছাড়া ইসলামের অনেক নিয়মই সম্র্পন হবে না।

যেমন নামাজ ৫ ওয়াক্ত সম্ভবত কোরান নয় হাদিসের আলোকে নিদ্ধারিত হয়েছে। তাহলে যদি হাদিস বাদ দেন তবে ইসলামের কাঠামোই হালকা হয়ে যাবে।

এছাড়া হাদিসে নবী (সঃ) কে একজন অতিমানবীয় চরিত্রে অঙ্কন করা হয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ বলেছেন নবী তোমাদের মতই একজন মানুষ যার কাজ শুধুমাত্র আল্লাহর বানী প্রচার করা।

পীরপন্হীরা অলৌকিককতায় বেশি বিশ্বাসী এবং তারা রাসুল সা: কে সুপারম্যান বলে দাড় করায় এবং অনেকে সে মাটির তৌরি সেটার বিপক্ষে যুক্তি দেখায়।

আপনি নবী (সঃ) এর যৌন ক্ষমতা বিষয়ে যে হাদিসের উল্লেখ করেছেন তা কোরআনের আলোকে বিস্বাসযোগ্য নয়। কারন কোনো পুরুষের পক্ষে ত্রিশ জন পুরুষের সমান যৌন ক্ষমতা থাকা সম্ভব নয় এবং একজন ব্যক্তি যদি দিন ও রাত মিলিয়ে এগারো জন নারীর সাথে যৌন মিলন করেন তাহলে তিনি তার সাধারন কাজ কর্ম ও ধর্ম প্রচার কখন করেছেন ?

এই হাদিসটি আমার মতে নবীকে সন্মানীত করার পরিবর্তে বরং তাকে একজন সেক্স মেশিন হিসেবে তুলে ধরে অপমান করা হয়েছে।


এটা অবশ্যই তার প্রসংসা হিসেবেই সেই সময়ের সাহাবারা প্রচার করতেন, কারন তখন দাসীদের সাথে যৌন কাজ জায়েজ ছিলো। বহু বিবাহ খুবই সাধারন ছিলো। রাসুলরন ১১ জন স্ত্রী । ৪ খলিফার মোট ২৮ জন স্ত্রী ছিলো।

হযরত আলী রা: সম্ভবত হুনাইনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে মালে গনিমত আনতে গিয়ে এক দাসীর সাথে যৌন সম্পর্কের কারনে অন্য সাহাবী রাসুল সা: এর কাছে নালিশ করেছিলেন ? মজার বিষয় হইলো আলী রা: তার ৬ বছর আগে হযরত ফাতিমা রা: সাথে বিবাহ করেছিলেন। আর রাসুল সা: ঐ সাহাবাকে উত্তর দিয়েছিলো যে আলী মালে গনিমতের ভাগ একটু বেশি পেতেই পারে।

তাই যৌনতার ঘটনা আপনাকে বিব্রত করতেই পারে কিন্তু সাহাবীদের কথায় বোঝা যায় সেটা ঐ সময়ে খুবই সাভাবিক ছিলো।

নারীদের অধিকার ছিলোনা বরং তাদের ভোগ্য পন্য হিসেবেই দেখা হতো।

কোরানেও কিন্তু নারী ভোগের জন্য আয়াত নাজিল হয়েছিলো ! https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=517

হুনাইনের যুদ্ধে বন্দীদের মাঝে স্বামী/স্ত্রীও ছিলো, এখন কিছু সাহাবীরা যেই দাসীর স্বামী জীবিত এবং তাদের কাছেই বন্ধি আছে তাদের সাথে যৌন কাজে ইতস্থতা বোধ করছিলো। তখন কোরানের উপরের আয়াত নাজিল হয়েছে। এবং সেটা পরিস্কার করেছে যে যুদ্ধে নারীকে বন্ধি করলে তার স্বামী জীবিত থাকলেও তার সাথে মুমিমরা সঙ্গম করতে পারবে।

কোরানের এই আইন তো আর আপনি বিরোধিতা করতে পারবেন না। এই আইনও যে কত মানবিক সেটা অনেক ইসলামীক স্কলারের ব্যক্ষা হয়তো পাওয়া যাবে।




১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ০১। আমি অবশ্যই কোরআনের অনুসারী তবে পুরোপুরি হাদিস বিরোধী নই। যে সকল হাদিস কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বা কোরআন বিরোধী, সেগুলোকে আমি বাতিলযোগ্য মনে করি।

কোরআনে বলা হয়েছে, "লা ইকরাহা ফিদ্দিন" অর্থাৎ "ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই"। তাই, কোনো হাদিস যদি কাউকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার কথা বলে, তা কোরআন বিরোধী হিসেবে গণ্য হবে
কোরআনে ন্যায়বিচার এবং ইনসাফের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই, কোনো হাদিস যদি অবিচার বা বৈষম্যকে সমর্থন করে, তা কোরআন বিরোধী হিসেবে গণ্য হবে।

০২। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো তাওহীদ, অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদ। আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনিই একমাত্র উপাসনার যোগ্য। রাসূল (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, তিনি আল্লাহর বার্তা বহনকারী। তাকে অতিমানবীয় বা ঐশ্বরিক গুণাবলী দেওয়া শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা) এর অন্তর্ভুক্ত।
রাসূল (সাঃ) আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আমাদের জন্য অনুসরণীয়। তবে, তাঁকে অতিমানবীয় বা ঐশ্বরিক মর্যাদা দেওয়া ইসলাম পরিপন্থী। কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করাই সঠিক পথ।

০৩। কোনো একটি ঘটনার বিচার বর্তমান সময়ের মূল্যবোধ দিয়ে করা উচিত নয়।

কোরআনে নবীর (সা.) শারীরিক ক্ষমতা বা যৌন ক্ষমতা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে, কোরআনে বলা হয়েছে যে নবী (সা.) আমাদের মতোই একজন মানুষ (সূরা কাহফ: ১১০)। তিনি কোনো অতিমানবীয় বা ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন না। তাঁর প্রধান কাজ ছিল আল্লাহর বাণী প্রচার করা এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

কিছু হাদিসে নবীর (সা.) অসাধারণ শারীরিক শক্তি ও যৌন ক্ষমতার কথা উল্লেখ আছে। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে যে তিনি ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ধারণ করতেন। তবে, এই হাদিসগুলোর সনদ (বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা) এবং মতন (মূল বক্তব্য) নিয়ে মুহাদ্দিসীনদের (হাদিস বিশারদ) মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। কিছু মুহাদ্দিস এই হাদিসগুলোকে সহীহ বলেছেন, আবার কেউ কেউ দুর্বল বা যঈফ বলেছেন। অর্থাৎ হাদিস সন্দেহাতীত নয়। কিছু মুহাদ্দিস এই হাদিসগুলোকে রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে, এর দ্বারা নবীর (সা.) আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক শক্তি বোঝানো হয়েছে, শারীরিক ক্ষমতা নয়।

যুক্তির আলোকে বিচার করলে, কোনো মানুষের পক্ষে ত্রিশ জন পুরুষের সমান যৌন ক্ষমতা থাকা স্বাভাবিক নয়। একজন মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকে। তাই, এই হাদিসগুলোর ব্যাখ্যা রূপক অর্থে করাই বেশি যুক্তিযুক্ত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবীর (সা.) জীবন ও আদর্শ। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবনের প্রধান দিকগুলো হলো - আল্লাহর প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস, তাঁর নৈতিক চরিত্র, তাঁর দয়া ও ক্ষমা, এবং মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা। এই বিষয়গুলোই আমাদের জন্য অনুসরণীয়।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নতুন বলেছেন: কিছু হাদিসে নবীর (সা.) অসাধারণ শারীরিক শক্তি ও যৌন ক্ষমতার কথা উল্লেখ আছে। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে যে তিনি ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ধারণ করতেন। তবে, এই হাদিসগুলোর সনদ (বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা) এবং মতন (মূল বক্তব্য) নিয়ে মুহাদ্দিসীনদের (হাদিস বিশারদ) মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। কিছু মুহাদ্দিস এই হাদিসগুলোকে সহীহ বলেছেন, আবার কেউ কেউ দুর্বল বা যঈফ বলেছেন। অর্থাৎ হাদিস সন্দেহাতীত নয়। কিছু মুহাদ্দিস এই হাদিসগুলোকে রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে, এর দ্বারা নবীর (সা.) আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক শক্তি বোঝানো হয়েছে, শারীরিক ক্ষমতা নয়।

উপরে আমি সম্ভবত বোখারী হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছি। সহী বোখারী হাদিসের সনদ বা অন্য কিছু নিয়ে সম্ভবত কোন বিতর্ক নাই। ;)

উপরের আয়াতে স্পস্টই তার স্ত্রীদের সাথে সম্পর্কের উপরে ভিক্তি করেই তারা তার যৌন ক্ষমতার বিষয়ে কথা বলতো। রুপক কিছু নিয়ে না।

আরেকটা জিনিস নিয়ে আপনার মতামত পেলে খুশি হোতাম। ( সূরাঃ আন-নিসা | An-Nisa | سورة النساء - আয়াতঃ ২৪)

যে যুদ্ধে বন্ধী স্বামী/স্ত্রীর মাঝে স্বামীকে বন্ধি থাকা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মুমিনরা সঙ্গম করতে পারবে সেটা কোরানের দ্বারা অনুমুতি দেওয়ার আয়াতে মানব জাতীর জন্য কি নির্দেশনা আছে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এই আয়াতটি যুদ্ধবন্দী নারীদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বিধান দেয়। যখন কোনো নারী মুসলিমদের হাতে যুদ্ধবন্দী হয়, তখন তার পূর্বের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এর কারণ হলো:

যুদ্ধ একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই সময় অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়, পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুদ্ধবন্দীদের ক্ষেত্রে তাদের পূর্বের অবস্থার উপর ভিত্তি করে নিয়ম প্রয়োগ করা কঠিন।
তাই, যদি কোনো নারীর স্বামী শত্রু পক্ষে থাকে বা বন্দী অবস্থায় থাকে, তবুও সেই নারী মুসলিমদের অধিকারভুক্ত হলে, তাকে বিবাহ করা বৈধ। তবে, এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আছে:

নারীর ইদ্দত (একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা) পালন করতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে গর্ভবতী নয়।
তাকে সম্মানের সাথে রাখতে হবে এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

বোখারী সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি। তিনি এক লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেছেন এবং তার মধ্য থেকে সাতানব্বই হাজার হাদিস নিজেই বাতিল করেছেন। বাকি তিন হাজার হাদিসের মধ্যেও অনেক জাল, জয়িফ এবং কোরআন এর সাথে সংঘর্ষিক হাদিস আছে। কাজেই বোখারীর হাদিস বলে যে তা শতভাগ বিশুদ্ধ এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই আয়াতটি যুদ্ধবন্দী নারীদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বিধান দেয়। যখন কোনো নারী মুসলিমদের হাতে যুদ্ধবন্দী হয়, তখন তার পূর্বের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এর কারণ হলো:

যুদ্ধ একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই সময় অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়, পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুদ্ধবন্দীদের ক্ষেত্রে তাদের পূর্বের অবস্থার উপর ভিত্তি করে নিয়ম প্রয়োগ করা কঠিন।
তাই, যদি কোনো নারীর স্বামী শত্রু পক্ষে থাকে বা বন্দী অবস্থায় থাকে, তবুও সেই নারী মুসলিমদের অধিকারভুক্ত হলে, তাকে বিবাহ করা বৈধ। তবে, এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আছে:

নারীর ইদ্দত (একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা) পালন করতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে গর্ভবতী নয়।
তাকে সম্মানের সাথে রাখতে হবে এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।


* উপরের আয়াতে বিবাহ করতে নির্দেশ দেয় নাই বরং তার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবে সেটা হালাহ করা হয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধি হবার সাথে বিবাহ বাতিল হবার কোন কারন দেখিনা। যদি দম্পতির সাজা হয় সাজা শেষে তারা মুক্ত হয়ে যাবে। এখানে কোরান তাদের সেই অধিকার হরন করেছে এবং যুদ্ধবন্ধী নারী কে ভোগ করা হালাল করেছে।

সুফিয়া বিনতে হুয়াইয়া কে রাসুল সা: ইদ্দত শেষে বিয়ে করেছিলেন না কি যুদ্ধক্ষেত্রেই তার সাথে বিয়ে এবং বাসর করেছিলেন?


যাই হোক দেশের বর্তমানের বেশিরভাগ ধর্মীয় অনুসারীরা তাদের ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করেনা বরং শুধুই ওয়াজ শুনে। :|

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: খাইবার যুদ্ধ ছিল মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। এই যুদ্ধে বনু নাদির গোত্রের লোকেরা পরাজিত হয় এবং তাদের অনেককেই বন্দী করা হয়। সাফিয়া (রাঃ) ছিলেন বনু নাদিরের প্রধান হুয়াই ইবনে আখতাবের কন্যা এবং তার স্বামী কিনানা ইবনে আবিল হুকাইকও এই যুদ্ধে নিহত হন।

রাসূল (সাঃ) সাফিয়া (রাঃ) এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন এবং তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেন। সাফিয়া (রাঃ) এই প্রস্তাবে রাজি হন এবং তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

ইসলামে যুদ্ধবন্দীদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাসূল (সাঃ) এর এই বিবাহের মাধ্যমে যুদ্ধবন্দীদের প্রতি ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়।
সাফিয়া (রাঃ) ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত নারী। রাসূল (সাঃ) তাকে মুক্ত করে বিবাহ করার মাধ্যমে তার সম্মান আরও বৃদ্ধি করেন।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকারকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.