নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে, দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিরা ব্যর্থতার জন্য দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। এটি একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রমাণ। তবে বাংলাদেশে এই সংস্কৃতির অভাব লক্ষ্য করা যায়। টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের মতো ঘটনা বাংলাদেশে খুব একটা সাধারণ নয়।
উন্নত বিশ্বের পদত্যাগ সংস্কৃতি:
* দায়িত্ববোধ: উন্নত দেশগুলোতে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ বোধ করেন। তারা মনে করেন, কোনো ব্যর্থতার জন্য তারা দায়ী।
* জবাবদিহিতা: এই দেশগুলোতে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত। কোনো ব্যক্তি যদি তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হয়।
* গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ: পদত্যাগ একটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। এটি নিশ্চিত করে যে, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা সবসময় জনগণের সেবা করবে।
বাংলাদেশে পদত্যাগ সংস্কৃতির অভাব কেন?
* জবাবদিহিতার অভাব: বাংলাদেশে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অনেকেই মনে করেন, তারা যে কোনো কাজ করলেই তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।
* রাজনৈতিক সংস্কৃতি: বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো পরিপক্ক নয়। অনেক রাজনীতিবিদ নিজের স্বার্থকে দেশের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।
* সামাজিক চাপ: বাংলাদেশে সামাজিক চাপও একটি বড় কারণ। অনেকেই মনে করেন, পদত্যাগ করা মানে ব্যর্থ হওয়া।
পরিবর্তন আনতে হলে:
* জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: সরকারকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
* স্বচ্ছতা বাড়ানো: সরকারকে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। যাতে করে জনগণ জানতে পারে, সরকার কী কাজ করছে।
* শিক্ষা: জনগণকে জবাবদিহিতা এবং গণতন্ত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করতে হবে।
* সামাজিক চেতনা বদল: সামাজিক চেতনা বদলানোর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বাংলাদেশে পদত্যাগ সংস্কৃতির অভাব একটি গুরুতর সমস্যা। এটি দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: একটি গণতান্ত্রিক সমাজে, জনগণের যৌক্তিক সমালোচনা করার এবং প্রশ্ন করার অধিকার অবশ্যই থাকতে হবে। একই সাথে, সকলের নিজ নিজ কাজের জন্য জবাবদিহি করার ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশে গনতন্ত্রের বিকাশ হয়নি।বহু বছর দেশে সামরিক শাসন ছিলো।ভারতে একদিনের জন্যও সামরিক শাসন আসে নাই।
তাছাড়া ইসলামের সাথে গনতন্ত্র সাংঘষিক।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: গণতন্ত্র একটি জটিল এবং ক্রমাগত বিকশিত হওয়া ধারণা। কোনো দেশেই গণতন্ত্র পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সামরিক শাসনের ইতিহাস গণতন্ত্রের পথে একটি বড় বাধা ছিল। তবে, আমাদের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। ইসলাম ও গণতন্ত্রের সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক বিষয়, এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কারণ কেউই সৎ না সবাই তার ব্যাক্তিগত সম্পদ ভাবে দেশটাকে। ক্ষমতা ছাড়লে মুধু খাওয়া বন্ধ হবে তাই ক্ষমতাই একমাত্র পথ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে খাটি দেশপ্রেমিক নেই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫১
এ পথের পথিক বলেছেন: আমাদের দেশে কোন পজিশনেই জবাবদিহিতামুলক ব্যবস্থা চালু নেই । যৌক্তিক সমালোচনা, প্রশ্ন করার অধিকার জনগনের থাকতে হবে এবং সবার নিজ কাজের জবাবের ব্যবস্থা রাখতে হবে । আশা করছি এ সরকার এ দিকে নজর দিবে ।