নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাবটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই নিবন্ধে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদীয় পদ্ধতির বৈচিত্র্য এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে এর তুলনা করব। বিশেষ করে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুবিধা ও অসুবিধা, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন এবং আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদীয় পদ্ধতি:
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ রয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি দেশে এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রচলিত। তবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ কিছু দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ রয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে সাধারণত একটি নির্বাচিত নিম্নকক্ষ এবং একটি নিয়োগপ্রাপ্ত বা আংশিকভাবে নির্বাচিত উচ্চকক্ষ থাকে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুবিধা:
* বিচক্ষণতা: দুটি কক্ষের মধ্যে আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া আরও বিচক্ষণ ও সুসংহত হয়।
* প্রতিনিধিত্ব: দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকে আরও ভালোভাবে নিশ্চিত করতে পারে।
* সমীক্ষা ও ভারসাম্য: উচ্চকক্ষ নিম্নকক্ষের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার উপর একটি সমীক্ষার ভূমিকা পালন করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে সহায়তা করে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের অসুবিধা:
* ধীরগতি: দুটি কক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টিতে সময় লাগতে পারে, ফলে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ধীরগতি হতে পারে।
* দ্বন্দ্ব: দুটি কক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে এবং ফলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
* অতিরিক্ত ব্যয়: দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হয়।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি:
বাংলাদেশে এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ রয়েছে। নির্বাচন প্রধানত প্রথম অতীত পদ্ধতিতে হয়। সংসদের ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। নারীরা নির্বাচিত হন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের মাধ্যমে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ও আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি:
বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে ১০০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। উচ্চকক্ষে আসন থাকবে ১০৫টি এবং নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতি নারীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারে।
সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা জরুরি। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুবিধা ও অসুবিধা, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন এবং আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দেশের আয়তন ছোট হলেও জনসংখ্যা বেশি। সিট সংখ্যা বাড়ালে বড় দলগুলো আরও বেশি নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট রাখতে পারবে এবং দলীয় একতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে পারে।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের আর্থিক ব্যয় নির্বাহে সক্ষম নয়।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার আর্থিক ব্যয় এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ, দুটি কক্ষের জন্য অতিরিক্ত কর্মচারী, অফিস স্থান এবং অন্যান্য সুবিধা প্রয়োজন। তবে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ আইনের মান উন্নত করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য আরও উপকারী হতে পারে।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৮
রাসেল বলেছেন: বিগত সরকারগুলোর মতো মেম্বার নিয়ে হাজার কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হলেও কোনো ফায়দা নাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সংসদের আকার নিয়ে আলোচনা করার সময় শুধু সংখ্যা নয়, বরং সংসদের গঠন, সদস্যদের যোগ্যতা এবং সংসদীয় প্রক্রিয়াগুলোকেও বিবেচনা করা উচিত। একটি সুষ্ঠু এবং কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য একটি বহুমাত্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশের সবচাইতে বড়ো সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি দূর করা না গেলে দ্বি-কক্ষ কেন, আরো বেশি স্তরের ব্যবস্থা করলেও কাজ হবে না। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ভারসাম্যের যে কথা উঠেছে, তাও কোনো ফল দিবে বলে মনে হয় না।
তবে বড়ো প্রশ্ন হলো, এই পদ্ধতি রাজনৈতিক দলগুলো মানবে কিনা। আগামী নির্বাচনটা কোন পদ্ধতিতে হবে? এই সংবিধান আগে সংসদে তুলতে হবে অনুমোদনের জন্য। সেই প্রক্রিয়া খুবই সময়সাপেক্ষ।
উচ্চকক্ষের সাংসদরা হবেন সংখ্যানুপাতে মনোনীত ব্যক্তিবর্গ। তাদের সংসদীয় আসন থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। সংসদীয় আসন না থাকলে সেই সাংসদদের গুরুত্ব কমে যাবে।
আগে দেখা যাক, এই সুপারিশ অনুমোদন পায় কিনা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত আছে এই লিংকে। আগ্রহীদের জন্য।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হলে সকল স্তরে কাজ করতে হবে। শুধু সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তন দিয়েই দুর্নীতি দূর করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জটিল ভাই বলেছেন:
এ দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট্য সংসদ হলে ত্রিকক্ষ হবে। যার একটি গুপ্তকক্ষ
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জাতীয় সংসদের তাহলে মাত্র ২ খানা কক্ষ থাকিবে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:১৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: না কক্ষ একখানাই থাকিবে তবে দুই লোক বসিবে।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
রাসেল বলেছেন: মন্তব্যে লেখক বলেছেন: দুর্নীতির মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সর্ষের মধ্যে যদি ভূত থাকে ভূত তাড়াবেন কীভাবে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দেশ চালানোর জন্য আমাদের ফেরেশতার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশের মানুষই দেশ চালাবে। আমাদের মধ্যে থেকেই সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সংসদের খরচ অনেক। দরিদ্র দেশ অনুযায়ী খরচ অনেক বেশি। যদি খরচ কমাতে এক কক্ষ করা লাগে, তবে তাই সই।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত ছোট একটি দেশে ৫০৫ সিটের কোন দরকার আছে?