নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে সমবায় সমিতির দুর্নীতি: সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪

বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমানে অনেক সমবায় সমিতিই নিজস্ব লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার শিকার করে তুলছে। বিশেষ করে, অনিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়।

সমস্যার মূল:

অনিয়মিত নিবন্ধন: বহুমূখী সমবায় সমিতির সংখ্যা লক্ষাধীক হওয়া সত্ত্বেও, অনিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বেশি। এই অনিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উচ্চ সুদের প্রলোভন: এই প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত উচ্চ সুদের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে আমানত দিতে উৎসাহিত করে। অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় অনেকেই এই প্রলোভনে পড়ে যায়।
পরিচালনা পরিষদের অদক্ষতা: অনেক সমবায় সমিতির পরিচালনা পরিষদে অদক্ষ এবং লালসার লোকজন থাকায় তারা সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে বা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে।
দুর্বল আইন প্রয়োগ: সমবায় সমিতি সম্পর্কিত আইন থাকলেও, তা যথাযথভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

ফলাফল:

সাধারণ মানুষের ক্ষতি: এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের সঞ্চয় হারায় এবং আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ে।
সমবায় আন্দোলনের ধ্বংস: এই ধরনের ঘটনা সমবায় আন্দোলনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সমবায় সমিতি সম্পর্কে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
অর্থনীতির ক্ষতি: এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে এবং বিনিয়োগের পরিবেশকে প্রভাবিত করে।

সমাধান:

কঠোর আইন প্রয়োগ: সমবায় সমিতি সম্পর্কিত আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সমবায় সমিতির কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে।
শিক্ষা ও সচেতনতা: সাধারণ মানুষকে সমবায় সমিতি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং তাদেরকে সঠিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে হবে।
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ: অনিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে নিবন্ধন করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
সরকারি পদক্ষেপ: সরকারকে সমবায় খাতে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং এই খাতের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশে সমবায় সমিতির দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সকল স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। শুধুমাত্র স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.