নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দিন দিন দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপের বাজারে টানা ৫ মাস ধরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সাফল্য।
কেন ইউরোপে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে?
মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার হ্রাস: পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার কমে যাওয়ায় গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ফলে পোশাকের চাহিদাও বেড়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের মান: বাংলাদেশি পোশাকের মান উন্নতির ফলে ইউরোপীয় ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
চীন থেকে অর্ডার স্থানান্তর: চীনের বাণিজ্য সংক্রান্ত উত্তেজনার কারণে কিছু অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে।
ব্যয়-কার্যকারিতা: বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদনের খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, যা বাংলাদেশি পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ইউরোপে বাংলাদেশের অবস্থান:
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ চীনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। গত বছরের প্রথম ১১ মাসে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গড়ে ২.৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি।
আগামী দিনে কী আশা করা যায়?
সরকার যদি যথাযথ নীতি সহায়তা প্রদান করে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত রাখে, তাহলে আগামী মাসগুলোতে অর্ডারের এই ধারা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ইউরোপীয় বাজারে দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলছে। এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সরকারের সহযোগিতা রয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দিনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরও বেশি উন্নতি করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছর ধরেই পোশাক শিল্পে হুহু করে এগিয়ে যাচ্ছে।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২২
নতুন বলেছেন: ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং আফ্রিকার অনেক দেশে এখন গার্মেন্টস কারখানা চালু হয়েছে। সেখানেও সস্তা শ্রমশক্তি রয়েছে, এবং আগামী সময়ে এসব দেশের বিক্রেতারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় এখন থেকেই সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।