নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকের ভয়াল থাবা: বিপন্ন তরুণ প্রজন্ম

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য রীতিমতো উদ্বেগজনক, দেশে প্রতি হাজার জনসংখ্যার মধ্যে একজন মাদক কারবারি রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকার মাদক বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, বছরে এই কারবারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা!

পাশের দেশের ষড়যন্ত্র ও মাদকের বিস্তার:

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার ঘটছে। যদিও আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না, তবুও সীমান্ত এবং সমুদ্রপথ ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে মাদক প্রবেশ করছে।

বিপন্ন তরুণ প্রজন্ম:

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, মাদকসেবীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই তরুণ এবং শিক্ষার্থী। এই তথ্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অশনি সংকেত। তরুণ প্রজন্মকে এই মরণনেশা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোট-বড় সকল মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

করণীয়:

মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তার রোধ করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিচে উল্লেখ করা হলো:

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি: সীমান্ত এবং সমুদ্রপথে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে, যাতে মাদক প্রবেশ করতে না পারে।
কারবারিদের কঠোর শাস্তি: মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন জোরদার: পরিবার এবং সমাজের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, যাতে তরুণ প্রজন্ম বিপথে না যায়।
পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন: মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হলে এখনই সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩১

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

নতুন বলেছেন: মাদক ব্যবসায়ীদের সাজা মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত। একটা সমাজ ধংষ করে দেয় মাদক।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: মাদক বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন।ইয়াবা ফেন্সি গাজা নাকি মদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মাদক বলতে আমরা সাধারণত এমন সব পদার্থকে বুঝি যেগুলো শরীরে প্রবেশ করলে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে। এই প্রভাবগুলি প্রথমে আকর্ষণীয় মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর এবং ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমি সব ধরনের মাদকের কথা বলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: ইয়াবা ভারত থেকে আসে না।কিছু কিছু ভারত হয়ে আসতে পারে।ইয়াবা বার্মা থেকে আসে।ফেন্সিডিল ভারত থেকে আসে।এটার বৈধতা আছে ঔষধ হিসাবে।মদ গাজা পরিমিত খেলে (পান করলে) উপকার পাওয়া যায়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: @কামাল১৮ ভারত এবং মিয়ানমার দুই দেশ আমাদের প্রতিবেশী এই দেশ দুটির সাথে আমাদের বর্ডার আছে। আমি এই দুই দেশের কথাই বুঝিয়েছি নাম উল্লেখ না করে।

ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা এগুলোর কিছুটা উপকার আছে বুঝলাম কিন্তু মানুষ যখন এগুলো পান করে তখন নেশা করার জন্য পান করে। চলতি কথায় পোলাপান পিনিক চায় এগুলো খেয়ে। এখানেই মূল সমস্যা।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মাদক ব্যবসা আমাদের দেশে সব সময় জমজমাট। কাওরানবাজারের মতো এলাকায় ওপেন মাদক বিক্রি হচ্ছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৩

জটিল ভাই বলেছেন:
এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সবাই যদি একটু ভাবতো!!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১২

অগ্নিবাবা বলেছেন: মদ বিয়ার খাইতে না দিলে এইসব ইয়াবা মিয়াবা ফেন্সি মেন্সি তো খাইবই। মদ বিয়ার লিগ্যাল করে ট্যাক্স কমায়ে দ্যান, যার দরকার সে খাইব যার দরকার নাই সে খাইব না। সারা দুনিয়ার মানুষ মদ গিলতেছে, আর যত্ত অসুবিধা এই মুসলমানগো। আরবের
মিয়ারা টাকা দিয়ে দামী মদ খাইতেছে দরজা বন্ধ কইরা, তারা ভালো আছে। জাপানে মদ পানির দামে বিক্রি হয়, জাপানীরা মদ খাইয়া ১০০ বছর বাঁচে, আর বাংলাদেশের গরিব মুসলমান সস্তায় মদ না পাইয়া বিষ খাইয়া মরতাছে। দেশে ভালো মদ বানাইতে কি রকেট সাইন্স লাগে? মগজরে আপডেট দেওন লাগে। আজব কাজ কারবার হয় এই বাংলাদেশে। মাঝখানে ১৪শ বছরে মাইনষে অনেক কিছু জাইন্না গেছে, এইডা এরা মানতে চায় না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে দাবিগুলো করেছেন সেগুলো সম্পর্কে আসুন একটু বিশ্লেষন করে দেখা যাক।

দাবি ১: মদ বিয়ার বেআইনি থাকলে মানুষ অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্য সেবন করবে।

বিশ্লেষণ: এই দাবি সত্যের অনেক কাছাকাছি। মদ বিয়ার বেআইনি হলে অনেক মানুষ অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের দিকে ঝুঁকতে পারে। কিন্তু এটাও সত্য যে, মদ বিয়ার বৈধ হলে নতুন নেশাজাত দ্রব্যের উৎপাদন এবং বিক্রয় আরও বেড়ে যেতে পারে।

দাবি ২: মদ বিয়ার বৈধ করে ট্যাক্স আয় বাড়ানো যাবে।

বিশ্লেষণ: এই দাবি আংশিক সত্য। মদ বিয়ার বৈধ করে সরকার ট্যাক্স আয় বাড়াতে পারে। কিন্তু এই ট্যাক্স আয়ের বিপরীতে স্বাস্থ্য খাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সমাজকল্যাণের জন্য আরও বেশি ব্যয় করতে হতে পারে।

দাবি ৩: সারা দুনিয়ার মানুষ মদ খায়, তাই বাংলাদেশেও তা বৈধ করা উচিত।

বিশ্লেষণ: অন্য দেশের অনুসরণ করা সবসময় সঠিক নয়। প্রতিটি দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা অন্য দেশের থেকে আলাদা।

দাবি ৪: আরবের মিয়ারা দামী মদ খায়, জাপানীরা মদ খাইয়া ১০০ বছর বাঁচে।

বিশ্লেষণ: এই দাবি অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন। আরবের সমাজে মদ্যপান একটি জটিল সমস্যা এবং জাপানীদের দীর্ঘ জীবনের পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, শুধু মদ্যপান নয়।

দাবি ৫: বাংলাদেশে ভালো মদ বানাতে কিছুই লাগে না।

বিশ্লেষণ: মদ উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এর জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন।

দাবি ৬: ইসলামে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে।

বিশ্লেষণ: ইসলামের মূলনীতিগুলো অপরিবর্তনীয়। কিন্তু ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের ব্যাখ্যা এবং চর্চা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।

মদ্যপান একটি জটিল সমস্যা এবং এর কোনো সহজ সমাধান নেই। মদ বৈধ করার পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তি উভয়ই রয়েছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত সকল দিক বিবেচনা করা উচিত।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫২

অগ্নিবাবা বলেছেন: বিস্তারিত প্রতিউত্তরের জন্য ধন্যবাদ। অতিরিক্ত মদ কেন, পানি পান করাও অস্বাস্থ্যকর।
যত নিষেধাজ্ঞা বা লুকোচুরি করা হবে, মানুষ ততই তা খুঁজে খুঁজে খাবে।
তবে এই জিনিসগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।

মদ ২০ বছরের আগে খাওয়া যাবে না, যে বিক্রি করবে তার আইনত শাস্তি হবে।
মদ খেয়ে গাড়ি চালানো যাবে না, ধরা পড়লে আইনত শাস্তি হবে।
মদের গুণগত মান যাচাই করার জন্য আবগারি দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা লাগবে।
আমার কথা হলো, অমুক বহু বছর আগে বলেছে মদ খাওয়া যাবে না,
তাই খাওয়া যাবে না—এগুলো কেমন বোকা-বোকা কথা!
মাথায় ব্যথা হয় বলে মাথাটাই কেটে ফেলা যুক্তিসঙ্গত নয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমরা হয়তো বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বিষয়কে দেখি, কিন্তু আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনাকে আবারো ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.