নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
যুগ যুগ ধরে প্রিন্টিং ব্যবসা আমাদের সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। একসময় ছিল যখন ছাপাখানা ছাড়া কোনো কিছুই কল্পনা করা যেত না। বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, সবই আসত ছাপাখানা থেকে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই শিল্পের চিত্রপট বদলে যাচ্ছে। অনলাইন মাধ্যম আর ই-বুকের আগমনে ছাপাখানার সেই সোনালী দিন যেন অস্তমিত হওয়ার পথে।
একটা সময় ছিল যখন ছাপাখানা মানেই ছিল কর্মমুখর পরিবেশ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা মেশিনের আওয়াজ, আর সদ্য ছাপা হওয়া কাগজের গন্ধ। আজ সেসব অতীত। এখনকার দিনে, বেশিরভাগ কাজই হয় কম্পিউটারে। ডিজাইন থেকে শুরু করে কম্পোজ, সবকিছুই ডিজিটালি করা হয়। ফলে ছাপাখানার উপর নির্ভরশীলতা অনেক কমে গেছে।
শুধু তাই নয়, কাগজের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকের অভাব, আর বিদ্যুৎ খরচ - এসব কারণেও ছাপাখানা ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে টিকে থাকতে হলে তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, কৌশল পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
তবে কি এই শিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকার?
হয়তো নয়। ছাপাখানার এখনও কিছু বিশেষত্ব আছে যা অনলাইন মাধ্যমে পাওয়া যায় না। যেমন, বইয়ের গন্ধ, স্পর্শ, আর নিজের হাতে ধরে পড়ার অনুভূতি। তাছাড়া, কিছু বিশেষ ধরনের কাজ, যেমন - পোস্টার, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, এখনও ছাপাখানাতেই করতে হয়।
তাই, ছাপাখানা ব্যবসায়ীদের টিকে থাকতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসতে হবে, আর গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে হবে। হয়তো সোনালী দিন আর ফিরে আসবে না, তবে এই শিল্প এখনও টিকে থাকতে পারবে, যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১২
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে বাংলা বাজারের কথা মনে পড়ে গেলো।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
আব্দুল মতিন মুনি্স বলেছেন: সব কিছু তছনছ করার পরেও যে এই জাতী জগদল পাথরকে সরাতে পেরেছে সেটাই বড় সুভাগ্য
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: টেনশন লিয়েন না; যদ্দিন বিসিএস আছে, তদ্দিন ছাপাখানাও থাকবে।
আমরা আসলে খুব কম সময়ে প্রচুর টেকনোলজির উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে, যা আগে কখনও হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এখন মানুষ অনেকাংশেই ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। আমাকে যেই বই পড়তে হলে আম্রিকা থেকে ইম্পোর্ট করে পড়তে হতো, তা এখন মাত্র ২ সেকেন্ডেই কিন্ডেলে কিনে পড়তে পারছি। সুবিধাতো নিবোই, তাই নয় কি?
ছাপাখানার ভবিষ্যৎ এক সময় টাইপরাইটারের মত হবে বোঝা যায়, তবে সেটা এত দ্রুত নয় আশাকরি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৭
আহরণ বলেছেন: কোডাক ফ্লিম, পোষ্ট অফিস, টাইপ মেশিন, ফাউন্টেন পেন...... এসব এখন নেই বল্লেই চলে। ছাপাখানা ঐ দিকেই যাচ্ছে... @ ভাইয়া?