![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারবিরোধী ক্ষোভ। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলমান রাজনৈতিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ, দূর্নীতি, গুম, খুন ও অনিয়মের প্রতিবাদে এই গণবিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে মতামত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তবে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরেও হামলার ঘটনা ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
পিনাকী ভট্টাচার্য ও ইলিয়াস হোসেনের প্রভাব
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও ইলিয়াস হোসেনের মতো ব্যক্তিরা। তাঁদের বক্তব্য ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে জনগণ একটি নির্দিষ্ট ভাবধারার দিকে প্রভাবিত হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁরা যেন হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মতো জনগণকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তবে এই আন্দোলন কতটুকু স্বতঃস্ফূর্ত আর কতটুকু পরিকল্পিত, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
সরকারের ভূমিকা ও প্রতিক্রিয়া
সরকার এই আন্দোলন দমনে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে, যা সরকারের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য ভূমিকা ও শঙ্কা
এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়েও নানা আলোচনা চলছে। যদি সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরি হবে? ইতিহাস বলে, এ ধরনের গণবিক্ষোভ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তখন সেনাবাহিনী সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। তবে এটি কতটা গণতান্ত্রিক বা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে, সেটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশ কি অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের ধরণ দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশ কি জলপাই রঙের (সামরিক শাসনের) অন্ধকারে ডুবে যেতে চলেছে? ইতিহাস বলে, এমন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। তবে, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দূরদর্শিতাই ঠিক করবে, বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে।
বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিক্ষোভের মূল কারণগুলোকে স্বীকার না করে এবং বাস্তবসম্মত সমাধান না খুঁজে শুধু দমননীতির আশ্রয় নিলে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ অবস্থায়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীলতা এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে, বাংলাদেশ কি একটি গঠনমূলক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে, নাকি আরও বড় সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার অনুভূতি ও হতাশা বোঝা যাচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। তবে, সহিংসতা বা চরমপন্থা কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে না। পরিবর্তন আনার জন্য সচেতনতা, সংগঠিত প্রয়াস এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: সেনা নির্ভর সরকারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে চলমান পরিস্থিতি । নেতাদের বাড়ি পুড়িয়ে পাতি নেতা তারপর সমর্থকদের বাড়ি হবে টার্গেট । ৩২ নাম্বার পোড়ানোতে নিরব সমর্থন ঘটনা প্রবাহকে ভিন্ন দিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার উদ্বেগের সাথে একমত যে চলমান পরিস্থিতি সত্যিই একটি সম্ভাব্য সেনা-সমর্থিত সরকারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা বৃদ্ধি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা, এবং এটি অবশ্যই সমাজে অস্থিরতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে।
আমি মনে করি, ৩২ নম্বর বাড়ির ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। এই ঘটনাটি অনেক মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। আপনার মন্তব্যে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনাগুলি কেবল রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এই পরিস্থিতিতে, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের এবং সরকারকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত। তাদের উচিত জনগণের grievances শোনা এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য কাজ করা। অন্যথায়, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং আমাদের দেশকে একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আমি আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত যে আমাদের সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: অন্তবর্তী সরকারের এখনই ১৪৪ ধারা জারী করে দেশব্যপী সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিশিদ্ধ ঘোষনা করা দরকার। এরপর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেয়া উচিত। আর্মি ক্ষমতায় আসার অর্থ জুলাই-অগাস্ট বিপ্লব পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যাওয়া।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার মনে হয় শুধু ১৪৪ ধারা জারি করা বা দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রয়োজন একটি সামগ্রিক রাজনৈতিক সমাধান। রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে বসতে হবে এবং একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
কু-ক-রা বলেছেন: প্রথমে উহারা আফসোস লীগ হইল অতঃপর উহারা আশাবাদি লীগ হইল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্য ব্যঙ্গাত্মক হলেও এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের এক ধরনের ইঙ্গিত রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন, যা রাজনৈতিক বাস্তবতারই অংশ। তবে প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যতে তারা কোন অবস্থানে যাবে? আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পরিবর্তনের পেছনে মূল কারণ কী হতে পারে?
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
রাসেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার মনে হয় শুধু ১৪৪ ধারা জারি করা বা দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যথেষ্ট নয়।
দ্রুত নির্বাচন কি আমাদের নৈতিকতা উন্নয়নের কোনো সম্ভাবনা রাখে? আমার মতে; আরেক দল চুরি বাটপারি করবে, সেই সম্ভাবনা রাখে। আমি বলি না, বর্তমান সময়টা ভালো।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু নির্বাচন করলেই নৈতিকতার উন্নতি হবে, এমনটা বলা কঠিন। যদি সুশাসন, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, জনগণের আস্থার সংকট থেকেই যাবে। তবে পরিবর্তনের জন্য সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: কিছুই হবে না। আওয়ামীলীগ এমন একটা দল যে যদি ক্ষমতা থাকতো আজই হামলা করে সরকার পতন করতো। সেটা করছে কারণ তাদের ক্ষমতা নাই এখন। তাদের না আছে ক্ষমতা আর না আছে জনসমর্থন।
আর এই সরকারের পেছনে এমনিতেই সেনা সমর্থন রয়েছে, প্রভাব রয়েছে। সেনাদের আলাদা ভাবে ক্ষমতা গ্রহনের কোন দরকার নেই।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ একটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যা বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন হতে পারে। ক্ষমতা এবং জনসমর্থনের ওঠানামা রাজনীতির স্বাভাবিক চক্রের অংশ, এবং ইতিহাস দেখিয়েছে যে, বিভিন্ন দল ক্ষমতায় থাকাকালীন ও বিরোধী অবস্থানে ভিন্নভাবে আচরণ করে। তবে মূল প্রশ্ন হলো, জনগণের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে? সেনা সমর্থন বা রাজনৈতিক কৌশল যা-ই থাকুক, টেকসই সমাধানের জন্য কী ধরনের গণতান্ত্রিক ও কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই সরকার উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, তাকে বসানো হয়েছে। আর যা ঘটছে তা যে ঘটবেই, প্রাপ্য বিষয়গুলো ফিরত যায়না। যে যার হিসেব পেয়ে যাবে। এতো রক্ত তারপরে যাদের এতটুকু হৃদয় কাপেনি তাদের বাড়ি ঘরের জন্য আফসোসের শেষ নেই। আমি এখন পর্যন্ত আওয়ামী কাউকে পাইনি যে ওরা এতটুুকু অনুতপ্ত হয়েছে জুলাইয়ের ঘটনারর জন্য! সে সুবাধে এসব যেনো ওনাদের প্রাপ্য। তারপরে কারোর উপরে বিচার বহির্ভূত কোন অন্যায় সমর্থন করিনা। যা দেখছি তা যেনো আর না দেখতে হয়, দেশ যেনো একটা স্থিতিশীতার মধ্যে দিয়ে যায় সে কামনা এখন সর্বাতক।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ভেতরে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। সত্যিই, কোনো সরকারই শূন্য থেকে উঠে আসে না—তার পেছনে নানা প্রভাব ও শক্তি কাজ করে। অতীতের অন্যায় ও রক্তের মূল্য যে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়, তা আমরা সবাই জানি। তবে প্রতিশোধের চক্র কি সত্যিই দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে, নাকি আরও বিশৃঙ্খলা বাড়াবে? ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অভাব থেকেই আজকের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, আর তা সমাধান করাই আসল চ্যালেঞ্জ। আপনি কি মনে করেন, এর শান্তিপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ কী হতে পারে?
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: জনতা কোথায় দেখলেন।জামাত শিবির আর কিছু জঙ্গী।পতাকা তার প্রমান।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ধন্যবাদ। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গেলে এটা বোঝা জরুরি যে, যেকোনো গণআন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী সক্রিয় থাকতে পারে। এটি সত্য যে, কিছু রাজনৈতিক ও উগ্রপন্থী গোষ্ঠী পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, তবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখা কতটা যৌক্তিক? সাধারণ মানুষের অসন্তোষ ও ক্ষোভকেও কি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা সম্ভব? আপনার মতে, কিভাবে সত্যিকারের গণআন্দোলন ও চক্রান্তমূলক অপপ্রয়াসের মধ্যে পার্থক্য করা যেতে পারে?
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: কোন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে,যেটা সম্পর্কে জনগন অবহিত এবং বাস্তবায়নে সকল শ্রেনীর জনগনের অংশ গ্রহন থাকে সেটাই সত্যি কারের গন আন্দোলন।ভিন্য মত থাকতে পারে।এই আন্দোলন আগাগোড়াই ছিলো চোর পুলিশ খেলা।
বলা হচ্ছে হাসিনার ভাষণের প্রতিক্রিয়া কিন্তু বাস্তবে কি দেখলাম।ভাষণের আগেই ভাংগা শুরু হয়ে গেছে।টক শোতে দুই জন নেতৃস্থানীয় সমন্বয়ক বললো তারা হাসিনার ভাষণ শুনেইনি।না শুনেই প্রতিকৃিয়া।এর পরিনতী তাদের ভোগ করতে হবে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণআন্দোলনের বৈশিষ্ট্যই হলো সুস্পষ্ট লক্ষ্য, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব। যদি তা না থাকে এবং অপ্রত্যাশিত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়, তবে সেটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে এটাও সত্য যে, দীর্ঘদিনের ক্ষোভ অনেক সময় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় রূপ নেয়, যা পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার মতো নাও হতে পারে। পরিস্থিতির আসল চালিকাশক্তি কী ছিল, সেটি বিশ্লেষণ করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এতে করে দেশে ঐক্য বিনস্ট হওয়া ছাড়া আর কোন ভালো কিছু হয়নি।
আলীগ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এতে ১০ গুণ ফিরিয়ে দেবে এটা নিশ্চিত ।
তখন কারো বাড়ির মাটিও অবশিষ্ট থাকবে না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার আশঙ্কা বুঝতে পারছি। প্রতিহিংসার রাজনীতি কোনো দেশ বা সমাজের জন্যই কল্যাণকর নয়। যদি প্রতিটি পরিবর্তনের জবাব প্রতিশোধের মাধ্যমে দেওয়া হয়, তবে তা কেবল সহিংসতার চক্রকেই বেগবান করবে, যা দেশকে আরও বিভক্ত করবে। পরিবর্তনের জন্য ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
জিকোব্লগ বলেছেন:
@সন্ত্রাসী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে খুনি হাসিনার এজেন্ট,
তোর কথা ঠিক হলে তো পৃথিবীতে সব পতিত স্বৈরাচারীরা আবার ফিরে আসতো।
তুই এখন নিজেকে নিয়ে ভাব, তোর কি পরিণতি হবে যদি না সন্ত্রাসী থেকে ভালো না হস।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমি সহিংস বা ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক মন্তব্যকে উৎসাহিত করি না। গঠনমূলক আলোচনা ও মতবিনিময়ই কোনো সমস্যার সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে। মতের পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে যুক্তিসঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান খোঁজা উচিত। আমাদের উচিত বিভেদ নয়, বরং যুক্তিনির্ভর আলোচনা দিয়ে একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা।
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সারা দেশে সমন্বয়কদেরকে ধরে ধরে পেটানো হোক।
এরা এখন ডাকাত বাহিনী।
পিটাও ডাকাত বাাঁচাও দেশ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সহিংসতা বা প্রতিহিংসার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বরং এটি আরও বিভাজন ও অরাজকতা তৈরি করে। গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে মতপার্থক্যের সমাধান আলোচনা, আইনানুগ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত আক্রমণ ও সহিংসতার আহ্বান কোনোভাবেই সুস্থ সমাজের প্রতিফলন নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: জামাত শিবিরের শেষ পরিনতি খুব খারাপ হবে। পালিয়েও বাচতে পারবে না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক, সহিংসতা বা প্রতিহিংসার ভাষা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস দেখিয়েছে, প্রতিশোধের রাজনীতি সমাজকে শুধু আরও বিভক্ত করে। আমাদের উচিত অহিংস পন্থায় সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা এবং সবার জন্য ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: যখন যুদ্ধ ঘোষিত হয়ে যায় তখন কি করতে হবে।তখন কি শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান সম্ভব।দুটি বিশ্ব যুদ্ধেই বিজয়ের পর শান্তি স্থাপিত হয়ে ছিলো।এই দ্বন্দ্ব একন আর অবৈরী দ্বন্দ্বের মধ্যে নাই।
বাংলাদেশের সমস্যা এখন মৌলবাদ ও গনতন্ত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব।এখানে বিজয় অর্জন করেই শান্তি স্থাপন সম্ভব।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রাজনৈতিক ও আদর্শগত দ্বন্দ্বকে সরাসরি যুদ্ধের সমতুল্য ভাবা কতটা বাস্তবসম্মত, সেটি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক সংঘাত শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে, আর যুদ্ধের পরও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সময় ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন হয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান সংকটকে মৌলবাদ ও গণতন্ত্রের সরল দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখলে বাস্তব পরিস্থিতির অনেক দিক উপেক্ষিত থেকে যায়। আসল চ্যালেঞ্জ হলো, কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা যায় এবং কিভাবে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিভেদকে সহিংসতার দিকে না ঠেলে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায়।
শান্তি অর্জনের জন্য কেবল বিজয় নয়, বরং সকল পক্ষের অংশগ্রহণ, সহনশীলতা এবং ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তাই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বয়ে আনতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৬
রাসেল বলেছেন: যা ঘটতেছে, পরিণতি ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, সঙ্গত কারণেই ফলাফল ভালো হবে না। জানি না কোন প্রতিরোধ আছে কি না, চেষ্টা থাকলে খুব অল্প সংখ্যক লোকের দ্বারা করা হয় এবং ফলাফল শূন্য। আমার প্রস্তাব, আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের তিলেতিলে শোষণ না করে, মেরে ফেলা হউক।