![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন বিপ্লবের নাম এজেন্ট ব্যাংকিং। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে চালু হওয়া এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রগুলো সাধারণ মানুষের ব্যাংকিং চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
লেবু ভাইয়ের সাফল্যের গল্প
কামারপাড়া এলাকার লেবু ভাই তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য পরিচিত নাম। মোবাইল রিচার্জ এবং বিকাশ ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও তিনি সময়ের সাথে সাথে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেন। তার উদ্যোগ সফল হয়, এবং বর্তমানে তার এজেন্সিতে প্রায় তিন কোটি টাকার উপরে ডিপোজিট রয়েছে। একসময় যে মোড়টি শাপলার মোড় নামে পরিচিত ছিল, তা এখন লেবুর মোড় নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সাফল্যের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
দেশব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার
২০১৪ সালে ছোট পরিসরে শুরু হওয়া এজেন্ট ব্যাংকিং এখন দেশজুড়ে ২১ হাজারের বেশি কেন্দ্রে বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় দুই কোটি ৪০ লাখের বেশি গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন এবং মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেবা সমূহ
এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রগুলো সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করছে, যেমনঃ
০১. টাকা জমা ও উত্তোলন
০২. ঋণ গ্রহণ
০৩. পরিষেবা বিল পরিশোধ
০৪. প্রবাসী আয় গ্রহণ
০৫. হিসাব খোলা
এই সুবিধাগুলো গ্রামের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিশেষভাবে সহায়তা করছে, কারণ এজেন্টদের ৮৫ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঋণ বিতরণের চ্যালেঞ্জ
যদিও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে ঋণ বিতরণের পরিমাণ এখনো তুলনামূলকভাবে কম। ব্যাংকগুলো তাদের মোট আমানতের ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার অনুমতি পেলেও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৫৭.২৭ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, অধিকাংশ ব্যাংক এখনো এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি।
শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও তাদের অবদান
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাব খোলার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে, যার বাজার শেয়ার ২৯.৩০ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অন্যদিকে, আমানত সংগ্রহের দিক থেকে ইসলামী ব্যাংক ৩৯.০৩ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক সবচেয়ে এগিয়ে, যা মোট ঋণের ৬৭.২২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং একটি সফল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে নিরাপদ ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে। তবে ঋণ বিতরণের অনুপাত বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোর আরও কার্যকর অবকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে বলে আশা করা যায়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সময় করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এজেন্ট ব্যাংকিং
.........................................
গ্রাম বাংলার প্রান,
আপনার আলোচনা সুন্দর ও বিষয় ভিত্তিক , সেজন্য ধন্যবাদ ।
দুটি কথা এখানে আসে নাই,
এজেন্ট ব্যাংকিং সন্পূর্ণ স্হানীয় অপারেটর এর উপর নির্ভরশীল
এবং নিজ ডিপোজিট না থাকলে কার্যক্রম চালানো কঠিন হয় ।
আরেকটি বিষয় বলা দরকার ছিল তাদের আয় বা মুনাফা কি করে অর্জন হয় ।
................................................................................................
শুভেচ্ছান্তে,
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনাকেও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।