![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুনত্ব আনার প্রত্যয় নিয়ে গঠিত হতে যাওয়া এই সংগঠনটি আদর্শিকভাবে কতটা ভিন্ন হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিগত কয়েক দশকে ছাত্র রাজনীতির চিত্র দেখে বলা যায়, অধিকাংশ সংগঠন আদর্শগতভাবে দুর্বল হয়ে ক্ষমতার আশ্রয়ে চলে গেছে। এই নতুন সংগঠন কি সে ধারার ব্যতিক্রম হতে পারবে?
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি বরাবরই জাতীয় রাজনীতির প্রতিফলন। একসময় যে ছাত্র সংগঠনগুলো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার মূল কেন্দ্র ছিল, সেগুলোর অনেকে এখন ক্ষমতার লেজুড়বৃত্তিতে পরিণত হয়েছে। নতুন এই সংগঠন নিজেকে আদর্শিকভাবে স্বতন্ত্র রাখতে পারবে কি না, তা নির্ভর করবে তাদের রাজনৈতিক কৌশলের ওপর। তারা যদি সত্যিই বৈষম্যবিরোধী ও মেধাভিত্তিক নেতৃত্ব গঠনের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে এটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে যদি এটি চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা প্রতিপক্ষ দমনে প্রচলিত পথ অনুসরণ করে, তাহলে এটি কেবল আরেকটি ব্যর্থ উদ্যোগ হয়ে থাকবে।
এই সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চাঁদার ওপর নির্ভর করবে বলে জানা গেছে, যা ইতোমধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস বলছে, অর্থের প্রয়োজন মেটাতে অনেক সংগঠনই চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে পড়েছে। নতুন সংগঠনটি কীভাবে এই ফাঁদ এড়িয়ে চলবে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তারা কি অর্থের বিকল্প উৎস খুঁজবে, নাকি প্রচলিত পথেই হাঁটবে?
এছাড়া, এই সংগঠন নারীদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় ভূমিকা দেওয়ার কথা বলছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু এটি কতটা কার্যকর হবে, সেটিও দেখার বিষয়। ইতিহাস বলে, ছাত্র সংগঠনগুলো নারী নেতৃত্বকে সামনের সারিতে রাখার কথা বললেও বাস্তবে তাদের ভূমিকা প্রায়শই সীমিত থেকে যায়। যদি এটি কেবল প্রতীকী উদ্যোগ হয়ে থাকে, তাহলে কোনো দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আসবে না।
সর্বোপরি, নতুন ছাত্র সংগঠনটি যদি সত্যিই আদর্শিকভাবে দৃঢ় থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে এটি দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে যদি এটি প্রচলিত ছাত্র সংগঠনগুলোর মতো সুবিধাবাদী পথে হাঁটে, তাহলে এটি আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা হিসেবেই পরিগণিত হবে। সময়ই বলে দেবে, এই সংগঠন সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে পারবে, নাকি একসময় গডফাদারদের ছত্রছায়ায় পুরনো ধারাতেই ফিরে যাবে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শিরোনামের দ্বিতীয় অংশ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আরো কিছুদিন পর পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যাবে নিশ্চয়।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে। পরের অংশ মুছে দেন।
আমি আশা করি এই সংগঠন ভালো রাজনীতি করবে এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হবে। তবে তার জন্য অনেক ত্যাগ এবং সংযম প্রয়োজন হবে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পোস্ট এডিট করা হয়েছে। শুধরে দেয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: পাঁচ মিশালী দল।ভাঙন শুরু হবে অচিরেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো হয়েছে লেখা।