![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। কখনো তারা ক্ষমতা দখলকারী, কখনোবা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশীদার। বিশেষ করে, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলীতে সেনাবাহিনীর অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে, দুইজন সেনাপ্রধান – জেনারেল নুরুদ্দিন খান এবং জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান – তাদের ভূমিকার মাধ্যমে ইতিহাসে নিজেদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছেন।
১৯৯০-এর প্রেক্ষাপট: নুরুদ্দিন খানের সিদ্ধান্ত
১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন এবং প্রায় এক দশক স্বৈরশাসন চালান। তবে ১৯৯০ সালে সারাদেশে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের ফলে তার শাসন হুমকির মুখে পড়ে। সে সময়, রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকে আশঙ্কা করছিলেন যে সেনাবাহিনী হয়তো সরাসরি হস্তক্ষেপ করে নতুন করে সামরিক শাসন জারি করবে।
তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নুরুদ্দিন খান সেনাবাহিনীকে সরাসরি রাজনৈতিক সংকটে না জড়িয়ে একটি দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের দাবিকে সম্মান জানান এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ সহজতর করেন। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, যেখানে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল, কিন্তু সরাসরি ক্ষমতা দখল করেনি।
২০২৪: ওয়াকার-উজ-জামানের নীতি
সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্র রূপ নেয়। এই সময় দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার দায়িত্বশীল অবস্থান বজায় রেখে সেনাবাহিনীকে সরাসরি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি না করে বরং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে ছিলেন। এই অবস্থান অনেকের কাছে প্রশংসনীয় মনে হলেও, সমালোচনাও কম হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তার ভূমিকা হয়তো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বরাবরই দ্বিমুখী—কখনো তারা সরাসরি ক্ষমতা দখল করেছে, আবার কখনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সহায়তা করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সে নিয়ে বিতর্ক সবসময়ই থাকবে। তবে ১৯৯০ এবং ২০২৪ সালের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, একটি দায়িত্বশীল ও পেশাদার সেনাবাহিনী যখন গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়, তখন দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়।
সেনাবাহিনী রাজনীতির বাইরে থাকবে নাকি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে—এটি একটি জটিল প্রশ্ন। তবে জেনারেল নুরুদ্দিন খান ও জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করতে পারে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র কতটা সুসংহত হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলতার ওপর।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: অতীতে কখনো আন্দোলন কারিরা ক্ষমতা দখল করেনি।শিবির হিজবুত হাহিরীরা কখনো বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করেনি এখন ক্ষমতায় আছে শিবির ও হিজবুত তাহেরীরা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।