![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
রমযান মাস এলেই ঢাকার রাস্তাগুলো পরিণত হয় এক বিশৃঙ্খল যানজটের নগরীতে। বিশেষ করে ইফতারের আগে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, গাড়ির চাকার বদলে সময় থমকে যায় রাস্তায়। কর্মব্যস্ত মানুষ, অফিসগামী, শিক্ষার্থী—সবাই দিশেহারা হয়ে পড়ে এই যানজটের কবলে।
বড় বড় সড়কে বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা, সিএনজি সব যেন একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেও গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনেকে বাস বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতার করতে বাধ্য হন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ইফতারের আগে তড়িঘড়ি করে বন্ধ হওয়ায় যানবাহনের চাপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর যানজট নিরসনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায় না। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে, রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং, অবৈধ স্ট্যান্ড, এবং ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা যানজটকে আরও তীব্র করে তোলে।
যানজট কমাতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, রাস্তার পাশের অবৈধ পার্কিং নিয়ন্ত্রণ এবং গণপরিবহনের সংখ্যা ও কার্যকারিতা বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের ছুটির সময়সূচি পর্যায়ক্রমে নির্ধারণ করলে ইফতারের আগে সড়কে চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব। রমযান শৃঙ্খলা ও সহমর্মিতার মাস, তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করা, যাতে নগরবাসীর এই দুর্ভোগ কমে আসে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বাবারে ,দেখেই ভয় লাগে এই যানজট ।