![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের দলটি আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আগ থেকেই নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করাই ছিল তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। বর্তমানে দলটি বিএনপিসহ চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনায় রয়েছে।
প্রাথমিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপি এনসিপিকে তাদের নির্বাচনী জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় এবং ২০-২৫টি আসন দিতে পারে। অন্যদিকে, জামায়াত ইসলামি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এনসিপিকে নিজেদের জোটে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এনসিপি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জামায়াতের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক জোট গড়তে অনিচ্ছুক। তারা তুলনামূলকভাবে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনে আগ্রহী।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই নতুন দলটি একটি পাওয়ার ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ধরে নেওয়া যায়, আগামী সংসদ একটি ঝুলন্ত সংসদ হতে পারে যেখানে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। এই বাস্তবতায় এনসিপি’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যদি এনসিপিকে প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দেয়, বিশেষ করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে দুই দল একত্রিত হয়ে সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির জন্য এটি একটি কৌশলগত সুযোগ, কেননা তারা ছাত্রদের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছে।
অন্যদিকে, জামায়াত ইসলামি নিজস্ব সমর্থকগোষ্ঠী নিয়ে একটি বৃহৎ জোট গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা এনসিপিকে নিজেদের সঙ্গে আনতে চায়, তবে এনসিপির ভেতরে থাকা কিছু অংশ তাদের সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি নয়। যদি এনসিপি জামায়াত ছাড়া বিএনপির সঙ্গে একত্রিত হয়, তাহলে এটি দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এনসিপি একাধিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করছে। তাদের লক্ষ্য সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এনসিপির আবির্ভাব এবং তাদের সম্ভাব্য জোট গঠন একটি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করেছে। আগামীর দিনগুলোতে এনসিপি কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা শেষ পর্যন্ত কোন জোটে যুক্ত হয়, সেটিই হবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—এনসিপি বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা একক সংখ্যা না পেলেও নির্ধারক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ছাত্র নেতাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য এই দল গঠন করা হয়েছে। কাজেই ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকা ছাড়া এদের সামনে অন্যকোনো রাস্তা খোলা নেই। এক্ষেত্রে বিএনপি তাদের কাছে বেটার অপশন। অন্যদিকে জামাত আদর্শগত ভাবে বেইমান দল। এদের সাথে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তাই আমরা বরং অপেক্ষায় থাকি
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: নতুন দলের সদস্যদের যে সকল কর্মকাণ্ড প্রকাশিত হচ্ছে তাতে সারাদেশে ১০টা সীটও পাবে না, এদের মধ্যে মুখোশধারী হায়েনা লুকিয়ে আছে! এদেশের মানুষ এদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: একটা দল সবেমাত্র তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা কি বলে, তাদের এজেন্ডা কি এগুলো এখনো পরিষ্কার নয়। আজ তারা জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন এবং সংবিধান পরিষদ নির্বাচন এক সাথে চায়। এটা তাদের নতুন অবস্থান। কাজেই আমাদের সময় নিয়ে তাদের বিষয়ে মন্তব্য করা ভালো।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নতুন বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: নতুন দলের সদস্যদের যে সকল কর্মকাণ্ড প্রকাশিত হচ্ছে তাতে সারাদেশে ১০টা সীটও পাবে না, এদের মধ্যে মুখোশধারী হায়েনা লুকিয়ে আছে! এদেশের মানুষ এদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
আফসোসলীগ তাদের বাইন্যান্স একাউন্ট এডিট করবে।
বিএনপি ও চিন্তা করতে এরা কিংসপাটি কিনা।
জনগনের মাঝে এটা কোটিটাকা চান্দাবাজী করছে বললেই চলবে, জনগন বিশ্বাস করবে। ( সোর্স চালাইয়া দেন)
এরা মুখোশধারী না, এরা পরিবর্তন আনতে এসেছে, এদের সাহাজ্য করলে বর্তমানের রাজনিতিক দূবিত্তরা পথে বসবে তাই তারা ভালো কাউকেই রাজনিতির মাঠে দেখতে চাইবেনা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আওয়ামীলীগ এর ল্যাসপেন্সররা এখনই বলতে শুরু করেছে এরা জল্লাদ, নব্য রাজাকার, আমেরিকার দালাল। অথচ এই ছেলে মেয়ে গুলোর জন্ম হয়েছে নব্বই দশকের শেষ দিকে। এদেরকেই রাজাকার বানানোর চেষ্টা চলছে
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপির উচিত আসলেই তাদের ২০টা সীট নতুন দলকে ছেড়ে দেয়া। সবাই মিলে জোটবদ্ধ ভাবে একটা জাতীয় সরকার গঠন করলেই একমাত্র ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামিলীগকে রোখা সম্ভব।এই বাস্তবতাটা বিএনপি বুঝলে ভাল।ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক পার্টিও সেই চেষ্টাই করছে। কারন সামনে ডঃ ইউনুস আর থাকবে না। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে , বহির্বিশ্ব ও পার্শ্ববর্তী দেশকে ডঃ ইউনুস যেভাবে সামলিয়েছে , তা আর কারো পক্ষেই সম্ভব না। কাজেই সামনে নির্বাচিত জাতীয় সরকারের আর কোন বিকল্পই নাই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার পলিটিক্যাল সেন্স থেকে যতটুকু বুঝি বিএনপির সাথে এদের কোয়ালিশন সময়ের ব্যাপার মাত্র। হোপ ফর দ্যা বেস্ট
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: নির্বাচন পর্যন্ত এই দল টিকবে কিনা সন্দেহ আছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সন্দেহ সংশয় যেকোনো রাজনীতি সচেতন মানুষের থাকতে পারে। তবে আমার সাধারণ মানুষ ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করি, দেখি ভবিষ্যতে কি ঘটে?
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫৪
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
@নতুন,
আপনার ভাগিনা নতুন দলে স্হান পেয়েছে?
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ১ জন আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ১জন এলজিবিটির প্রকাশ্য সদস্য! এদের কোন বিবেচনায় মূল কমিটিতে স্হান পেয়েছে
@নতুন, জনগণকে একটু খোলাসা করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
নতুন বলেছেন: বিএনপি নতুন দলকে সাথে নিয়ে ২০-২৫ টা আসন দিলে নতুন দলের জন্য খুবই ভালো এবং দেশেও ঝামেলা একটু কমবে।
নতুন দলকে প্রেসারগ্রুপ হিসেবে জনগনের ইসু নিয়ে কথা বলে জনগনের আস্থা অর্জন করতে হবে। তবে পরের নিবার্চনে ভালো করতে পারবে এবং দল হিসেবেও টিকে যাবে।
যদি এরা রাস্তার দল হিসেবে থাকে তবে আয়ামীলীগ, বিএনপি, শিবিরের ক্যাডারদের সাথে টিকে থাকতে পারবেনা।
বিএনপির সাথে এদের আদর্শগত কোন দন্দ নাই।
জামাতের সাথে যুক্ত হলে এই দল শেষ।