নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনের শাসনের সংকট ও গণপিটুনির উত্থান: সমাজের জন্য বিপদসংকেত

০৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০২



বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাধারণ নাগরিকদের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনসচেতনতার অভাব—এসবের কারণে গণপিটুনির মতো ভয়াবহ প্রবণতা বাড়ছে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার ফলে জনগণের একাংশ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, যা পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক।

সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে, মব তৈরি করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে নিরীহ মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। শুধু প্রতিপক্ষকে দমন করাই নয়, ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেও এই সহিংসতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ ঘটনাগুলোকে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও গভীর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, এর পেছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিভিন্ন মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনতাকে উসকানি দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে মব তৈরি করে হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, জমি দখল, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অপদস্থ করা, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটেছে। একসময় যেখানে শুধু ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতো, এখন সেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মব তৈরি করে ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর প্রবণতা বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা এবং বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা এই ধরনের অপরাধকে উসকে দিচ্ছে। যখন মানুষ দেখে, অপরাধীদের দ্রুত ও যথাযথ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না, তখন তারা নিজেরাই বিচার করার চেষ্টা করে। এতে একদিকে নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধপ্রবণতা আরও বাড়ছে।

পুলিশ প্রশাসনের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেও মব সৃষ্টির প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বা ধীরগতিতে তদন্ত হচ্ছে, যার ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে মব সৃষ্টিকারীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় এবং ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে সাহস না পায়।

সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আনা। নাগরিকদের সচেতন করাও অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা উত্তেজিত হয়ে আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়। গণমাধ্যম এবং সামাজিক সংগঠনগুলোরও উচিত এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, বিচার করার দায়িত্ব আদালতের, সাধারণ জনগণের নয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে অবশ্যই কঠোরভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই প্রবণতা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানো, জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারব্যবস্থার সংস্কার করা দরকার, যাতে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়, মবের হাতে নয়।

এখন সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নইলে আমাদের সমাজ এক ভয়ংকর অরাজকতার দিকে ধাবিত হবে, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

নতুন বলেছেন: সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে, মব তৈরি করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে নিরীহ মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। শুধু প্রতিপক্ষকে দমন করাই নয়, ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেও এই সহিংসতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ ঘটনাগুলোকে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও গভীর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, এর পেছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিভিন্ন মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনতাকে উসকানি দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে।

এই মব তৈরি করে এমন আক্রমনে বোঝা যায় দেশে জ্ঞানী মানুষের লেভেল কত কম!

গতকাল দেখলাম হাজার মানুষ জড় হয়েছে ইজারা দেওয়া বিলে মাছ মারতে। তাদের কোন বোধ কাজ করেনাই যে এই মাছ ইজারাদারেরা লালন পালন করছে। এই মাছ মারা ঠিক না।

দেশের জনগনের জ্ঞানের লেভেলে উন্নতি না হলে দেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে?

তৃনুমূল থেকে মানুষের নৈতিকতা, মুল্যবোধ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



@নতুন,

ইজারা কারা পেয়ে থাকে? ইজারার টাকা এলাকার জন্য ব্য্য হয় কিনা?

আপনার ভাগিনা কোথায় আছে? নতুন দলে কোন পদ পেয়েছে?

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

নতুন বলেছেন: ধুলোপরা চিঠি বলেছেন: @নতুন, ইজারা কারা পেয়ে থাকে? ইজারার টাকা এলাকার জন্য ব্য্য হয় কিনা?
আপনার ভাগিনা কোথায় আছে? নতুন দলে কোন পদ পেয়েছে?


আমার ভাগিনার রাজনিতি করার কোন ইচ্ছা নাই। বড়টা অর্থনিতিতে ঢাবি তে পড়ছে, ছোটোটা ঢাবিতে ভর্তিপরিক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করছে। আমি বলেছি এমআইটি এ আবেদনের প্রকৃিয়া শুরু করতে ।

বিল ইজারা দেবার প্রকৃিয়া কি? :-

বিল ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণত সরকারি নীতিমালা, স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মকানুন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিধিবিধানের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বিল (জলাশয়) ইজারা দেওয়ার সাধারণ নিয়ম নিম্নরূপঃ

### **১. আবেদন প্রক্রিয়া:**
- আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করতে হয়।
- নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

### **২. নিলাম বা দরপত্র আহ্বান:**
- সরকারি জলাশয় বা বিল ইজারা দিতে সাধারণত প্রকাশ্য নিলাম বা দরপত্র আহ্বান করা হয়।
- স্থানীয় পত্রিকা বা সরকারি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
- নির্ধারিত তারিখে দরপত্র দাখিল করতে হয়।

### **৩. ইজারা অনুমোদন:**
- সর্বোচ্চ দরদাতা বা যোগ্য আবেদনকারীর আবেদন অনুমোদন করা হয়।
- ইজারা অনুমোদিত হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইজারা ফি জমা দিতে হয়।
- প্রয়োজনীয় শর্তাবলি মেনে চুক্তি সম্পাদন করতে হয়।

### **৪. চুক্তিপত্র ও পরবর্তী ব্যবস্থাপনা:**
- অনুমোদিত ইজারাদারের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তি করা হয়।
- ইজারাদারকে বিলের সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় রেখে পরিচালনা করতে হয়।
- ইজারার মেয়াদ শেষে পুনরায় নিলাম বা দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

#### **প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:**
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা ট্রেড লাইসেন্স
- আবেদনপত্র
- ইজারা ফি সংক্রান্ত ব্যাংক চালান
- পূর্বের ইজারা সংক্রান্ত কাগজপত্র (যদি থাকে)

আপনি যদি সরকারি বা বেসরকারি কোনো বিশেষ সংস্থার অধীন বিল ইজারা নিতে চান, তবে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি জেনে নেওয়া উত্তম।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:


@নতুন,

ভাগিনারা কি শিবিরের সাথে আছে?
-ইরাজারা পায় মাফিয়া ও এলাকার ক্ষমতাশীল চোর-ডাকাতেরা ঘুষের মাধ্যমে।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নতুন বলেছেন: ধুলোপরা চিঠি বলেছেন: @নতুন,
ভাগিনারা কি শিবিরের সাথে আছে?
-ইরাজারা পায় মাফিয়া ও এলাকার ক্ষমতাশীল চোর-ডাকাতেরা ঘুষের মাধ্যমে।


ভাগিনারা কি শিবিরের সাথে আছে?


আপনার কি মনে হয় আমার ভাগিনারা শিবিরের সাথে থাকবে?
দুজনই খেলাধুলায় ভালো, দাবায় অনেক পুরুস্কার পেয়েছে ঢাকায়, প্রচুর বিশ্বসাহিত্য পড়ে। ছোটা ঢাবিতে কলা তে ৩৩০ মত হেছে। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য অপেক্ষা করছে। বুয়েটে হয় নাই তাই আমি বর্তমানে ছোটটাকে MIT তে ভর্তি হতে খোজ নিতে বলেছি।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৪

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



আমি জানতে চাচ্ছি যে। ভাগিনারা দেশ টেশ চালাচ্ছে কিনা!

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০০

কামাল১৮ বলেছেন: বড় বিপদ সরকার নিজেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.