![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ সময়ে পরিণত হয়। এই সময় ইবাদতের সুযোগ যেমন বেশি, তেমনি নেকি অর্জনের সম্ভাবনাও অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মাসে মক্কা-মদিনায় গিয়ে ওমরাহ পালনের জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন। কিন্তু চলতি বছর বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য ওমরাহ ভিসা পাওয়া যেন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
হঠাৎ করেই সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ওমরাহ ভিসার সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছে, যার ফলে হাজারো বাংলাদেশি মুসলিমের স্বপ্ন আটকে গেছে। আগে থেকে টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং, অন্যান্য খরচ বহন করার পরেও অনেক যাত্রী এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে যারা ইবাদতের বিশেষ পরিকল্পনা করেছিলেন, তারা এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে, হজের ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ হজ পালন করা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই কম খরচে ওমরাহ পালন করে আত্মিক প্রশান্তি লাভের চেষ্টা করেন। কিন্তু ওমরাহ ভিসার এই সংকট পরিস্থিতি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এমনকি কিছু অসাধু চক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা বলছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই ভিসা কমিয়ে দেওয়ার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার টিকিট বাতিল হয়েছে, অনেক ফ্লাইটেও যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যারা ওমরাহর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাদের জন্য এই অনিশ্চয়তা দুঃখজনক।
বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে, যাতে দ্রুত কোনো সমাধান পাওয়া যায়। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আকুল আবেদন, যেন তাদের জন্য ওমরাহ পালনের দরজা খোলা থাকে। এই সংকট নিরসনে সৌদি সরকার আরও সহানুভূতিশীল হবে, এমন প্রত্যাশা সবার।
আমরা সবাই জানি, হজ ও ওমরাহ এমন এক ইবাদত, যা একজন মুসলমানের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আল্লাহ যেন আমাদের সবার জন্য কমপক্ষে একবার হলেও হজ করার সুযোগ দেন—এই প্রার্থনাই করি।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: পাপ মুক্তির নতুন ধান্দা বের করতে হবে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধর্ম বিস্বাসের বিষয়। এখানে ধান্দাবাজির কিছু নেই।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: হজ্ব সিস্টেম টা যদি বাংলাদেশে থাকতো, তাহলে অর্থনৈতিক দিক থেকে দারুন হতো।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩
নতুন বলেছেন: হজ্জ এবং ওমরাহের পছনে ধার্মানুভুতি কাজে লাগিয়ে ব্যবসাটাই আসল।
ভিসা, টিকিট, টুর প্যাকেজ, হোটৈল ভাড়া, সৌদিতে হোটেলে খাওয়া, কেনাকাটাকরা সব খানেই প্রচন্ড ধান্দাবাজি হচ্ছে।
শারমিনের ওমরা করার ইচ্ছা পুরনের জন্য ডানাকে নিয়ে আমরা ২০২৩ এর মার্চে দুবাই টু মদিনা< মক্কা ৭ দিনের সফরে গিয়েছিলাম।
* মদিনাতে মানুষ একটু ভালো, কম ধান্দাবাজ।
* মক্কাতে হোটেল, খাবার হোটেল, দোকানে সবাই ধান্দাবাজি করে।
* রাস্তায় ভিক্ষা করতে পাকিস্তান এবং অন্য কিছু দরিদ্র দেশ থেকে মানুষ সৌদি চলে যায়।
* ওমরা টুর প্যাকেজ হুজুরদের একটা ভালো আয়ের পথ।
* ওখানে যারা কাজ করে তাদের অনেকেই হাজিদের সাহাজ্য করে কিছু টিপস পেতে।
* মক্কায় পকেট কাটে, হারাম শরিফের ভেতরেও । আমাদের উবার ড্রাইভারের গাড়ীতে লাঠি আছে দেখিয়েছিলেন তিনি।
* এক পাকিস্তানী মক্কায় তার টাকা পয়সা হারিয়েছে বলে সাহাজ্য চায়। আমি তো ধান্দাবাজ চিনি। তাই বলি চলো আমি খাবার কিনে দেবো। তাকে খাবার কিনে দিয়েছি। নগদ টাকা দেই নি
* খাবার হোটেলে বেশি দাম চেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশী পরিচয় দেওয়াতে ২০ রিয়েলের খাবারের দাম ১৫ রিয়েল রেখেছে।
* জায়নামাজ মদিনাতে যেটা ৫ রিয়াল, মক্কাতে সেটা ১০ রিয়াল বিক্রি করবে।
* খাবার হোটেলে এক মোয়াল্লেম হাজীদের জন্য খাবার নেয়ার সময় তার নিজের খাবারের দাম দেয়নি। ওটা সে ফ্রি দিতে হবে বলে শুধুই প্যাকেটের গুলির দাম দিলেন তিনি।
মানুষ যেহেতু প্রবল একটা ধর্মানুভুতি নিয়ে মক্কা, মদিনাতে যায় তাই এই ধান্দাবাজীর বিসয়টা তাদের চোখে কম পড়ে। এবং ক্ষমসুন্দর দৃস্টিতে দেখে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি একমত। তবে খারাপ মানুষ সব জায়গাতেই আছে। স্বর্ণকার যেমন তার মায়ের গহনাতেও ভ্যাজাল দেয় বলে কথিত আছে তেমনি ধর্মীয় স্খানেও চিটার বাটপার থাকে । এদেরকে ইগনোর করা ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপায় থাকে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
হজ ও ওমরাহ ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুসলিমদের জন্য আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মহান সুযোগ। সৌদি সরকার ইতিমধ্যে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় অনেক উন্নতি সাধন করেছে, তবে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে রমজান মাসে ওমরাহ আদায়ের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
ওমরাহ আদায়ের সুযোগ বৃদ্ধি
সৌদি সরকারের উচিত হজ এবং ওমরাহ প্রার্থীদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করা। বিশেষ করে, রমজানুল মোবারকে ওমরাহ আদায়ের ব্যবস্থা আরও সহজ ও সম্প্রসারিত করা একান্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ: রমজান মাসে ওমরাহ পালনের চাহিদা বেশি থাকায়, অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করলে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে বিশেষ ইবাদতের সুযোগ: রমজানের বরকতময় সময়ে ইবাদতের পরিবেশ আরও উন্নত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা: ওমরাহ পালনকারীদের সুবিধার্থে ইফতার ও সাহরির জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ওমরাহ ভিসার সুযোগ বৃদ্ধি
রমজান মাসে ওমরাহ আদায়ের ফজিলত অত্যন্ত বেশি। তাই সৌদি সরকার এই মাসে ওমরাহ ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে, যাতে আরও বেশি মুসলিম রমজানের ফজিলতপূর্ণ সময়ে ওমরাহ আদায়ের সুযোগ পান।
সৌদি সরকার যদি এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের জন্য এটি আরও বড় সুযোগ হয়ে উঠবে এবং ইসলামী ইবাদতের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।