![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
প্রতিকী ছবি
তিতাস রহমান গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কাজ করছেন। তার কোম্পানি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর জন্য উৎপাদন করে থাকে। যখন তিনি শুনলেন যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে, তখন তার মনে হলো যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটেছে।
তিনি দ্রুত অফিসের মিটিং রুমে ছুটলেন, যেখানে ইতিমধ্যেই তাদের ম্যানেজমেন্ট টিম আলোচনা করছিল। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কোম্পানির লাভের মার্জিন সংকুচিত হবে, ক্রেতাদের চাপ বাড়বে, এমনকি কিছু অর্ডার বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সিইও আশরাফ সাহেব বেশ চিন্তিতভাবে বললেন, "আমাদের এখনই কিছু করতে হবে, নয়তো পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।"
তিতাস বুঝতে পারলেন, এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা কেবল চীন বা ভারত নয়, বরং মিশর, জর্ডান, কেনিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন করে শুরু হবে। তারা তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের সুবিধা ভোগ করবে, ফলে ক্রেতারা সহজেই সেদিকে ঝুঁকতে পারে।
তবে এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ কী? মিটিংয়ে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বললেন, বাংলাদেশের উচিত দ্রুত মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার হয়তো পুনর্বিবেচনা করতে পারে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় বাজারে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার কথাও উঠল। ইউরোপ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এবং সেখানে এক্সপোর্ট বৃদ্ধি করা গেলে মার্কিন বাজারে সম্ভাব্য ক্ষতি কিছুটা পূরণ করা সম্ভব হবে।
তিতাস মনে মনে ভাবলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিজিএমইএর সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলো দেখে বুঝতে পারলেন যে, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো দূরের ব্যাপার।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তিতাস তার স্ত্রী রিমাকে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করলেন। রিমা একজন অর্থনীতিবিদ, তিনিও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি বললেন, "ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক বৃদ্ধি তাদের নিজের স্বার্থের জন্য করা হয়েছে। তারা চায় তাদের দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাক, যাতে মার্কিন নাগরিকরা আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। আমাদের কৌশলগতভাবে চিন্তা করতে হবে।"
তিতাস হাল ছাড়তে রাজি নন। তিনি জানেন, প্রতিটি সংকটের মধ্যেই নতুন সুযোগ লুকিয়ে থাকে। যদি বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, তবে হয়তো ভবিষ্যতে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবে। আগামী দিনগুলো বেশ কঠিন হতে চলেছে, তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে হয়তো এই ধাক্কা সামলানো সম্ভব হবে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সাময়িক কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ, শুধু বাংলাদেশ নয়—আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপরও একই ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশ এখনও একমাত্র দেশ যেখানে তৈরি পোশাক খাতের অধিকাংশ কারখানা আন্তর্জাতিক বায়ারদের দ্বারা স্বীকৃত কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি হিসেবে গড়ে উঠেছে। এই অবস্থানে পৌঁছাতে আমাদের এক যুগেরও বেশি সময় লেগেছে।
স্বাভাবিকভাবেই কিছু অর্ডার সাময়িকভাবে অন্য দেশে স্থানান্তর হতে পারে—এটি নতুন কিছু নয়। তবে বিকল্প সোর্সিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বায়ারদের সময় লাগবে এবং ততদিনে বাংলাদেশ আবার নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে ফেলবে। সুতরাং, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আলোচনা সাপেক্ষে এবং বিশ্ব বানিজ্য স্বাভাবিক করণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাস্তবতা উপলব্ধি করে সিদ্ধান্তে ছাড় দিবেন এবং এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আশাকরি একটি পজিটিভ সমাধান বের হয়ে আসবে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি গল্পে একটু twist দিচ্ছি।
তিতাস ও রিমার দুই ছেলেমেয়ে আছে। তারা খবর শুনে বাবা মাকে আশ্বস্ত করল। তারা চাইছে রপ্তানিতে বহুমুখীতা আনতে। বড় মেয়ে প্রকৌশলী ও ছোট ছেলে প্রযুক্তিবীদ। বড় মেয়ে সিদ্ধান্ত নিল যান্ত্রিকশিল্পে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ছোট ছেলে software শিল্পের জন্য দেশের বড় joint venture গড়ে তুলবে।
আপনার শুরুটা শেষ হতে দিলাম না। গল্প যেন চলতেই থাকে, স্বপ্ন না থাকলে লক্ষ্যে যাওয়া যায় না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এটা নিয়ে এত চিন্তার কিচ্ছু নেই।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আশাকরি দ্রুত একটা সমাধান বের হয়ে আসবে।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সে আশায় বাঁধি বুক ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সহমত আপনার সাথে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব ?