![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।
গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি কঙ্কাল রয়েছে—যারা একদিন সুরের জাদুতে মরেও মুক্তি পায়নি, বরং তাদের আত্মা আজও সেই সুরের দাসত্বে বন্দি। ভোরের আগে, যখন কুয়াশার আচ্ছাদনে গির্জা আচ্ছন্ন, তখন গির্জার চূড়ায় অদ্ভুত সুর বাজতে শুরু করে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, যে কেউ এই সুর শুনবে, তার ভাগ্য চিরকাল পরিবর্তিত হবে।
ডেভিড আজ সেই গির্জায় ফিরে এসেছে। তার হাতে গিটার—একটি পবিত্র ও অভিশপ্ত যন্ত্র, যার সুরের প্রতিটি লহরী মানবতাকে নতুন মোড় দেবে। তবে সুর শোনানো শুধুমাত্র সত্য উদঘাটনই নয়, এর মধ্যে বন্দি করা থাকে এক অদৃশ্য শক্তি, যা মাঝে মাঝে ভয়াবহ পরিণতি আনে।
গিটারটি হাতে তুলে নেয়ার পর, সে অনুভব করলো—এটা শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি একটি আত্মা, একটি অতীতের বন্ধন, যা সময়ের গহ্বরে হারিয়ে গেছে। গিটারের কাঠের ফ্রেমে খোদাই করা নোটেশনগুলোর মধ্যে রক্তের দাগ স্পষ্ট হতে শুরু করল, যেন সে সুর বাজালেই অতীত থেকে কোনো এক আত্মা মুক্তি পেতে শুরু করবে।
ডেভিড জানে, সে আর সাধারণ মানুষ নয়। সে একজন সুরধারী—ঈশ্বরের হাতে তৈরি একটি রহস্যময় অস্ত্র। সুর তার হাত থেকে বেরিয়ে আসবে, এবং যা পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছে, তা অবশেষে প্রকাশ পাবে। কিন্তু সুর শুধুমাত্র মুক্তি আনে না—এটি ধ্বংসও ঘটায়।
গিটার সুরে সারা শহর কাঁপবে—কিন্তু কাদের জন্য? মানুষ নাকি আত্মা? এখানে, গির্জার চুর্নিত দেয়ালের মাঝে, সত্যের পাশাপাশি অন্ধকারের শক্তিও ঘুরে বেড়ায়।
ঈশ্বরের ভুল ছায়া সিরিজ এর
দ্বিতীয় গল্পঃ শেষ সুর
শিঘ্রই আসছে.......
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ! আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে এটা শুধু কুসংস্কার নয়, গল্পের জগতে রহস্য আর কল্পনার মিশেল। আর 'ভূতের ভবিষ্যৎ' দেখার পরামর্শের জন্য আবারও ধন্যবাদ—গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর হলে তো সেটা বোনাস!
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
শায়মা বলেছেন: বাপরে!
গিটার দেখলেই তো এখন ভয় লাগবে ভাইয়া.....
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: গিটারে ভয় পেলে তো আর রোমাঞ্চ হয় না!
আসল ভয় তখন, যখন সুর বাজবে কিন্তু কেউ শুনবে না...
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:২৪
শায়মা বলেছেন: হায় হায় গিটারটাও কি একা একা প্লে হবে!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সুরধারীর ছোঁয়া পেলে গিটার আর একা বাজে না, ওর ভেতর থেকে কেউ বাজায়… কে, সেটা জানতে হলে গল্পে ঢুকে পড়তে হবে!
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনি এক ধরণের ভুল ইমোশানে ভুগছেন! মানুষ এমন সব সাহিত্য ভালোবাসেন, যেখনে তার আপন জীবনের কিছুটা হলেও উপস্হিতি থাকে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: প্রিয় গাজী সাহেব,
আপনার মন্তব্য মন থেকে গ্রহণ করেছি। সাহিত্য নিয়ে আপনার ভাবনাটি গভীর এবং সত্য—মানুষ সত্যিই এমন লেখায় বেশি টানে, যেখানে তারা নিজেদের কিছুটা খুঁজে পায়।
আমার লেখায় হয়তো কখনো সেই উপস্থিতি অস্পষ্ট থাকে, তবে আমি চেষ্টা করি অনুভূতির এমন এক ছায়া আঁকতে, যা পাঠকের মনের আয়নায় প্রতিফলিত হতে পারে।
আপনার মতামত আমার কাছে দিকনির্দেশনার মতো। পাশে থাকুন।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা সহ,
— রাজু
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এটা একটি ইন্ট্রো পোস্ট মূল গল্প আজ শনিবার রাতে প্রকাশিত হবে। পড়ার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩১
মুনতাসির বলেছেন: আরে এটা তো এডভাটিস্ট ইউনিভার্সিটির এলাকার কথা মনে করিয়ে দিল!!
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আরে বাহ, এমন মিল খুঁজে পাওয়ার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। শেষ সুরের গথিক-রহস্যময় পরিবেশ ঠিক এমনই কোনো জায়গার আবহ থেকেই অনুপ্রাণিত। এডভাটিস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকাটা নিশ্চয়ই অনেক গল্প লুকিয়ে রেখেছে! । জানাবেন প্লিজ। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: কুসংস্কারের প্রচার।ভূতের ভবিষ্যৎ চলচিত্রটি দেখুন।