![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
"ভালোবাসি বলে আটকে রাখি”—এই বাক্যে লুকিয়ে থাকে কতটা শাসন, কতটা ভয়? আপনি কি কাউকে ভালোবাসছেন, না বদলে দিচ্ছেন নিজের মতো?"
আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি, তখন কি আমরা কেবল তাকে সুখী দেখতে চাই?
না কি, গভীরে গিয়ে আমরা চাই—সে যেন আমার মতো করে সুখী হয়?
এই প্রশ্নটা এখন শুধুই একান্ত ভালোবাসার বিষয় নয়, এটি আজকের সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক আচরণের বুননেও লুকিয়ে আছে। রাষ্ট্র তার নাগরিককে ভালোবাসে—এই বুলি আমরা শুনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই ভালোবাসা কতটা স্বচ্ছ?
তাতে স্বাধীনতা কতটা মেলে?
না কি ভালোবাসার নামেই নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া হয়?
"ঈশ্বরের ভুল ছায়া" সিরিজের একটি গল্প, “বাতাস যার পায়ে পথ খোঁজে”—এক গবেষকের অভিজ্ঞতায় তুলে ধরে এই দ্বন্দ্ব। রুদ্র প্রকৃতিকে ভালোবেসেছিল, কিন্তু একসময় সে প্রকৃতির আচরণকে নিজের আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ভালোবাসার নামে সে শাসন চায়।
আর ঠিক তখনই প্রকৃতি তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানায়।
আমাদের সমাজেও দেখা যায়—
এক বাবা-মা বলেন: “তোমার ভালোর জন্যই বলছি”—তবু সন্তানের ইচ্ছাকে তারা পাত্তা দেয় না।
এক রাজনৈতিক নেতার মুখে শোনা যায়: “মানুষের মঙ্গলের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত”—যা অনেকসময় মানবাধিকার হরণে পরিণত হয়।
একজন প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে: “ভালোবাসি বলেই চাই, তুমি আমার মতো হও”—আরেকজন তখন নিঃশব্দে নিজের পরিচয় হারাতে থাকে।
ভালোবাসার মুখোশে নিয়ন্ত্রণ আসলে ভালোবাসাকে হত্যা করে।
রাষ্ট্রের বা সমাজের চেহারায় এখন এমন অনেক ‘রুদ্র’ আছে—যারা ভাবেন, তারা জনগণের আবেগ বোঝেন, তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারও তাদের আছে।
কিন্তু কেউ যেন প্রশ্ন করতে না পারে। কেউ যেন বিকল্প কিছু ভাবতে না পারে।
এই ‘ভালোবাসার শাসন’ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে অন্ধ নির্দেশ—যা একসময় শুধু ছিন্ন করে ফেলে সম্পর্ক, সম্মান, বিশ্বাস।
আমার প্রশ্ন পাঠকের কাছে—
আপনার চারপাশে যারা ভালোবাসার নাম করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, তারা কি সত্যিই ভালোবাসে?
আপনি নিজেও কি কাউকে ভালোবেসে এমন নিয়ন্ত্রণ করেন না?
ভালোবাসা যদি স্বাধীনতা না দেয়, তাহলে সেটা কি ভালোবাসাই থাকে?
আমাদের সমাজে নতুন করে দরকার “ভুল স্বীকারের সংস্কৃতি”—
যেখানে ভালোবাসা মানে হবে:
বোঝা
গ্রহণ করা
এবং না জানার জায়গাটিও স্নেহে ছেড়ে দেওয়া
আমি প্রত্যাশা করি, "ঈশ্বরের ভুল ছায়া" গল্প সিরিজটি যেসব প্রশ্ন তোলে, আমরা সবাই তা নিয়ে ভাবি বাস্তব জগতে।
আর ননফিকশন ব্লগ লেখার এই প্রচেষ্টা ঠিক সেই উদ্দেশ্যেই।
০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: নির্ভুল বলেছেন আপনি—
নিজের ভালোবাসা বা বিশ্বাসের কাঠামো অন্যের জীবনে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া আসলে সেই মানুষটির অস্তিত্বকেই আঘাত করে।
আপনার কথাটি আমাকে মনে করিয়ে দিল—ভালোবাসা যদি সত্যিই ভালোবাসা হয়, তবে তা ‘দখল’ নয়, ‘দৃষ্টি’ হবে।
যেখানে আমি অন্যকে দেখি তার মতো করে, ভালোবাসি তাকে তার মতো থাকতে দিতে পারার সাহস নিয়ে।
এই মন্তব্য পাঠ করে মনে হলো, ব্লগের মূল বার্তা আপনি হৃদয় দিয়ে ধরেছেন—তার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আশা করি আপনি পরবর্তী লেখাগুলোতেও থাকবেন এবং আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করবেন।
২| ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
ঈশ্বরের ভুক ছায়া সিরিজ হচ্ছে অবাস্তব! ইহা এমন কি প্রশ্ন তুলতে পারে, যা বাস্তব জগতের জন্য ভাবনার বিষয় হতে পারে?
ঈশ্বর কি একটা বাস্তব শব্দ?
আদি যুগের মানুষ বজ্রপাতকে ব্যাখ্যা করতে পারেনি, সেখানে তারা ঈশ্বরকে এনেছে; ক্রমেই মানুষ বজ্রপাতকে ব্যাখ্যা করেছে, ইশ্বর অবস্তাবে পরিণত হয়েছে; গ্রীক দেবতা জিউস ও হিন্দু দেবতা ইন্দ্র অবাস্তবে পরিণত হয়েছে।
০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ ও তীক্ষ্ণ এক দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন—ঈশ্বর, দেবতা কিংবা অন্য অতিপ্রাকৃত ধারণাগুলোর অনেকটাই মানব সভ্যতার ব্যাখাহীন শূন্যতা পূরণের প্রয়াস থেকে এসেছে। বিজ্ঞান যত এগিয়েছে, বহু "ঈশ্বর" প্রশ্নবিদ্ধ বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
তবে “ঈশ্বরের ভুল ছায়া” সিরিজটি বাস্তবতার বাইরে গিয়ে বাস্তবতার গভীরতাকেই অনুধাবন করার একটি রূপকধর্মী প্রয়াস।
এই সিরিজে "ঈশ্বর" কোনও ধর্মীয় চরিত্র নয়, বরং এমন এক প্রতীক—যে বোঝায় ক্ষমতার, বিশ্বাসের, অনুচ্চারিত নিয়তির ছায়া।
প্রশ্নটা আসলে ঈশ্বর সত্য কিনা, সেটা নয়।
প্রশ্নটা হলো—আমরা যখন নিজের মধ্যে ঈশ্বরীয় চেতনার মতো কিছু ধারণ করি, তখন তার ভুল সিদ্ধান্ত বা ‘ছায়া’ আমাদের জীবনে, সমাজে, রাষ্ট্রে কীভাবে প্রতিফলিত হয়?
আপনার মতামত সিরিজটিকে আরও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে, এবং এটাই চায় এই লেখা—পাঠকের প্রশ্ন, মতভেদ ও বোধের আলো।
আশা করছি, আপনি সামনের পর্বগুলোও পড়বেন এবং এমনই চিন্তাপূর্ণ আলোচনা জারি রাখবেন।
৩| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালোবাসি বলে আটকে রাখতে হবে?
০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দারুণ এক মন্তব্য করেছেন আপনি—ছোট্ট একটা প্রশ্ন, কিন্তু ভিতরটায় গভীর এক বিস্ফোরণ আছে।
"ভালোবাসি বলে আটকে রাখতে হবে?"
না, বরং ভালোবাসি বলেই মুক্ত রাখতে হয়।
আটকে রাখাটা আসলে ভালোবাসার ভয়ে রূপ নেয়, আর মুক্ত রাখাটা ভালোবাসার শক্তিতে।
ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, সে নিজেই ফিরে আসবে—বাধ্য হয়ে নয়, ভালোবেসে।
আর যদি না-ই আসে, তাহলে তাকে আটকে রাখার মানে—নিজেরই ভালোবাসাকে সন্দেহ করা।
আপনার মন্তব্য ব্লগটির মর্মার্থকে এক লাইনেই ছুঁয়ে দিয়েছে। আন্তরিক ধন্যবাদ এই অনুভূতির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১
কামাল১৮ বলেছেন: অন্যকে নিজের মতো করতে চাওয়া অন্যকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়া।প্রত্যকের স্বাধীনতা আছে তার মতো করে বাঁচার।