![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।
মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বিশ্ব মানবাধিকার সনদ স্পষ্টভাবে বলছে– প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, এবং নিরাপত্তার অধিকার আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে, আমরা সেই নীতির পথ থেকে কতটা সরে যাচ্ছি।
দেশজুড়ে “তৌহিদি জনতা” নামে সংগঠিত কিছু গোষ্ঠী মাজার ভাঙচুর, মন্দির আক্রমণ, এমনকি কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন ও পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ভয়াবহ অপরাধ করছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, মরদেহ উত্তোলন ও পুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য আমাদের মানবিকতা ও আইনের শাসনের জন্য গভীর লজ্জাজনক। পুলিশ হাজারো অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করলেও ঘটনাস্থলে আগে থেকেই যদি শক্ত অবস্থান নেওয়া হতো, এতটা ভয়াবহতা হয়তো ঘটতো না।
একই সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় শক্তির কঠোরতা স্পষ্ট। ভিপি নূরের দলের মিছিল ভাঙতে পুলিশ-সেনা একযোগে তৎপর, ফলে তিনি হাসপাতালে। অথচ ধর্মীয় আবেগের আড়ালে সংগঠিত সন্ত্রাসে সেই তৎপরতা বিরল। এই দ্বৈত মানসিকতা প্রশ্ন তোলে—রাষ্ট্র কি সবার নিরাপত্তায় সমানভাবে দায়বদ্ধ?
শুধু রাজনীতি নয়, সংস্কৃতিচর্চাতেও অস্বস্তিকর হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে রবীন্দ্রস্মরণ অনুষ্ঠানের আগে “ফ্যাসিবাদবিরোধী” স্লোগানে চাপ তৈরি হয়ে অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়া সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক অশনি সংকেত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যখন ভয় ও চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সমাজের সৃজনশীল শক্তি ক্রমেই অবদমিত হয়ে পড়ে।
একজন মানবাধিকার কর্মীর চোখে এ দৃশ্য স্পষ্টতই একটি অধিকার সংকট। রাষ্ট্রের নীরবতা বা আংশিক নিষ্ক্রিয়তা মূলত মবকে সাহস জোগাচ্ছে। আইনের শাসন দুর্বল হলে, মানুষ ন্যায়ের আশ্বাস হারায়; আর সেটিই মব ন্যায়ের জন্ম দেয়।
আমরা ভুলে যাওয়া যাবে না—অধিকার সবার জন্য সমান। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, রাজনৈতিক কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন—যেই হোক, তার নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়। সন্ত্রাসের মুখে নীরব থাকা কোনো সমাধান নয়; বরং অস্থিরতা বাড়ায়।
আজ প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, এবং নাগরিক শিক্ষার প্রসার—যাতে মানুষ বোঝে সহনশীলতা দুর্বলতা নয়, বরং সভ্যতার শক্তি। নইলে সহিংসতার এই চক্র আরো গভীরে শিকড় গেড়ে নেবে, ক্ষতবিক্ষত হবে আমাদের সমাজ, আমাদের মানবতা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ড. ইউনুস নিঃসন্দেহে একজন বিদ্বান। তবে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি তাঁর তেমন নেই বলে মনে করি।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মব সম্ত্রাসের জননী ছিল হাসিনা তখন মব বলা হতোনা কিন্তু এখন সবাই সর্বত্র মব কুঁজে পাচ্ছে? বিষয়টা আশ্চর্যের না?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: খারাপ কাজ সব সময়ই খারাপ—যে সময়েই ঘটুক না কেন। মব সন্ত্রাস কোনো অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে সরকার অনেক সময় নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, সেটাই বড় উদ্বেগের বিষয়।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: হাসিনা থাকলে এরকম মব করতে কেউ সাহস পেতো না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: যেকোনো ইলেক্টেড পলিটিকাল গভর্নমেন্ট এর অধীনে এধরনের মব সন্ত্রাস কেউ করার সুযোগ পাবেনা। এই সরকার পলিটিকাল সরকার নয় তাই এদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
কাঁউটাল বলেছেন: প্রশাসন কবর পুজা/ শিরিকি বেদাতি বন্ধ না করলে মব তৈরী হবে - এইটা না বুঝার কি আছে? ভন্ডামি করেন কেন? এই লাশ পুড়ানোর দায় লোকাল প্রশাসনের।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: লোকাল প্রশাসন কি সেন্ট্রাল প্রশাসনের বাইরে? যদি সেখানে বেআইনি কাজ হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল সেটা কন্ট্রোল করার। মব সৃষ্টি করে কবরের লাশ পোড়ানো কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইউনুস প্রতারক; সে দেশবাসীকে জানায়নি, কিভাবে সে প্রধান উপদেষ্ঠা হয়েছে; সে পেরেছে যে, ক্যু করায়ে সে অপরাধ করেছে, মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: উনি এখন একটি নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সেইফ এক্সিটের নিশ্চয়তা চাচ্ছেন।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
*সে বুঝতে পেরেছে যে, ক্যু করায়ে সে অপরাধ করেছে; তার বিচার হবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পাকিস্তান ভিসা ফ্রি এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা হয়তো দেখবো প্রফেসর সাহেব পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন করছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ড: ইউনুসের প্রতি আপনার আস্হা কেমন?