নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি

এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০

লোরক

হৃদয়ে লোক ও লোকসংস্কৃতি ধারন করে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একদল তরুণ-তরুণী লোরক নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই আমাদের হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে তা প্রচার করতে। বিশ্বের দরবারে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতিকে পরিচয় করে দিতে চাই। এবার হবেই, রবির কাস্টমার কেয়ার/বিকাশ পয়েন্টে গিয়ে রিচার্জ এর মাধ্যমে আপনিও লোরকের বিভিন্ন কাজে পাশে থাকতে পারেন ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০

লোরক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বংশীবাদকের পাশে আপনি !!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সামনে দিয়ে গেলে একটি মিষ্টি বাঁশির সুর প্রায়ই শুনতে পারবেন। ইচ্ছা হোক আর অনিচ্ছা হোক সেই সুর শুনে আপনার একবার হলেও সেই ব্যক্তির দিকে চোখ পড়বে। আর সেই ব্যক্তি হলেন বাউল আব্দুল গফুর বংশীবাদক। আমরা সবাই গফুর ভাই বলে ডাকি। আজ দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সামনে বাঁশি বাজিয়ে ও বাঁশি শিখিয়ে চলেছেন। ভাগ্য পরিবর্তনের আশা নিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কত নামী-দামী ব্যক্তিরা আসা যাওয়া করে কেউ যদি একটু সহায় হয় তাহলে ওনার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন একটি বাঁশির ক্যাসেট প্রকাশ করবেন। পেট চালানো যেখানে দায় সেখানে এই আশা করা আশায় গুড়ে বালি। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশি কিনতো এবং বাঁশি বাজানো শিখতো। এই বাঁশি বিক্রির টাকা দিয়ে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এবং ছোট ছেলেকে স্কুলে পড়াচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানের শিক্ষার্থীরা খুব যান্ত্রিক হয়ে গেছে। বিশ্বায়নের আগ্রাসনে তারা আর বাঁশি শেখার প্রতি আগ্রহ বোধ করে না। ফলে না খেয়ে, অসুখে পড়ে ধুকতে হয় গফুর ভাইদের। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তাদের কাছে গফুর ভাই একজন পরিচিত মুখ এবং প্রতিবেশি। আমাদের দায় আছে তার পাশে দাঁড়ানো।



বিভিন্ন মানুষের কাছে সাহায্যের হাত পেতে কোন মত দিনযাপন করছেন তিনি। অন্যের উপর নির্ভর করে দিন চলা কোন সমাধান নয়। নিজেকে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমরা লোরক সোসাইটি থেকে উদ্যোগ নিয়েছে গফুর ভাইকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলবো যাতে তিনি আর কারো কাছে সাহায্যের হাত না পাতেন। আমাদের পরামর্শে তিনি বাঁশি বিক্রির পাশাপাশি অন্য ব্যবসা করতে রাজি হয়েছেন। ওনাকে একটি কসমেটিকস এর দোকান করে দিব। এর জন্য বাজেট ধরেছি ২০,০০০ টাকা । এর মধ্যে ১০০০০ টাকা দোকান করার জন্য এবং বাকী ১০০০০ টাকা কসমেটিকস কেনার জন্য। আশা করছি আপনারা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একজন মানুষকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন। বারবার একজন মানুষকে সাহায্যে করার চেয়ে একবার তাকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুললে সেটাই সবচেয়ে কার্যকর উপকার করা হয়।



লোরক সোসাইটির এই উদ্যোগে যারা আর্থিক সহায়তা করে পাশে থাকতে চান তারা সাড়া দিন। এই ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করার অনুরোধ থাকলোঃ



Name: Mohammad Alamin

AC NO: 114.101.64690

Bank: Dutch Bangla Bank Limited




অথবা মোবাইল করে সরাসরি ঢাবি ক্যাম্পাসে এসে দিতে পারেন। আমাদের দূরালাপনী নাম্বারঃ ০১৯১৯৪৬৩৩৩০



লোরক সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
এর আগে কলম বিক্রি করতেন এক বৃদ্ধা মহিলা। ওনার জন্য অনেক টাকা তুলা হলো। তারপর শুনলাম ওনার সব টাকা কে বা কারা লোপাট করে দিয়েছে। এখন সব খবরের মতো এই বৃদ্ধা মহিলার টাকা লুট করার খবরও চাপা পড়ে গেছে।
সবাই সহজে সবকিছু ভুলে যায়।
এরপর নতুন কোনো খবর আসে , তারপর সে খবর ও পুরানো হয়ে যায়।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।




বাংলাদেশের ব্লগি ং জগতে নতুন মাত্রা
http://banglafamily.com/
https://www.facebook.com/BanglaFamily

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

সুইট ভাই বলেছেন: আপনার এ মহৎ উদ্দোগ সফল হোক।
প্রচারে প্রসার। তাই আরো বেশি প্রচার হলে ভাল হবে বলে মনে করি। প্রয়োজনে একটি স্বচ্ছ ব্যংক একাউন্ট করা যেতে পারে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

লোরক বলেছেন: প্রচার চালাতে আপনিও অবদান রাখতে পারেন। আপনার ফেইসবুক একাউন্ট সহ পরিচিত সামর্থ্যবানদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করতে পারেন।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

আমিনুর রহমান বলেছেন: মহৎ উদ্যোগ ।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

যীশূ বলেছেন: উনি ২৭ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না, যদ্দুর সম্ভব ১০/১২ বছর হতে পারে।

লোকটা অনেক অলস বলেই মনে হয়েছে আমার। ইচ্ছা থাকলে রিক্সা চালায়াও বাঁশি বাজানো যায়, শিল্প চর্চা করা যায়। কিন্তু এই মানুষটা ধান্দাই শুরু করেছে মানুষের করুনা নিয়ে জীবন চালানোর, লোকটার উদ্দেশ্য আমার কাছে পজেটিভ মনে হয়নি কখনো।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

রসিক বাঙ্গাল বলেছেন: আব্দুল গফুর এর বাঁশি শুনেছি অনেক।

উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি।

শুভকামনা আব্দুল গফুর এর জন্য।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যীশূ বলেছেন: উনি ২৭ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না, যদ্দুর সম্ভব ১০/১২ বছর হতে পারে।

লোকটা অনেক অলস বলেই মনে হয়েছে আমার। ইচ্ছা থাকলে রিক্সা চালায়াও বাঁশি বাজানো যায়, শিল্প চর্চা করা যায়। কিন্তু এই মানুষটা ধান্দাই শুরু করেছে মানুষের করুনা নিয়ে জীবন চালানোর, লোকটার উদ্দেশ্য আমার কাছে পজেটিভ মনে হয়নি কখনো।


সহমত। আমি এই গফুর ভাইকে চিনি ৮/১০ বছর। আবার এমন বাশুরিয়া রিকশাওয়ালার সাথেও পরিচয় হয়েছে যে সারাদিন রিকশা চালিয়ে এসে রাতে বাঁশী বাজাতেন।

সর্বোপরি গফুর ভাই ভালো থাকুন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

লোরক বলেছেন: আমাদের লেখাতেও আমরা বলেছি, অন্যের উপর নির্ভর করে থাকা কোন সমাধান নয়। আমাদের পরামর্শে তিনি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি ওনাকে দোকান করে দেবার পর আর কারো কাছে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে না। আর তিনিও একসময় ঢাকা শহরে রিকশা চালাতেন। রিকশা চালিয়ে প্রায় ২৫০০০ টাকা জমিয়ে সরল বিশ্বাসে একজন ব্যাংকার আপার কাছে রেখেছিলেন। সেই আপা নাকি তার টাকা দিতে এখন অস্বীকার করছে। সরল গফুর ভাই এর কাছে সেই টাকা দেয়ার কোন প্রমাণ নেই তাই উঠাতেও পারছেন না। সেই থেকে আর রিকশা চালাননা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.