নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

েমাঃলুৎফর রহমান রুেবল

একটি ব্লগ খোলার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পারছিলামনা। অবশেষে আপনাদের সহযোগিতায় ব্লগ খোলা সম্ভব হলো। এজন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবারে মা,বাবা, বৃদ্ধা বিধবা ফুপু আর তিন ভাই ও দুই বোন ও আমার স্ত্রি ও ছোট একটি মেয়ে নিয়ে আমাদের সংসার। বাবা তিন বছর যাবত ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত, মা হাইপ্রেসার, ফুপু বয়স জনিত হাড় ক্ষয় অসুখে আক্রান্ত রুগী। অনেকেই বলে আমাদের পরিবার ছোট একটা হাসপাতাল। সংসারে অর্থ উপার্জনের একমাত্র সদস্য আমি। আমি একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কাজ করি। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চুক্তি ভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করি। দুই জায়গা হতে যে টাকা পাই তাতে কোন রকমে সংসার চলে। কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে করতেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমার ব্লগ নামে বিভিন্ন ওয়েব সাইট দেখতে পাই। এখানে বিভিন্ন মন্তব্য, লেখা ইত্যাদি পড়ে বেশ ভালই লাগল। অবশেষে নিজে এই রকম একটি ব্লগের সদস্য হতে আজ সক্ষম হলাম। এটাকে সচল রাখার জন্য এখন আপনাদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আশাকরি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আগামীতে এগিয়ে যেতে সহযোগীতা করবেন। ধন্যবাদ মো: লুৎফর রহমান রুবেল

েমাঃলুৎফর রহমান রুেবল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রয়োজনীয় ৪০ হাদিস

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

Permission taken from Source Click This Link





০১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে পর্যন্ত কোন ব্যক্তির অন্তরে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইতে পারবে না।

০২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরন করে সে তাদেরই দলভুক্ত।

০৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ।

০৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিসপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহ তায়ালা তাকে কষ্ট, রোগ ও দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন।

০৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছভাবে সুপারিশ করিব।

০৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আযান ও ইকামতের সময় যে দোয়া চাওয়া হয় তা রদ হয় না।

০৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে জামাতের সহিত ঈশার নামায আদায় করে তাকে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে ফজরের নামাযও জামাতের সহিত আদায় করল তাকে বাকি অর্ধেক রাত্রি ইবাদাতের সওয়াব দেওয়া হয়।

০৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলে পড়ে তাহাকে ১২ বৎসর ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।

০৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তিকে দ্বীনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতের দিন তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে।

১০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যার বুকে কোরআনের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়।

১১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কোরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে।

১২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কেবলামুখী হইয়া বসা।

১৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুমিনকে চিনিবার উপায় এই যে, সে হবে দাতা ও সাদা সিধা ধরনের লোক।

১৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- এক ঘন্টা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

১৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয়া চাও।

১৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে মদ পান করেন আল্লাহ তায়ালা তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না।

১৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের সাথে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।

১৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- গরীব লোক ধনবান লোকদের চাইতে ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান।

১৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পিতা মাতার নিকট হতে ফিরিয়া যাইওনা। যে পিতা মাতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য।

২০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তিনটি বিষয়ের জন্য আরববাসীকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা আরবী।

২১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি গরীব ও বিধবার সাহায্যে দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়।

২২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কেহ জুম্আর দিন ১ হাজার বার দুরুদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে।

২৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারন ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরন করাইয়া দেয়।

২৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেন কিন্তু যে সকল লোক বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না।

২৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি পিতা মাতা বা কোন একজনের কবর সপ্তাহে একবার জিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।

২৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- পেশাব সম্পর্কে খুব সতর্কতা অবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরের আযাব ইহার জন্যই হইবে।

২৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরুদ পড়া ভুলে গিয়েছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে।

২৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহারা স্ত্রী লোকদের পর্দায় রাখেনা বা পর্দায় রাখতে শাসন করে না এবং তাহাদিগকে কোন কুকার্য করিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ। দাইউছ বেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবে না। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম।

২৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার অন্তরের মধ্যে সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবে সে বেহেস্তে যাইবে না।

৩০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যেরুপ পানি দ্বারা শস্য উৎপাদন হয় সেরুপ গান বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মোনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়।

৩১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে উত্তমরুপে অযু করে তাহার সমস্ত গুনাহ শরীরর হইতে বাহির হইয়া যায়। এমননি নখর হইতেও বাহির হইয়া যায়।

৩২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহর তায়ালার নিকট জামায়াতের নামায খুবই পছন্দনীয়।

৩৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি এলেমের একটি অধ্যায় এই নিয়তে শিক্ষা করিল যে, তদ্বারা লোকদিগকে শিক্ষা দিবে তাহাকে ৭০ জন শহিদের নেক দান করা হইবে।

৩৪। যে ব্যক্তি দ্বীনের এলেম দুনিয়া কামাইর উদ্দেশ্যে হাসিল করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি জান্নাতের গন্ধ ও পাইবে না।

৩৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আলেমদের মুখ দর্শন করাও নেকের কাজ।

৩৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে গৃহে আল্লাহর যিকির হয় আকাশ হইতে ফেরেস্তারা তাকে এতই উজ্জল দেখেন, আমরা দুনিয়াবাসীরা আকাশের তারকারাশি যেমন উজ্জল দেখি।

৩৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহাদের চেহারা দেখিলেই আল্লাহর কথা স্মরন হয় তাহারাই আল্লাহর ওলী।

৩৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে আল্লাহর নিকট কিছু চায়না আল্লাহ তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।

৩৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- দেহের জন্য যেরুপ মস্তক, দীনের জন্য সেরুপ নামায।

৪০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- হারামের গন্ধ নাই এমন হালাল বস্তু যে ৪০ দিন খায় আল্লাহ তাহার দিলকে দীনের নূরে নূরানী করিয়া দেন এবং তাহার দিলে হেকমতের (জ্ঞানের) ঝর্না যারী করিয়া দেন।



আসুন আমরা যতটুকু পারি আমল করার চেষ্টা করি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

শআজহার বলেছেন: ভাই খুব ভাল লাগল। দোয়া করি আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:০৮

িমরর বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে কবুল করে নিক..............আমিন

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: জাঝাকাল্লাহ্ খাইরান্।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

এক মুসাফির বলেছেন: আল্লাহপাক সবাইকে আমল করার তউফিক দান করুক।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

বিকলঙ্গ মন বলেছেন: হাদীসগুলো কোন হাদীস বইয়ের তার নাম দিলে ভালো হতো। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আর আমাদেরকে ভালোভাবে ইসলামের পথে থেকে আমল করার তৌফিক দিক।
আমিন।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:২১

ইণ কোযেসট অব ট্রুথ বলেছেন: ভালো লাগলো।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:২২

ইণ কোযেসট অব ট্রুথ বলেছেন: ভালো লাগলো।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যাহারা মৌলবাদী হইবে এবং ধর্মান্ধতার কারণে ভাস্কর্য নির্মাণ, শিখা চিরন্তন, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাইতে বাধা দিবে উহারা "আল্লাহর ধর্মে অন্ধ", তথা ধর্মান্ধ হইবার কারণে জাহান্নামে যাইবে।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৬

ঝটিকা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনার পরিশ্রমের প্রতিদান দিক।

আপনার প্রফাইল পড়লাম, আপনি যে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন, সে জন্য আপনাকে সালাম। দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে আরো সামর্থ দান করুন।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৩

নাযীর আহমদ বলেছেন: ভাই মনের গভীর থেকে আপনাকে আভিনন্দন, ভালো আর সুন্দর থাকুন

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত কষ্ট করার জন্য। জাজাকাল্লাহ। তবে ভাই মাইন্ড করবেন না। হাদিস গুলো সংগ্রের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আপনি হাদিসগুলোর কোন রেফারেন্স দেন নাই। যদিও আপনি ভালো নিয়তে এগুলো প্রচার করেছেন তবে এগুলোর মধ্যে জাল হাদিস থাকা অসম্ভব নয়। আর যদি জাল বা বাতিল হাদিস প্রচার করেন তবে সেটা আল্লাহর রাসূল এর উপর মিথ্যাচার হবে। সহীহ বুখারীর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলছেন যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করবে তার ঠিকানা জাহান্নাম। হাদিস টা সনদ এবং মতন অনুযায়ী সহীহ। তবে আমি যদি রেফারেন্স এবং হাদিস নাম্বার সহ দিতাম সেটা ব্যাটার হতো।

হাদিস প্রচারের সময় হাদিসটি সহীহ না যঈফ না হাসান না জাল সেটা খেয়ার রাখবেন। জাজাকাল্লাহ।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যাহারা মৌলবাদী হইবে এবং ধর্মান্ধতার কারণে ভাস্কর্য নির্মাণ, শিখা চিরন্তন, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাইতে বাধা দিবে উহারা "আল্লাহর ধর্মে অন্ধ", তথা ধর্মান্ধ হইবার কারণে জাহান্নামে যাইবে।


আপনার কথার রেফারেন্স কই। কষাইয়া একটা চটকানা দিতে পারলে খুশি হইতাম।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১১

এম এ আলম বলেছেন: এক মুসাফির বলেছেন: আল্লাহপাক সবাইকে আমল করার তউফিক দান করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.