নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্য

অকল্পনীয় গতিতে কল্পনায় বিচরন

লুবান

শূণ্য

লুবান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিগারেট

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১

হাস্যকর কবিতা শুনতে শুনতে রতন মোটামোটি অসুস্থ। হাসি চাপতে গিয়ে খুক করে কেশে ফেললো।কবিতা থামিয়ে কোন কারন ছাড়াই সিগারেট ধরালো মানিক। সিগারেট ভাগাভাগি করে খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিলো তার। কিন্তু রতনের ব্যবহারে মানিক অসন্তুষ্ট। সিগারেট ধরানোর সাথে সাথে রতন কবিতার অর্থ বুঝতে পারলো।কবিতার অর্থ মারাত্নক।যমুনার পানিতে কিশোরীর আত্নহত্যা।আত্নহত্যার কারনে যমুনার পানির রঙ লাল।

মানিকঃ কি বুজঝস ?

রতনঃ যমুনার পানির রঙ লাল।

স্থির চোখে কিছুক্ষন রতনের দিকে তাকিয়ে থাকলো মানিক। পকেট থেকে দশ টাকার নোট বের করে দুইটা গোল্ডলীফ সিগারেট আনতে দিলো রতনকে।

রতনঃ রাত তিনটার সময় দুইটা গোল্ডলীফ খোঁজার চাইতে এই শীতের রাইতে পানিত নামা ভালো।

মানিকঃ সিগারেটের ভাগ দেয়ন যাইবোনা। আনলে আন না আনলে দূরে গিয়া মর।

অযথা তর্ক না করে সিগারেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো রতন।ভোররাতের বাতাসে দশ বারো হাত আগাতেই বেশ দূর থেকে একটা গাড়ির আলো দেখতে পেলো রতন।সিগারেটের আশা ত্যাগ করে মানিককে ইশারায় ডাক দিলো রতন।দুই তিন বার ইশারা করার পরে সাড়া দিলো মানিক।গাড়িটা আটকাবে নাকি ইশারায় জিজ্ঞেস করতে করতে পর পর দুইটা উষ্ঠা খেলো রতন। উষ্ঠা খেয়ে উঠতে উঠতে সাই করে গাড়ি চলে গেলো।

কোন কারন ছাড়াই রতনকে দুইটা চটকনা বসালো মানিক।চটকনা খেয়ে সিগারেটের ভূত আরেকটু বেশী মাথায় চাপলো মানিকের। আবার সিগারেটের আশায় রওয়ানা দিতেই দূরের ট্রাকের আলোয় চোখ ধাধিয়ে গেলো রতনের। সাথে সাথে দুইজনের চোখাচোখি। এইবার আর ভুল হলোনা রতনের। সাথে সাথেই দৌড়ে বড়রাস্তায় উঠলো। ট্রাক থামানোর জন্যে দুই হাত তুললো রতন। বিরস মুখে আরেকটা সিগারেট ধরালো মানিক। মাঝরাতের ট্রাকচালক বিরক্তমুখে ট্রাক থামালেন। মক্কেল পাওয়া গেসে এই আনন্দে ক্যাবলার মতো মানিকের দিকে তাকালো রতন।

ট্রাকচালকঃ কিছু কইবেন ভাই ?

মানিকঃ ওই ওর কাছে কি কি আসে বাইর করতে ক

রতনঃ ভাই সিগারেট হইবো ?

ট্রাকচালকঃ ভাই সিগারেট দিলে ছাইড়া দিবেন ?

রতনঃ ট্রাক খুইলা নিচে নাম শালা

ঘটনার পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ট্রাকের ইঞ্জিন স্টার্ট দিলো মারুফ। পিস্তল দেখে জীবন হারানোর চাইতে সিগারেট দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হলো তার। ভয়ে ভয়ে ট্রাক থেকে নেমে পকেট থেকে সিগারেট বের করে এগিয়ে দিলো মারুফ।

মানিকঃ শুধু সিগারেটে কাজ হইবোনা। আর কি কি আছে বাইর কর।

মারুফঃ উনিতো শুধু সিগারেট চাইলো।

মানিকঃ আরে ধূর ব্যাটা হুদা সিগারেটের লইগা তোরে নামাইসি নাকি?

ডানে বামে তাকিয়ে হঠাৎ হকচকিয়ে গেলো মানিক। আশেপাশে কোথাও রতনকে দেখা যাচ্ছেনা। একটামাত্র পিস্তল রতনকে দেয়া ভুল হইসে মনে মনে ভাবতে ভাবতেই ডান চোখে মারাত্নক ঘুষি খেলো রতন। একঘুষিতে মোটামোটি পরাস্ত মানিকের উপর মোটামোটি হামলে পড়লো ক্ষুব্ধ মানিক। রতন রতন বলে দুই বার ডাকতেই আরো চার পাচটা কিল ঘুষি হজম করলো সে।মিনিট পাঁচেক ধস্তাধস্তি শেষে অজ্ঞান মানিককে রেখে এক প্যাকেট সিগারেট সহ উঠে দাড়ালো বিজয়ী মারুফ। ট্রাকে উঠে হুশ করে পালালো।

অন্ধকার রাস্তায় একা দাঁড়ানো রতন। তিন নাম্বার সিগারেট ধরিয়ে বিরস মুখে আকাশের দিকে তাকালো সে। কিশোরীর আত্নহত্যার কারনে যমুনার পানির রং লাল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.