নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লুথা

একজন সাধারন মানুষ.. যে সাধারণ কথা বলে.. সত্য কথা বলে.. যদিও সত্য কথা বলা মহাপাপ...তাইতো আমি ব্লগের একজন নিন্দিত ব্লগার... ;)

লুথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ পরকীয়া (২য়)::: I respect you কিন্তু তোমার সাথে থাকতে আমার ভাল্লাগেনা

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩১



ট্রিপার্ট ল্যাবসে কাজ করার সময় আমাকে ধানমন্ডি থেকে উত্তরা যেতে হত সপ্তাহে পাঁচ দিন। বাসেই যাওয়া-আসা করতাম। অফিসে যাওয়ার সময় এক ঘন্টা আর ফেরার সময় দুই ঘন্টার কিছু বেশি বাসে বসে থাকা লাগত। বাসে প্রথমদিকে সময়ের অপচয় কমানোর জন্য আমি বই পড়তাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি একটু সিরিয়াস ধরনের বই বেশি পড়ি কিন্তু বাসে সিরিয়াস বই পড়া কষ্টকর। তাই Dan Brown এর কিছু বই এবং আরো কিছু হাল্কা ধরনের বই পড়া শুরু করলাম। বাসে যাওয়ার সময় এক ঘন্টায় বিশ পৃষ্ঠার মত পড়তে পারি। ফেরার সময় রাত হয়ে যায় তাই বই পড়া যায় না। তাই ঐসময় আমি ঘুমাতাম। বাসে উঠার পর অপেক্ষা করতাম কখন টিকেট চেক করতে আসবে এবং টিকেট ছেঁড়া শেষ হলেই ঘুম। বনানীর কাছাকাছি আসলে আমার ঘুম ভাঙ্গত। তারপর ঘন্টাখানেক জেগে থাকা লাগত। কিছুদিনের মধ্যেই আমার হাতের কাছের বইগুলা পড়া শেষ। কিন্তু তাতে কোন সমস্যা হল না। বাসে প্রতিদিনই এক বা একাধিক সুন্দরী মেয়ে থাকে এবং আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে থাকি আর মনে মনে বলি - সুবহানাল্লাহ্!





কিন্তু ফেরার পথে তো সমস্যা। ঘুমিয়ে তো অর্ধেক পথ পার করা যায়। বাকী পথ কি করব? হঠাৎ খেয়াল করলাম, চারিদিকে মানুষজন নানা বিষয় নিয়ে মোবাইল ফোনে অনবরত কথা বলে বাসের মধ্যে। এখন সেগুলা শোনা ছাড়া আমার আর কিছু করার নাই। কথায় আছে না - 'আলাপে জ্ঞান বৃদ্ধি'? এভাবে দিন যেতে লাগল আর অন্যদের আলাপ শুনে আমি জ্ঞানী(?) হয়ে উঠতে লাগলাম। প্রায়ই নানা ধরনের ইন্টারেস্টিং কাহিনী জানা যেত। একদিন এক লোক ফোনে কমপক্ষে আধা ঘন্টা তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলেছে। বিষয়বস্তু অতি জটিল। সারমর্ম হচ্ছে যে তাদের এক বন্ধু এক মেয়েকে ভালবাসত, কিন্তু ঐ ছেলে চাকরী করলেও যথেষ্ট পরিমান ধনী না হওয়ায় তার প্রেমিকা অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। কিন্তু এখন প্রায় বছরখানেক পরে মেয়েটা আবার তার পুরোনো প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে এবং তার কাছে ফিরতে চায়। আর সেই দুর্বল হৃদয় প্রেমিকও প্রায় রাজি। তবে সেই মোবাইলে কথা বলা বন্ধু আবার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে সে তার বন্ধুর (প্রেমিক) এত বড় সর্বনাশ হতে দিবে না, ইত্যাদি, ইত্যাদি … । বেশ সিনেমাটিক কাহিনী। আমি তো ভাবছি এটা নিয়ে একটা দারুন সিনেমা তৈরী করা যায় তবে মনে মনে কিছুক্ষন দৃশ্যগুলা কল্পনা করার পরে বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশে এ সিনেমা সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র পাবে না, সুতরাং হিন্দী বা ইংরেজী সিনেমার জন্যই কাহিনীটা বেশি ফিট!





আরেকদিনের কথা। আমার সামনের সীটে এক ছেলে একটু পরপর ফোনে কথা বলছে। না, মেয়েদের সাথে না, একবার এমন একজনের সাথে যে তার কাছে টাকা পায়, আরেকবার এমন একজনের সাথে যার কাছে সে টাকা পায়। বেশ উপভোগ করছিলাম। পিছনে আরেক লোক মোবাইলে ব্যবসায়িক আলাপ করছে। তেমন ইন্টারেস্টিং কিছু না। হঠাৎ দেখলাম পাশে দাঁড়ানো ছেলেটাও কাকে যেন ফোন করে কথা শুরু করে দিয়েছে। খুব করুন কন্ঠে মিষ্টি মিষ্টি কথা। কিছুক্ষন কথা শুনেই বুঝে ফেল্লাম মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কি? মোবাইল ফোন তো আছে - প্রেম আসবেই! একটু পরে শুনি ছেলেটা বলছে, 'আমারে তুমি ভুইলা যাইও'। কিছুক্ষন পরে আবারো একই ডায়লগ। আমি মনে মনে বলি, 'ওরে হারামজাদা, তুই নিজে ওই মাইয়ারে ফোন করছস আর কস আমারে তুমি ভুইলা যাইও।'





লোকে বলে, 'সেটের রাজা নোকিয়া আর প্রেমের রাজা পরকীয়া!' আমরা আগে যেই বাসাটায় ভাড়া থাকতাম, আমার আম্মু একদিন বল্ল যে তার পাশের বিল্ডিংয়ে এক মহিলা থাকেন – বেশ সহজ-সরল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কেন? আম্মু হেসে বল্ল, ওই ভদ্রমহিলা (আসলেই ভদ্র) আম্মুর কাছে বলেছে যে তার ছেলে বিদেশে থাকে, কয়েকমাস আগে দেশে এসে বিয়ে করে আবার বিদেশে চলে গেছে। বউকে কিছুদিন পরে নিয়ে যাবে। এখন বউ তার শ্বাশুড়ীর সাথেই থাকে। সমস্যা হচ্ছে বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে ঐ মেয়ের সম্পর্ক ছিল এবং এখনো ঐ মেয়ে দিব্যি সেই ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং শ্বাশুড়ীর কাছে বলেও দিয়েছে। 'বিয়ের আগে বলনি কেন?' শ্বাশুড়ীর এই প্রশ্নের উত্তর মেয়েটি দেয় নি। ভদ্রমহিলা এখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়।





আবার মেডিকেলে পড়ার সময় দুইজনের মধ্যে তুমুল প্রেম, যদিও সেটা ওই দুজন ছাড়া বাকী সবাই জানত। ওই দুজন যেহেতু ভিন্ন ধর্মালম্বী (!) সুতরাং তাদের মনে প্রেম-বিয়ে এইসব নিয়ে কোন চিন্তাই নাই। মেয়েটি খুশিমনেই তার বাবা-মায়ের পছন্দের এক ছেলেকে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সুখের সংসার। কিছুদিন পরেই স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, কারন স্ত্রী কেবল তার পূর্বের সেই সহপাঠী বন্ধুর সাথে পালিয়েই যায় নি, পালিয়ে গিয়ে স্বামীর বিরূদ্ধে একটা মামলাও করে যায় নারী নির্যাতন আইনে। বেশ কয়েকমাস পরে স্বামী বেচারা মুক্তি পায়।





তবে সব ঘটনাই এমন করুণ না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অন্য এক ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ছেলের প্রেমে পড়ে যায় এক মেয়ে। কিন্তু মেয়েটি পাস করার পরে তার বাবা-মা সেই ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না। প্রচন্ড জেদী, একরোখা, স্বাবলম্বী সেই মেয়ে তার বাবা-মায়ের চাপে(!) অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। তারপর বছর দেড়েক সুখের সংসার করে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে চলে আসে তার প্রেমিকের কাছে। এখন তাদের সুখের সংসার, ফুটফুটে একটা বাচ্চা। আবার আরেক লোককে চিনি। উনার বিয়ের পরে স্ত্রীর উল্টা-পাল্টা আচরনে ব্যথিত হয়ে সরাসরি কারন জানতে চায়। স্ত্রী জানায় যে সে আরেক ছেলেকে ভালবাসে। লোকটা বুদ্ধিমান। স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত ডিভোর্স নিয়ে নেয়। (কাহিনী কিছুটা 'হাম দিল দে চুকে সানাম' সিনেমার মত!) মেয়েটা চলে যায় তার প্রেমিকের কাছে। প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে, একটা বাচ্চা হবে, দুইটা বাচ্চা হবে, অনেকগুলা বাচ্চা হবে।





আসলে প্রেম করলেই যে বিয়ে করতে হবে এমন কোন কথা নাই। তাই মেয়ে প্রেম করে জানার পরও বাবা-মা জোর করে (!) তাকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। কারন তাদের ধারনা একবার বিয়ে দিলেই হয়ে গেল। আবার অনেক বাবা-মা তাদের মাদকাসক্ত ছেলেকেও ধরে বেঁধে একটা বিয়ে করিয়ে দেয়, বিয়ের পর নাকি ঠিক হয়ে যাবে! ঠিক না হলেও উপায় আছে, একটা বাচ্চা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে! সমস্যা হচ্ছে আজকাল ছেলে-মেয়েরাও এমন চিন্তা করে। মেয়েটা দীর্ঘদিন কোন একটা ছেলের সাথে প্রেম করার পর হঠাৎ তাকে 'বন্ধু' বলে দাবী করে বসে এবং অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমটা হয় কাছাকাছি বয়সের ছেলে-মেয়ের মধ্যে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করার পরে ছেলেটা যখন হন্যে হয়ে চাকরীর জন্য ঘুরছে, মেয়ের বাবা-মা ততক্ষনে মেয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছে। আর ছেলেটাও জানে যে তার চাকরী পেয়ে একটু স্ট্যাবল হতে যেই সময় লাগবে ততদিন মেয়েটা তার জন্যে অপেক্ষা করবে না। তাই সেও স্রেফ 'বন্ধুত্ব'কেই মেনে নেয়। আবার মেয়ে চাকরী করলেও হবে না, ছেলের আয়েই সংসার চলতে হবে - যেন বিষয়টা এমন যে সূর্য যেমন পশ্চিম দিকে উঠা চলবে না, তাকে পূর্ব দিকেই উঠতে হবে। তাই যদি মেয়েটা তার আগে আয় করা শুরু করে (কিংবা তার থেকে বেশি আয় করে) তাহলেও কোন লাভ নেই। তাই তারা বন্ধু। তবে মোবাইল-ইন্টারনেটের এই যুগে যোগাযোগ কোন সমস্যাই না। আর যেহেতু তারা এখন কেবল 'বন্ধু' তাই অনেক ক্ষেত্রেই যোগাযোগটা ঠিকই বজায় থাকে। আর একসময় সেই বন্ধুর হাত ধরেই মেয়েটা ঘর ছাড়ে। স্বামীর জন্য মেসেজ লিখে যায় - “I respect you কিন্তু তোমার সাথে থাকতে আমার ভাল্লাগেনা।"





তো কথা হচ্ছে এসব ঘটনা আজকাল হরহামেশাই ঘটছে এবং অনেকেই জানে ব্যাপারগুলা। কিন্তু আমার এত জ্বালা কেন? কারন পাঁচ বছরের শিশু সামিউল কিংবা তিন বছরের শিশু তানহা যখন তাদের মা ও মায়ের প্রেমিকের যোগসাজশে খুন হয়, সে খবর পত্রিকায় দেখতে আমার ভাল লাগে না। পৃথিবীতে নাকি সবচেয়ে তীব্র ও শ্রেষ্ঠ ভালবাসা হচ্ছে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা। কথাটা কি মিথ্যা?



----------------------------------------------------------

গতকাল পরকীয়া নিয়ে নিজের একটি পোস্ট দেওয়ার কারণে পরকীয়া প্রেমী ৪ জন ব্লগার বন্ধু খুব দুঃখ পেয়েছিলো মনে ( Click This Link ), আমি সেইসব নাম না জানা বন্ধুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী B-)B-)

----------------------------------------------------------



ইহা একটি কপি-পেস্ট পোস্ট, পডে খুব ভালো লেগেছিলো বিধায় শেয়ার না করে পারলাম না ;)...

মূল লেখকঃ Tamim Shahriar Subeen

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

ত্রিভুজ বলেছেন: লেখাটা সুন্দর, ঝরঝরে... শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমি প্রথমে ভাবলাম আপনি ট্রিপার্টে ছিলেন :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৭

লুথা বলেছেন:
আহারে যদি থাকতে পারতাম...বন্ধুবান্ধব সবতো চলে গেলো সেখানে ;)

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৯

হা...হা...হা... বলেছেন: জীবনে ক্রিয়াও হলো না পরকিয়াও হলো না। বড়ই আফসোস!!! :(:(:(


এনিওয়ে, নিজের থলিতে কোন কাহিনী নাই?:):)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৬

লুথা বলেছেন:
ধৈর্য্য ধরেন... আসবে সব সময় মতো ;)

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪২

একাকী বালক বলেছেন: আগের কোন মেয়ে বান্ধবী / বান্ধবীর চেয়ে একটু বেশী / প্রেমিকা কারো সাথেই ভুলেও কোন যোগাযোগ রাখি না।

মেয়ে তুমি এখনও আমায় বন্ধু ভাব কি
তবে কখনও কি ভেবেছিলে আমায় বন্ধুর চেয়ে একটু বেশী।

যে যাই ভাইবা থাকুক সব বাদ। :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৬

লুথা বলেছেন: এইটা ভালো কাজ করতেছেন... যোগাযোগ রাখা মানেই জীবনে জটিলতা বাডানো

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: জটিল ..সুখ খুঁজে বেড়ায় ...

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৫

লুথা বলেছেন: মৌমাছি শুধু জানি কি খুজে ;)

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫০

সামিউর বলেছেন: জোস লেখাটা শেয়ারের জন্য থ্যাংকস.............।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৫

লুথা বলেছেন: ;)

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫০

মনিহার বলেছেন: বিয়ের আগের অবস্হা দেখেন।

শিরোনামহীন। বিয়ে সংক্রান্ত।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৯

লুথা বলেছেন: পডলাম +

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৫

িমতু এক্স এক্স এক্স বলেছেন: যা বলেছেন সবই সত্য এটাই বর্তমান মানে আধুনিক যুগের স্টাইল

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৮

লুথা বলেছেন:
কথা সত্য কিন্তু এইসবের পরিণতি কি হবে ?? ভালো হইলে প্রবলেম নাই কিন্তু আমি তো শুধু খারাপ পরিণতিই দেখছি

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৫

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: বেশী ভালো লাগলো।
পুরো সমাজের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

" সেট কিনলে নকিয়ে প্রেম করলে পরকীয়া"
এটা এখনকার প্রিয় ডায়লোগ :) :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৯

লুথা বলেছেন:
মজাটা কখন হবে জানেন ? যেসব ছেলে/মেয়ে এখন মজা করার জন্য পরকীয়া করে, সংসার ভাঙ্গে,... তাদের জামাই/বউ যখন পরকীয়া করবে...

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

বাবা-মা'র যেমন উচিত না জোর করে বিয়ে দেয়া, তেমনি ছেলেমেয়েদের উচিত বিয়ে হয়ে গেলে বিয়ে না ভাংগা।

পরকিয়া সমাজ ধ্বংস করে। আমাদের চেনা জানা সম্পর্কগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:০৫

লুথা বলেছেন: ঠিক কথা, কিন্তু কে কারে বুঝাবে ? আজকাল কেও কারো কথা বুঝতে চায় না... শুধু বুঝে ক্ষনিকের আনন্দ

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩১

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: পরকিয়া প্রেমিকরা এখনো ডেটিং থেইকা সামুতে আসেন নাই (মাইনাস পড়ে নাই) :) :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

লুথা বলেছেন:
তেনারা কালকে অবশ্য ৪ মাইনাস দিছেন, তার মানে মিনিমাম ৪ জন বান্দা/বান্দী আছেন যারা এখন পরকীয়া করতেছেন, এই ব্লগের ;)

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩১

গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: আমি একটা মেয়ের ঘটনা জানি। মেয়েটা অনেক দিন ধরে একটা ছেলের সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছিলো। একটা সময় মাষ্টার্স পরিক্ষার পর সে ছেলেটাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। দিনের পর দিন চাপ দিতে দিতে কিছুতেই ছেলেটাকে রাজি করাতে পারে না। ছেলেটা অবশ্য বিয়ে করবে না এটা বলে নাই, ছেলেটার বড় ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছিল না। তাই সে অপেক্ষার করতে চাচ্ছিল।
মেয়েকে বলত, মেঝো ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেলেই আমি তোমাকে বিয়ে করব। একটু অপেক্ষা করো। ঔদিকে ছেলের মেঝো ভাইয়ের বিয়ের জন্য খুবই তোর জোর চলছিলো। যেহেতু ছেলেটার মেঝো ভাই বিদেশে থাকতেন এবং খুবই ভালো চাকরি করতো তাই তার বিয়ে করতে তেমন বেগ পেতে হবেনা বলেই সবাই ধারনা করত।
মেয়েটা শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে ছেলেটার বন্ধুদের শরনাপন্ন হলো। তার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করত যাতে ছেলেটি তাকে তারাতারি বিয়ে করে। এমন ঘটনা ও হয়েছে যে, মেয়েটি ছেলের বন্ধুর কাছে ১ থেকে দেড় ঘন্টা কেদেছে, কেনো তাকে তারাতারি বিয়ে করছে না।...ছেলের বন্ধুরা মেয়েটিকে সান্তনা দিতো..

পরিশেষে মেয়ের পিড়াপিরিতে ছেলেটি বাধ্য হয়ে তার পরিবারের সাথে মেয়েটিকে পরিচয় করে দেয়। পরিবার মেয়েটিকে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে গ্রহন করে। মেয়েটিকে ছেলের পিতৃতূল্য বড় ভাই কিছু গিফটা দেয়... যা থেকে মেয়েটিও আশ্বস্ত হয় যে, ছেলেটি তাকে বিয়ে করতে রাজি আছে এবং তার পরিবারের এই ব্যপারে যথেষ্ঠ আন্তরিকতা আছে। ছেলের পরিবারের দিক থেকে কারো অনাগ্রহ নেই।

ঘটনা ক্রমে মেয়েটির সাথে ইউ.এন.ডি.পির চাকরীর দরখাস্ত করতে গিয়ে সায়ফুল নামে একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয়। ছেলেটি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, মেয়েটি সেই প্রস্তাব গ্রহন করে। সায়ফুলকে বলে তার বাসায় প্রস্তাব পাঠাতে। সায়ফুল প্রস্তাব পাঠায়। তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়ে যায়।

এক সময় মেয়ের প্রেমিকা ছেলেটি ঘটনা জানতে পারে। মেয়ে কে এই ব্যপারে প্রশ্ন করলে মেয়েটি বলে আমি তোমার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারব না। আমি কত দিন তোমার জন্য অপেক্ষা করব। আমার বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে। সেটা ছিলো গত বছর মেয়ে মাসে। তখন ছেলেটি বলে আমার মেঝো ভাই সেপ্টেম্বরে দেশে আসছে বিয়ে করতে, তখন আমিও বিয়ে করব। আর মাত্র ৪ মাস অপেক্ষা করো...
মেয়েটি বলে ৪ মাস অনেক টাইম আমি এত দিন অপেক্ষা করতে পারব না।....

মেয়েটি সাইফুলের সাথে বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে....
দুক্ষ কষ্টে ছেলেটি বিয়ের ৩/৪ দিন আগে সাইফুলের বাসায় যায়, তার ল্যাপটপ নিয়ে যেখানে তাদের অনেক গোপন ছবি ভিডিও ছিলো.... সেগুলো সাইফুলের মা বাবাকে দেখায়...সব দেখে সাইফুলের পরিবার সবই বুঝতে পারে... কিন্তু তখন সব কিছু ঠিক অনুষ্ঠানের মাত্র ৩/৪ দিন বাকী...আত্বীয় স্বজন সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে..কিছুই করার নেই...

সাইফুলের রিটায়ার্ড বাবা ছেলেটিকে একটাই কথা বলে..." সাইফুল আমার একমাত্র ছেলে... তার জন্য অনেক মেয়ে দেখেছিলাম... আমার ছেলে অনেক সহজ সরল...এই রকম একটা মেয়ে যখন আমার ছেলের ঘরে বৌ হয়ে আসছে... তার মানে আমার ছেলের বাকী জীবনটা অন্ধকার... যে মেয়ে তোমার সাথে এই রকম রিলেশন করে বিনা কারনে চলে যেতে পারে... সেই রকম একটা মেয়ে আমার ছেলের জীবনটাকে নষ্ট করে দিবে। তুমি বাবা বেচে গেলে... এখন তো এই বোঝা আমার ছেলেকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে..." এই কথা বলে সাইফুলের বাবা কেদে দেন... ছেলেটিকে হাত জোর করে সাইফুলের মা ক্ষমা চায়...সায়ফুলের বাবা মা দুইজনই কাদতে থাকে..

এই কথা শুনে ছেলেটা চলে আসে... ছেলেটির বন্ধ বান্ধব বোঝায়, যে মেয়ে এই রকম ফিজিক্যাল রিলেশন করে চলে যেতে পারে,,, সেটা একটা খারাপ মেয়ে.. কারো জীবনে এই রকম খারাপ মেয়ে না থাকাটাই উত্তম। তুমি তো বেচে গেলে...

সাইফুল তার হবু বৌকে ফোন দেয়.. বিষটা জানতে চায়.... মেয়েটা বলে... ওই ছেলে দীর্ঘ দিন ধরে .. আমার পেছনে ঘুরছে.. আমি পাত্তা দেই নাই... এখন আজে বাজে কথা বলে আমাদের বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে চায়.... তুমি ওই ছেলের কথা বিশ্বাস করো না... সাইফুল মেয়েটির কথাই বিশ্বাস করে... সাইফুলের বাবা মা ভবিষ্যতের কথা মনে করে ছেলেটির ফিজিক্যাল রিলেশনের ভিডিওর কথা গোবপন করে... সাইফুলও বর্ণকে বিয়ে করে ঘরে তুলে...
বাসল রাতেই বুঝতে পারে... এই মেয়েতো বিরাট অভিজ্ঞতায় ভরপূর একটা মেয়ে...
কিন্তু তখন সাইফুলের কিছুই করার থাকে না...


বিয়ের পরে মেয়েটি আবার তার প্রমিক কে ফোন করে... জানতে চায় তার সাথে রিলেশন রাখতে চায় কি না... কিন্তু তত দিনে ছেলেটি মানসিক দিক থেকে অনেক পরিবর্তন আসে... ছেলেটি ধার্মিক হয়ে যায়... ছেলেটি তখন বলে বিয়ের আগে তোমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করে আমি অনেক পাপ করেছি... এখন পরকিয়া করে সেটা বাড়াতে চাই না... তুমি তোমার স্বামী নিয়ে থাকো... ছেলেটি আর আগায় না...

তাই সবার কাছে অনুরোধ বিয়ের আগে এই ধরনের ঘটনা হলে মেয়ে অস্বীকারই করবে.. মেয়ের কথা বিশ্বাস করে কোনো কিছু করতে যাবেন না... প্রয়োজনে ছেলের সাথে কথা বলুন। একট কথা মনে রাখবেন চোর কখনই সত্যি কথা বলবে না...

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১০

লুথা বলেছেন:
অসাধারণ লিখেছেন...ছেলেটাকে সালাম...কিন্তু আজকাল আমাদের সমাজে এমন মেয়ের সংখ্যা এতো বেডে গেছে, কয়দিন পর কি হবে কে জানে

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

হুসাই১০ বলেছেন: বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ছেলে এবং প্রত্যেক মেয়েই নিজেকে এক একজন নায়ক বা নায়িকা ভাবেন। আর জবীনের প্রথম স্তরেই অধিকাংশই প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিক্ষা জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও মেয়েরা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। যার হাজারো প্রমান রমনার বটমুলে, বলদা গার্ডেনে, ব্যোটানিক্যাল গাডেন এ গেলেই পাওয়া যাবে। শুধু প্রেমই নয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। আপনারা হয়ত খেয়াল করে দেখবেন, শিশুপার্ক এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর মাঝামাঝি জায়গায় প্রতিদিন কোন না কোন বাজে দৃশ্য চোখে বাজবেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সাথে যে কয়টি মেয়ে পড়ালেখা করেছিল সব কয়টিই দুমাইয়্যা প্রেম করত। আবশ্যই বেশ কয়েক টি প্রেমকি জুগলের বিয়েও হয়েছে। কিন্তু প্রেমিক ছ্যাঁকা দিয়ে (দৈহিক সম্পর্কের কথা সবাই জানে) অন্য ছেলে কে বিয়ে করেছে এমন সংখ্যা কম নয়। আমি নিজেই জানি বেশ কয়কটি মেয়ে কাহিণী যারা এখন আপাত সুখের সংসার করছেন।

কিছু মেয়ে আছে যারা আর্থিক অনটনের কারণেও প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

কিছু আছে যারা লং ড্রাইভকে ইনজয় করে তাই একাধিক ধনীর দুলালদের সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লং ড্রাইভেও যান। এমনকি জোর পূর্বক হোক আর ইচ্ছা কৃত ই হোক দৈহিক সম্পর্কও করেন।



গত কাল একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে একটা মেয়ে কে রিক্সা খুবই ... অবস্থা একটা ছেলের সাথে ঘুরছে। বিষয়টা এখানে না , ব্যাপার টা হল এই মেয়ে ধর্ষক নিপিড়ক আন্দোলন সংগ্রামে সবসময়ই সামনেই থাকত দেখতাম। আমার হলের অন্য এক বড় ভাইয়ের সাথে তার কঠিন সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে অন্য আরেকটি ছেলে সাথে দেখে কিছুটা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম, আর ভাবলাম এইটাই কি মেয়েদের বৈশিষ্ট্য!!!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১২

লুথা বলেছেন: বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ছেলে এবং প্রত্যেক মেয়েই নিজেকে এক একজন নায়ক বা নায়িকা ভাবেন। >>> ১০০% সত্যি কথা...

নারী নেত্রীগুলা / বড বড কথা বলা মেয়েগুলা তো আরো খারাপ

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৫৬

হুসাই১০ বলেছেন: বগ্লগার ভাইয়্যা কে এবং গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম কে ধন্যবাদ এই কারনে যে বর্তমান আমাদের চারপাশের কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য। আমি আশা করছি বগ্লগারা ব্যক্তিগত জীবনে এই সামাজিক অবক্ষয়ের নিজ ও বাচবে অন্যকেও বাচাতে সহায়তা করবে। পরিক্রিয়া একটি মারাত্মক এবং জঘণ্য কাজ যা বর্তমানে আমাদের সমাজে মহামারি রোগের আকার ধারন করেছে। যার পরিনতিতে অসংখ্য মাচুম নিষ্প্রাপ বাচ্চাকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১৪

লুথা বলেছেন:
যাদের মানসিকতা এমন, তাদের উচিত পেশা হিসেবে পতিতাব্রত্তি বেছে নেয়া এবং সংসার না করা...

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬

ইসমে আজম বলেছেন: পরকিয়া সমাজ ধ্বংস করে। আমাদের চেনা জানা সম্পর্কগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১২

লুথা বলেছেন: হুম

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২১

ভাবসাধক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
দিনকে দিন আমাদের আবেগ শুধু সেক্স কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে... আমরা বুঝি না, এইসবের পরিনতি কতটা খারাপ...শুধু ক্ষণিকের আনন্দের পিছে ছুটেছি

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৬

লুথা বলেছেন: :(

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৫

ভাবসাধক বলেছেন: একটু পরে শুনি ছেলেটা বলছে, 'আমারে তুমি ভুইলা যাইও'। কিছুক্ষন পরে আবারো একই ডায়লগ। আমি মনে মনে বলি, 'ওরে হারামজাদা, তুই নিজে ওই মাইয়ারে ফোন করছস আর কস আমারে তুমি ভুইলা যাইও।'

দারুন ডায়লগ ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৭

লুথা বলেছেন: ;)

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৬

ভাবসাধক বলেছেন: একটু পরে শুনি ছেলেটা বলছে, 'আমারে তুমি ভুইলা যাইও'। কিছুক্ষন পরে আবারো একই ডায়লগ। আমি মনে মনে বলি, 'ওরে হারামজাদা, তুই নিজে ওই মাইয়ারে ফোন করছস আর কস আমারে তুমি ভুইলা যাইও।'

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৭

ভাবসাধক বলেছেন: পরকীয়াকে ঘৃনা করুন ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৭

লুথা বলেছেন: করি

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৭

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: গুরুত্ত্বপুর্ন পোস্ট। ভালো লিখেছেন। প্লাস।

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৮

লুথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

অমিত০৯৭ বলেছেন: @ গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম একদম ফ্রেশ , ভার্জিন মেয়ে পেতে চাইলে তো স্কুল/কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খুঁজতে হবে ভাই। আর বিয়ের পর সন্দেহ জিনিসটা জীবনটাকে বিষিয়ে তুলতে পারে। অহেতুক সন্দেহ করা উচিত নয়।

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: সবাই এখন অনেক কমার্শিয়াল...বস্তুবাদী ফ্যাসিনেশনে আক্রান্ত......

বাকীর লোভে নগদ পাওনা কে ছাড়ে এ ভূবনে ???

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫১

চিন্তায় আছি বলেছেন: Only Islam can give this solotion

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.