![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফাঃ
১। সংবিধানে ‘আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
২। আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
৩। কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৭। মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে
১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
১১। রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
১২। সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
এবার আসি এর সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কি তা নিয়ে। ১ নং এর সাথে আমি একমত। অনুরূপ ২ এবং ৩ এর সাথেও। আমি শাস্তি দাবী করব ধর্ম বিদ্বেষীদের, ধর্ম নিয়ে কটূক্তি কারিদের। কোন নাস্তিকের নয়। নাস্তিকের মুখোশের আড়ালে থাকা ধর্ম বিদ্বেষীদের। নাস্তিকতা আর ধর্মবিদ্বেষ এক কথা নয়। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি কখনো বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। কারণ, নাস্তিক হচ্ছে সে যার খোদার অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই। তার বিশ্বাস তার কাছে। তা নিয়ে কোন মাথা না ঘামালেও চলবে। কিন্তু কিছু নাস্তিক আছে যারা ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে। এরা নাস্তিক না। এরা ধর্ম বিদ্বেষী। অনেকে হয়তো বলবে এটা তাদের বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু আমি এতে একমত নই। কারণ কোন পুলিশ যদি হটাত আপনাকে বা আপনার প্রিয় কোন মানুষকে মারধর , গালিগালাজ করে এবং থানায় নিয়ে আপনাকে অপরাধী হিসেবে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে তখন আমি আপনি সবাই বলবো যে পুলিশটি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। সে এই ক্ষমতা ভোগের যোগ্য নয়। তেমনি কেউ যদি আপনার প্রিয় কিছু এবং বিশ্বাস নিয়ে যুক্তি না দেখিয়ে/বুঝিয়ে উল্টো কটূক্তি করে তাহলে সেটাও বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার। সে বাক স্বাধীনতা ভোগ করার যোগ্য নয়।এটা একটা অপরাধ।
এবার একটু অন্যভাবে তাদের কর্মকাণ্ড ভেবে দেখুন। আপনি কোন Particular ধর্মের অনুসারী হবার দরকার নাই - একটু ভেবে দেখুন - এমনকি যদি নাস্তিক হন তবুও।
মনে করেন, আপনি বাসায় এসে শুনলেন আপনার আদরের ছোট বোনটাকে কিংবা শ্রদ্ধেয় মা কে কেউ অপমান অশ্রদ্ধা করেছেন - কিছু নিম্ন রুচির মানুষ এমন কোন ভাষা ব্যাবহার করেছে যা আপনি কিছু ব্লগ এ পড়ে থাকতে পারেন। না পড়লে লিঙ্ক দিব - শুধু ওই নোংরা - কুৎসিত বাক্যজালে আপনার বাবা - মা বা বোন ওয়ার্ড টা দিয়ে REPLACE করুন। পড়তে কেমন লাগে - আপনি বলবেন বাক স্বাধীনতা? - বললে আপনার জন্য করুনা হয়। আপনি বলবেন অন্যের অধিকার আছে আপনার মা বাবা বোন কে নিয়ে যা খুশি তা বলার? - আপনার তো নুন্নতম মনুষ্যত্ব ও নাই । প্রতিবাদ করার জন্য আপনার কি মুসলিম হিন্দু ইত্যাদি হতে হয়? মা কে রক্ষার জন্য কি নিজের জীবন বাজি রাখতে বুক কাঁপবে - দেশ কে মা হিসেবে - দেশের অপমান সহ্য হয় না - জীবন দিতে কি ভয় পাবেন। এক মাত্র কাপুরুষ আর নপুংশক (Impotent) হলে আপনি প্রতিবাদ করতে ভয় পাবেন। আপনার মা বা বোনের প্রতি নুন্নতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে আপনি অবশ্যই একটা ভাল Treatment এর ব্যবস্থা করবেন? এমন ব্যবস্থা করবেন যেন জীবনে কেউ আর দ্বিতীয়বার আপনার পরিবারের ওপর টোকা দিতে ভয় করে।
মুসলিম দের কাছে নবীজী (স।) এর মর্যাদা নিজের মায়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি - হয়তো অন্য ধর্মের কাছে তার ধর্ম গুরুদের ও । আপানার মায়ের নামে যদি আপনি বিন্দুমাত্র কটু বাক্য শুনতে না পারেন তবে কিভাবে কিছু নিম্ন রুচির লোকের - (যারা সর্জেবজন স্বীকৃত - সর্ব ধর্মের প্রচারক দের নিয়ে MOCKING করে) এ যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারান। এদের তো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত - দ্বিমত থাকলে তাদের লেখা গুলুতে আপনার মা, বোন বা বাবার নাম রিপ্লেস করে দেখেন। আপনার চিত্ত প্রশান্ত হয়েছে? আপনার মা বোন এর ক্ষেত্রে তো আপনি একই আচরণ করবেন? কি সাংঘাতিক !!!!!!! নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন - বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকা তর্কে জেতার চেয়ে ইম্পরট্যান্ট।
আসিফ মহিউদ্দিন তার ব্লগ , মুক্তমনা, এবং ধর্মকারি এই ৩ টা ব্লগে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন তারা কতটুকু অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে যা পরলে আপনার বমি আসাটা স্বাভাবিক, আর রাগের কথা নাইবা বললাম। আমি তার সাথে যখনি তর্ক করেছি সে যুক্তিতে আটকে যাওয়ার চান্স দেখলেই এমন ভাবে অশ্লীল ভাষায় কোরআন মুহাম্মদ (সা) ইত্যাদি নিয়ে কটূক্তি সহ যুক্তি দেয়া শুরু করে যে আপনার তখন যুক্তি দেয়ার ইচ্ছা তো দূরে থাক তার কথাই পড়তে ইচ্ছে করবে না আর। আমি সামু ব্লগ, আমার ব্লগ, চতুরমাত্রিক, এ ৩ বছর ধরে তাদের সাথে যুক্তি তর্কে আছি। কিন্তু তারা কোন তর্কেই রাজি হয়না। তাদের ভুল স্বীকার করেনা। আটকে গেলে তারা অন্য প্রসঙ্গে চলে যায় তেনা প্যাচাতে থাকে এবং একসময় ব্যাক্তিগত আক্রমণ। আর যারা কটূক্তি করে তাদের সাথে তো কোন বিষয়ে কথা বলাই যায়না। কারণ ক্রমাগত কতুক্তিতে কোন ভাবেই থাকা যায়না তর্কে। শুধু তাইনা, আমার সাথে কথায় না পেরে আমাকে মারার হুমকি থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত আক্রমণ এবং পরবর্তীতে মুক্তমনা এবং আমার ব্লগে ব্লক ই করে দিয়েছে সে ব্লগের এডমিন। আর আমি নাস্তিকদের কাছে একটা প্রশ্ন সবসময় করি। কিন্তু এই প্রশ্নের কোন উত্তর তারা দেয়না কখনোই। সেটা হচ্ছে " আপনি নাস্তিক। তার মানে আপনি ঈশ্বর/ খোদায় বিশ্বাস করেন না যা সব ধর্মের প্রথম এবং প্রধানতম বিশ্বাস। তাহলে আপনি যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসই করেন না, বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর বলে কিছু নেই তাহলে আপনি ধর্মের অন্যান্য বিষয় নিয়ে কেন বলতে যান? কেন সমালোচনায় যান যখন মূল কথাটাই নাকচ করে দিয়েছেন। একটা বস্তু যা অন্যেরা বলছে গাড়ি তাকে আপনি যখন বলছেন এটা গাড়িই নয় তখন আপনি কেন আবার এর পার্টস দেখতে যাবেন? সেটা কি যৌক্তিক হবে? তেমনি যখন আপনি বলছেন ঈশ্বর বলে কিছু নেই তখন ধর্মে কি আছে তা নিয়ে কেন গবেষণায় যাবেন, কেন সমালোচনায় যাবেন? তার মানে কি আপনি নিজেই নিশ্চিত নন ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা নিয়ে? নাহয় তো আপনার যাওয়ার কোন দরকার নেই। যদি নিশ্চিত না হন তাহলে আপনার উচিত আগে আরও ভাল করে জেনে নিশ্চিত হওয়া।আপনি সিঁড়ির প্রথম ধাপ ছেড়ে অন্যগুলোতে কেন যাবেন? আপনি যে বিশ্বাসে আছেন সেটার ভেতর থেকে অন্যের বিশ্বাস বিচার করতে পারেননা। আমি বাংলাদেশী হয়ে চীনের সংস্কৃতি নিয়ে সমালোচনা করবো না যদি আমার মাথায় একটুও বুদ্ধি থাকে। কারণ আমি চীনের অধিবাসী নই। কোন কারনে আমি চীনে বসবাস করলেও তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলাতাম না। কারণ আমি তাদের কেউ নই, আমি চীনে জন্ম নেই নি। তাদের সংস্কৃতি আবেগ চিন্তা ভাবনা কখনোই আমার মত হবে না। এই সহজ বিষয়গুলো আপনাদের অতি জ্ঞানী মাথায় প্রবেশ করে না কখনো। তাই আপনাদের সাথে তর্ক করেও লাভ নেই।" ... বিশ্বাস করুন, আজ পর্যন্ত যত বড় বড় নাস্তিকের সাথে তর্ক হয়েছে তারা কেউ এই কথাগুলোর উত্তর দেয়নি। কারণ তাদের কাছে এর উত্তর নেই। তাদের নিজের কোন বিশ্বাস নেই। অন্যের বিশ্বাসের বিপরিতে থেকে তারা নিজের বিশ্বাস গড়তে চায়। আর এর মাধ্যমে শুরু করে হিংসা বিদ্বেষ হানা হানি ইত্যাদি ইত্যাদি। আরও কিছু বেসিক প্রশ্ন আছে যা আমি তাদের করেছি কিন্তু তারা উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছে, পাশ কাটিয়ে গেছে, ত্যানা পেঁচিয়ে গেছে। কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে বলা বা কটূক্তি করা থামায়নি। তেমন কোন নাস্তিককে আমি এর ব্যাতিক্রম দেখিনি। এতে একটা জিনিস বোঝা যায় তাদের বেশিরভাগই দ্বন্দ্ব সংঘাত, বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এসব করে। তাই যারা খারাপ, কোন ভাবেই শোধরাবে না তাদের শাস্তি দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও নেই। ইসলাম যেমন কোমল , ক্ষমাশীল, দয়াবান তেমনি প্রচণ্ড কঠোর এসব ক্ষেত্রে। কারণ এমন সব ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি ছাড়া শান্তি আনা অসম্ভব। কখন মানবতা দেখাতে হবে আর কখন কঠোর হতে হবে তা আপনাকে নিজের জ্ঞ্যান বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে ঠিক করতে হবে। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাকা করতেই হয়।
এরপর তাদের যে দাবী আসলো ৪ , ৫, ৭, এবং ৯ নম্বার এ সেক্ষেত্রে বলছি। ইসলামের অনেক নিয়ম কানুন আছে যেসব আমি আপনি সঠিক ভাবে পালন করছিনা। কিন্তু তাই বলে আমি কিন্তু বলতে পারিনা সেসব নিয়ম সঠিক নয় বা এখনকার জন্য প্রযোজ্য নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইসলাম সব সময়ের সব যুগের জন্য প্রযোজ্য একটি ধর্ম। যেমন আমি হিজাবের কথা বলতে পারি। হিজাব আপনার বা আপনার বোনের বা যে কোন মুসলিমের জন্য কোন আরোপিত বাধ্য বাধকতা নয়। এটা আল্লাহ্র কথা যা আমি আপনি সকলে মানা উচিত একজন মুসলিম হিশেবে। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। কারণ মুসলিম মানে “ আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পণকারী “। আপনি যখন আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পণ করবেন তখন তার কোন নির্দেশ আপনার কাছে বাধ্য বাধকতা মনে হবে না, মনে হবে না এটা এই যুগের জন্য প্রয়োজন নয়, আদি কালের কথা, ইত্যাদি ইত্যাদি। কারণ আপনার মনে তাঁর উপর বিশ্বাস থাকবে, আপনার মনে থাকবে যেহেতু তিনি বলেছেন তার মানে এটাতেই আমার কল্যান নিহিত, এটাই আমার জন্য সর্বকৃষ্ট। আপনার লক্ষ্য কি তার উপর নির্ভর করছে আপনার চিন্তাভাবনা। যেমন ধরুন “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এই কথাটার মানে আমরা অনেকেই সঠিক করে জানিনা। আমরা জানি “ আল্লাহ্ ছাড়া কোন রব বা উপাস্য বা সৃষ্টিকর্তা নেই” এর মানে কিন্তু আরও অনেক ব্যাপক। “ইলাহ” মানে হচ্ছে আপনার ধ্যান, ধারণা, লক্ষ্য উদ্দেশ্য , কাজ, কথা যে লক্ষ্যে পরিচালিত সেই লক্ষ্যটিকে বলে ইলাহ। তার মানে আপনি যখন মুসলমান হচ্ছেন তখন আপনি মুখে স্বীকার করে নিচ্ছেন আপনার ধ্যান ধারণা লক্ষ্য চিন্তা চেতনা কাজ ইত্যাদি সবকিছু আল্লাহ্র প্রতি, আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতি, তাঁর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার প্রতি। সেটা যদি না প্রকাশ পায় আপনার কর্মকাণ্ড কথা চিন্তায় তাহলে আপনি বা আমি কেহই প্রকৃত মুসলিম নই। ইসলামে যা নিষেধ তা নিষেধই। সেটা আমি সঠিক বলতে পারবো না কখনোই। আমি জানি “ মিথ্যা বলা মহাপাপ” কিন্তু মাঝে মাঝে আমি ছোটখাট ২/১ টি মিথ্যা বলি দেখে বলতে পারবো না যে “ মাঝে মাঝে ছোট খাট মিথ্যা বলা পাপ নয়।“ what is right, is right… no matter what I obey it or not. তা ছাড়া ইসলাম শিক্ষা প্রবর্তন মানে কিন্তু অন্য ধর্মকে হেয় করে কিছু করা নয়, অন্য ধর্মের অনুসারিদের ইসলাম ধর্মের বই পড়তে বাধ্য করা নয়।
আর আরকটা ব্যাপার হচ্ছে কোরআনে একটা কথা আছে “ Don’t follow the footsteps of Shaytan” এখানে পদচিহ্ন বলতে সেসব কাজকে বুঝানো হচ্ছে যেসব কাজ আপাত দৃষ্টিতে আমার বা আপনার কাছে ইসলামের বিরুদ্ধে বা তেমন খুব একটা খারাপ মনে হচ্ছে না কিন্তু সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। যেমন, মোমবাতি প্রজ্জলন, শিখা অনির্বাণ, মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা গ্যাপন , কবরে ফুল দেয়া, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, মূর্তি স্থাপন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ছোট্ট একটা সত্য কাহিনী বলবো। আমার এক বন্ধুর বাবার মৃত্যুর পরের ঘটনা। আত্মীয় স্বজন সবাই একত্র হল, শোকের একটা পরিবেশ। দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। তখন বন্ধুর বড় ভাইয়ের ৪ বছরের ছেলে এসে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো “ বাবা, দাদুকে কে কখন পোড়ান হবে? “ বুঝেছেন তো? এখন সে হিন্দি সিরিয়ালে মরা ব্যাক্তিকে পোড়ান দেখতে দেখতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই জিজ্ঞেস করছে। এমন চলতে থাকলে, ইসলামের পরিচিতি সে যদি ছোট থেকে না পেতে থাকে বা পাঠ্য না হয় তাহলে আর কিছু জেনারেশন পর তারা তাদের মৃত পিতাকে পোড়াতেই নিয়ে যাবে। এটাই হল footsteps of Shaytan যা আস্তে আস্তে ইসলাম থেকে দূরে নিয়ে যাবে আপনাকে। আশা করছি আমি বুঝাতে পেরেছি কি বলতে চেয়েছি তা। এসবে দাবীর সবগুলোই এখন একসাথে করা যাবে কিনা তা আলোচনা সাপেক্ষ্য। অন্ততঃ আমি বলবো দাবী গুলো উঠায় সবাই এটা নিয়ে ভাববে, ভেবে দেখবে ইসলাম এক্ষেত্রে কি বলে, এটা নিজের জন্য ভাল না খারাপ, আলোচনা হবে ইত্যদি ইত্যাদি। আশা করতে পারি যে এর মাধ্যমে একটি পজিটিভ একটা রেজাল্ট আসবে ইনশাআল্লাহ।
এবার আসি ৬ নাম্বার দাবী, কাদিয়ানীদের নিয়ে। কাদিয়ানী সম্প্রদায় তাদের পরিচয় দেয় ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ বলে। কাদিয়ানী মতবাদের সাথে ইসলামের বিরোধ কোথায় এবং কেন সচেতন মুসলিম সমাজ কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি করে-এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে কয়েকটি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা মানব জাতির যোগ্যতা ও উপযোগিতা হিসাবে কালক্রমে তাদের বিভিন্ন শরীয়ত দিয়েছেন। আর এর পূর্ণতা ও পরিসমাপ্তি বিধান করেছেন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে। দ্বীনের পূর্ণাঙ্গতা লাভের পর যেহেতু এতে কোনোরূপ সংযোজন ও বিয়োজনের প্রয়োজন বা অবকাশ নেই তাই মানবজাতির জন্য নতুন শরীয়তেরও প্রয়োজন নেই। সুতরাং আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূল প্রেরণের ধারা চিরতরের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা ইসলামের অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, (অর্থ) ‘‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করেছি, আর আমি তোমাদের জন্য আমার নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি এবং দ্বীন হিসেবে ইসলামকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছি।’’ (সূরা মায়েদা : ৩) পবিত্র কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে, (অর্থ) ‘‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যকার কোনো বয়স্ক পুরুষের পিতা নন, তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী।’’-সূরা আহযাব : ৪০। এছাড়াও আরও অনেক কোরআনের আয়াত এবং সহিহ হাদিস আছে যা মুহাম্মদ (সা) কে সর্বশেষ নবী বলা হয়েছে। কিন্তু কাদিয়ানি রা এটাই মানে না। তাদের মতে তিনি সর্বশেষ নবী নন। তাদের মতে গোলাম আহমদ হল সর্বশেষ নবী। এর মাধ্যমে তারা কোরআনের কথা তথা আল্লাহ্র কথা অমান্য করছে। অমান্য করছে হাদিসকে যা মুসলমান হওয়ার অন্যতম ২ পূর্বশর্ত। তাহলে তাদের নিশ্চয়ই মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা চলে না। চার খলিফার আমলেও কয়েকজন এমন ভণ্ড নবীর আগমন ঘটেছিল যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দমন করা হয়েছে বা কতল করা হয়েছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর জন্ম হবে। তাদের প্রত্যেকে নিজেকে নবী বলে দাবি করবে। অথচ আমি হলাম সর্বশেষ নবী, আমার পরে কোনো নবীর আগমন হবে না।’’-আবু দাউদ, ফিতান, পৃ. ৫৮৪; তিরিমিযী, খন্ড ২, পৃ.৪৫। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করা মুসলমানের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যার এ বিশ্বাসে ত্রুটি রয়েছে, তার ঈমান বহাল থাকার কোনো অবকাশ নেই। এছাড়াও আরও অনেকগুলো কারণ বলতে পারি আমি তাদের বিরুদ্ধে। তবে মনে হয় না কোরআন আর হাদিসের পর কিছু বলার থাকে। এক্ষেত্রে কাদিয়ানীদের কেউ কেউ বলে যে কাদিয়ানীদের একটা গ্রুপ শুধু গোলাম রহমান কে নবী হিশেবে মনে করে বাকিরা নয়। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা কোরআন, মুহাম্মদ (সা) এর পর ইমাম মাহাদি কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। আমার মনে হয় ইমাম মাহাদি কে নিয়ে যেসব মত দ্বিমত রয়েছে তা সময়ের সাথে ফয়সালা হয়ে যাবে। এটা এমন কোন বিষয় নয় যা মুসলমানদের ইসলাম পরিপূর্ণ ভাবে ফলো করতে সমস্যা হবে। তাই একে সময়ের হাতেই ছেড়ে দেয়া ভাল। মুসলমানদের জন্য কোরআন এবং মুহাম্মদ (সা) অর্থাৎ সুন্নাহ ই যথেষ্ট। তবে তাদের একটা গ্রুপ যদি গোলাম রহমান বা অন্য কাউকে শেষ নবী হিশেবে মনে করে তাহলে আমি ঐ গ্রুপটিকে ইসলামের বা মুসলিমদের দলের বাহীরে রাখতেই দাবী করব। এটা চেক করে দেখতে হবে সরকারকে।
১০,১১,১২, ১৩ এর ব্যাপারে আমার মত সরকারের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয় গুলো চেক করে দেখা এবং দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তি আর নির্দোষী দের মুক্ত করা।
অনেকে হয়তো আমার উপরের কথা গুলো পড়ে বলবে আমি গোঁড়া মুসলিম, মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, আধুনিক মুসলিম নই ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের জন্য আমার বক্তব্য হচ্ছে যদি সত্য কে সত্যা এবং ইসলামের নিয়ম নীতি সঠিক বলে বিশ্বাস করলে আমাকে মৌলবাদী হতে হয় তাহলে তা হতে আমি রাজি আছি। কোরআনে বলা আছে “ তোমারা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর” তাই মুসলিম হতে হলে ইসলামের সকল নিয়ম পরিপূর্ণভাবে মানতে হবে। কিছু মানলাম কিছু মানলাম না এমন কোন পথ নেই। Islam is Islam, There is no term in Islam like moderate muslim or modern muslim etc etc. প্রশ্ন শুধু আপনি ইসলাম মেনে চলছেন অর্থাৎ মুসলিম কিনা। আর কিছুই না। আমি নিজের সুবিধা অনুযায়ী ইসলামের কিছু নিয়ম মেনে চলব কিছু মানবনা, এমন কোন কিছু ইসলামে নেই। ইসলাম কে মানতে হলে, মুসলিম হতে হলে ইসলামের সকল কিছু মেনে চলতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। আর কোন ২য় পথ নেই।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: এই টপিকে আমিও লিখসিলাম কয়দিন আগে
Click This Link
আপনি বলতেসেন ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগারদের শাস্তি চান।
কি লাভ?
যে কোন অন্যায়ের শাস্তি দেয়ার মুল উদ্দেশ্য কিন্তু প্রতিহিংসা না বরং উদাহরণ সৃষ্টি। কোন শাস্তি নে দেয়াতে তারা নিজের নামে লিখতো শাস্তি দিলে বেনামে লিখবে। থামাতে হলে শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ করা ছাড়া উপায় দেখিনা।
তাদের লেখার জবাব লেখা দিয়ে দেয়া যায়না? অথবা ইগ্নোর করা যায়না?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৪
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: আমি পোস্টেই বলেছি আমি অনেকবার লেখার জবাবে লিখা দিয়েছি কিন্তু কুকুরের লেজ বাকাই থাকে। সরকার আইন করতে পারে যাতে ব্লগের এডমিনরা কখনোই এ ধরণের লেখা প্রকাশ না করে। তাহলে বেনামে লিখাও বন্ধ হয়ে যাবে।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: কথাগুলো সঠিক আছে। একমত প্রকাশ করছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বুঝলাম না, পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন কি করে এখানে সমর্থন করেন?
আর কটুক্তি-বিদ্বেষের সংজ্ঞা নির্ধারণ করবেন কে?? আমাদের মোল্লারা??
দ্বিতীয় সমস্যা ইসলামের সার্বজনীন মানদণ্ড কে ঠিক করবে ?? মোল্লারা?? মোল্লাদের মধ্যেও তো হাজারটা গোষ্ঠী। ব্লাসফেমী আইনকে ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়। আমাদের দেশে এখন যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা নিতান্তই অবান্তর। আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আর তাঁর গুরু ফরহাদ মাজহারের উস্কানিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতো মোনাফেকদের কথায় মোল্লারা ক্ষেপেছে। আমি সবাইকে মানুষ হওয়ার আহবান জানাই।
Click This Link
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন কি করে এখানে সমর্থন করার কি হল? সবখানে পাকিস্থান ভারত নিয়ে আসা একটা রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্লাসফেমি আইনত ইসলামেই আছে। এর সাথে পাকিস্থানকে জড়ানর মানে বুঝলাম না।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০০
নাইট রিডার বলেছেন: ১। হেফাজতে ইসলামীর একটি দাবী- নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হবে।
- তাদের সংগ্রামে সমর্থন দানকারী বি এন পি এর প্রধান একজন নারী, যিনি কিনা পুরুষদের সাথে অবাধে বিচরন করেন বলেই আমার ধারণা। তাহলে কেন এই ধরনের একটি দলের সমর্থন তারা গ্রহন করলেন?
- তারা তাদের দাবী দাওয়া এমন একটি সরকারের কাছে করলেন যার প্রধান ব্যক্তি একজন নারী, যিনি ও পুরুষদের সাথে অবাধে বিচরন করেন বলে আমি মনে করি। তাহলে এই ধরনের একটি সরকারের কাছে কেন এই দাবী উপস্থাপন?
২। তাদের আরেকটি দাবী-পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্বের একটি হল ইসলাম প্রচার এবং প্রসার। অন্য ধর্মের লোকের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান প্রত্যেক মুসলমানের উপর বর্তায়, ঠিক তেমনি খ্রীষ্টান মিশনারীদের ও দায়িত্ব তার ধর্ম এর প্রচার। সেই প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ যদি ধর্মান্তরিত হয় সেটা সেই লোকের দূর্বল ঈমানের পরিচয় প্রদান করে, কিন্তু এর জন্য কোনভাবেই তাদের ধর্মপ্রচার আমরা বন্ধ করতে পারি না।
কিন্তু হেফাজতে ইসলাম তাই চাচ্ছে। কেন?
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ফাকিস্তানের ন্যায় এতো কঠোর সব দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম । অথচ মূল দাবিটাই জানালো না। ইসলামে নারী নেতৃত্ব সম্পূর্ণ হারাম। তাদের প্রথম দাবিই হওয়া উচিত ছিল হাসিনা ও খালেদাকে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। এ দাবি তারা তুললোই না?
এটা কি ধরনের ভণ্ডামি হলো?? ক্ষমতাকে তারা এতোটাই ভয় পায় যে, এই কথাটা বলার সাহস রাখে না। এরা করবে জিহাদ? এই না হলে খাঁটি মুসলমান!
বাংলাদেশে এখন যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সবই অবান্তর। হায়রে আবাল জাতি।
ফরহাদ মাজাহারের মতো ভণ্ডরা আজ ইসলামের ইজারাদার । আর লেখককে বলছি আমি আপনার কাছ থেকে অন্য কথাগুলোর যৌক্তিক উত্তর প্রত্যাশা করছি।
২০০০ এর দশকে (সালটা মনে নেই) একবার দেশে মারাত্মক বন্যা হলো। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিলো। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হলো। ঠিক একই সময়ে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজে গেল। দেশের কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বললেন না, যে এবার হজ না করে টাকাটা বন্যাদুগর্তদের দেওয়া হোক। মানুষের জন্য ধর্ম না ধর্মের জন্য মানুষ? ইসলামে কি বলে?
যতদুর জানি ইসলামে একটা কথা স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবেশী ক্ষুধার্ থাকলে ঈমান থাকে না। ঈমানই যদি না থাকে তাহলে হজ হয় কিভাবে? উর্বর মস্তিষ্কের ইসলামী চিন্তাবিদদের অবস্থাই যদি এই হয়, তাহলে সাধারন মুসলিমদের অবস্থা কি সেটা অনুমান করতে খুব বেশি মেহনতের দরকার হয় না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইজমা-কিয়াস অনুযায়ী প্রতিবেশীর সংজ্ঞাও নিশ্চয় পাল্টেছে। আমরা মুহুর্তের মধ্যে জানতে পারি, কোথায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। কোথায় মঙ্গা বিরাজ করছে। কোথায় মানুষ না খেয়ে আছে। সমগ্র মুসলিম জাতি কি পারে না বাইজী বাড়ীর খদ্দেরদের বিলাসিতা আরও তরান্বিত না করে এক বছরের হজের টাকা সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষপীড়িতদের দিতে। পারে না কারন, তাতে ধর্ম রক্ষা হলেও হাজী টাইটেল পাওয়া যাবে না। এসব মুসলিমদের আসল কথা দাড়িয়েছে, দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোই আমার চাই। তারা ইসলামকে এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেন দুনিয়ার ব্যক্তিগত ভোগবিলাস, নাম যশ সম্পূর্টাই অটুট থাকে। সেই সঙ্গে বেহেশতও।
আমার একটা পোস্টের কিছু অংশ।
যাইহোক দেখলেন তো ইসলামী চিন্তাবিদদের অবস্থা। এবার আমাকে বলুন ইসলামের সার্বজনীন মানদণ্ড কে ঠিক করবে ?? মোল্লা., ইসলামী চিন্তাবিদ?? কারা তারা ?? কোথায় তেনারা?? নাকি ফরহাদ মাজহার আর মাহমুদুর রহমান?? যৌক্তিক উত্তর প্রত্যাশা করছি।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পাকিস্তানে ব্লাসফেমী আইনের অপব্যবহার মারাত্মক। পাকিস্তান জাতি একটা বাস্টার্ড জাত। আফগানিস্তানও । এরা বহু ভাগে বিভক্ত। পাঠানেরা অন্য বংশগুলোকে মানুষই ভাবে না। আর এই আচুদা দেশগুলোর আইন এখানে কিভাবে প্রয়োগের কথা বলা হয়?? ইন্দোনেশিয়া তো মুসলিম দেশ। সেখানকার একটা মানুষের নামও মুসলিম নাম নয়। কালচার এবং ধর্মটাকে আলাদা করে ভাবতে শিখুন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: দেখুন, ইসলামের মানদণ্ডের জন্য কোন মোল্লার তো দরকার নেই। কোরআন হাদিস রয়েছে, কোন মোল্লা মানদণ্ড ঠিক করবে তা অযৌক্তিক। মানদণ্ড নির্ধারণের জন্য কোরআন আছে হাদিস আছে, দরকার হলে বিশ্বের নামকরা ইসলাম বিশেষজ্ঞের মতামতও নেয়া যায়। আশা করি বুঝেছেন। আর কালচার মানতে আমার কোন আপত্তি নেই যতক্ষন তা ইসলামই নিয়মের বিপক্ষে না যায়।
আর আমি বলেছি " এসবে দাবীর সবগুলোই এখন একসাথে করা যাবে কিনা তা আলোচনা সাপেক্ষ্য। অন্ততঃ আমি বলবো দাবী গুলো উঠায় সবাই এটা নিয়ে ভাববে, ভেবে দেখবে ইসলাম এক্ষেত্রে কি বলে, এটা নিজের জন্য ভাল না খারাপ, আলোচনা হবে ইত্যদি ইত্যাদি। আশা করতে পারি যে এর মাধ্যমে একটি পজিটিভ একটা রেজাল্ট আসবে ইনশাআল্লাহ। "
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দুই নারীকে সরানোর জন্য কেন দাবি দেয়া হলো না????
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: হবে আরকি আস্তে আস্তে। ওরাও নাহয় শাহাবাগের মত আগে বাংলা পরীক্ষা দিক শাহাবাগ তো কোন সাহস করেনি সরকারেকে প্রশ্ন করার যে কেন কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া হলনা। বলতে পারেনি যে সরকার রাজাকার দের সাথে হাত মেলাচ্ছে। ওরা তো সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছে, চাপে ফেলছে যা সাহাবাগ পারেনি বা চায়নি ইচ্ছে করেই।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৪
দি সুফি বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
ইসলামে জোরজবরদস্তির কিছু নেই। কাউকে জোর করে তার হৃদয়ে ইসলাম প্রেম জাগ্রত করা সম্ভব নয়। দরকার ইসলামের দাওয়াত দেয়া।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫
সত্য কথা বলি বলেছেন: ভালো লাগলো । যুক্তিপূর্ণ কথা। একমত ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি পোস্টেই বলেছি আমি অনেকবার লেখার জবাবে লিখা দিয়েছি কিন্তু কুকুরের লেজ বাকাই থাকে। সরকার আইন করতে পারে যাতে ব্লগের এডমিনরা কখনোই এ ধরণের লেখা প্রকাশ না করে। তাহলে বেনামে লিখাও বন্ধ হয়ে যাবে।
এতে কমিউনিটি ব্লগে বন্ধ হবে... কিন্তু পার্সোনাল ব্লগ? বা ফেসবুক পেইজ? (প্রোফাইল না... বেনামে যেসব পেজ খোলা যায়) তারপর ধরে বিদেশ থেকে যারা লিখে?
তসলিমার মত দেশ থিকা বাইর কইরা দিলেও এই যুগে লাভ নাই... ইন্টারনেট দিয়া যা খুশি লিখতে পারবো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: অসব ব্যাপারে বিটিআরসি এর কাছে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা থাকবে এবং ঐসব পার্সোনাল ব্লগের বাংলাদেশের গেইট ওয়ে বন্ধ করে দেবে তারা যাতে বাংলাদেশে কেউ সেসব সাইটে না যেতে পারে। আগে কমিউনিটি ব্লগে তো বন্ধ হোক। আস্তে আস্তে ঐসব ও কমে আসবে। নিজে নিজে চিল্লায়া আর কি করবে। আর যারা এসব লেখে তাদের সনাক্ত করে শাস্তি দিলে এমনিতেই অন্যরা করার আগে ১০ বার ভাববে। ওরা কোন বাধা পায়নি এতদিন। তাই এত বাড়তে পারসে। বাধা পেলে শিয়ালের মত লেজ গুটিয়ে পালাবে। আগে আইন প্রয়োগ হোক যারা কটূক্তি করেছে তাদের বিপক্ষে। আস্তে আস্তে বাকি গুলোও বন্ধ হবে।
১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
বিষন্ন একা বলেছেন: সত্য কথা বলি বলেছেন: ভালো লাগলো । যুক্তিপূর্ণ কথা। একমত ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৭
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমি ধর্ম নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তাদের কাজটা সাপোর্ট করি না। সেই সঙ্গে তাদের কঠোর শাস্তি হোক সেটাও সাপোর্ট করি না।
কিন্তু আপনি সাপোর্ট করছেন তাদের কঠোর শাস্তি হোক।
এবার আপনার কাছে একটা প্রশ্ন:
আমাদের দেশের আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফসহ অনেকে নাস্তিক ছিলেন বটে তবে তারা কুরুচিপূর্ণ কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের ভাবনা চিন্তা তারা লিখে গেছেন।
কিন্তু তাদের নিয়ে কত আস্তিক কত কটুক্তি এবং আজেবাজে কথা বলছে জানেন? তাহলে ওই আস্তিকদেরও কি সাজা হওয়া উচিত নয়?? তারাও একই অপরাধে অপরাধী। আর এরকমভাবে সাজা দিতে চাইলে হাজার হাজার আস্তিকেরও সাজা দিতে হবে যদি নৈতিকতা থেকে থাকে। আস্তিকদেরই শুধু অনুভূতি থাকবে আর নাস্তিকদের কোনো অনুভূতি থাকতে পারে না?
একটা সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকারই সমান। মজার ব্যাপার হলো আপনারা সভ্য ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাও রাখে না।
বিদ্বেষ উভয়পক্ষ থেকেই ছড়িয়েছে। উভয়পক্ষই একই অপরাধে অপরাধী। হিসাবটা সোজা। নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখুন। আর ফাকিস্তানের সঙ্গে তো আমাদের ইসলামী দলগুলো কিছু কালচার বরাবরই ধার করে।
দুই নম্বর আমি ধর্মের সার্বজনীন মানদণ্ডের কথা বলেছি। শিয়া সুন্নিসহ লাখো দলে বিভক্ত।
আর আমাদের দেশের ইসলামী চিন্তাবিদদের অবস্থা আপনাকে বলেছি। আবার পড়ুন।
আমি মনে করি যাদের কাছে সাম্প্রদায়িক পরিচয় মুখ্য তারা মানুষের আওতায় পড়ে না। আমরা কারো সঙ্গে পরিচিত হলে তার ধর্ম কি সেটা জানার প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশে এখন সম্পূর্ণ অবান্তর একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে।
পরিশেষে সবাইকে মানুষ হওয়ার আহবান জানাই। ধন্যবাদ
Click This Link
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তাদের আমি সমর্থন করি না। সেই সঙ্গে তাদের কঠোর শাস্তি হোক সেটাও সমর্থন করি না।
কিন্তু আপনি সমর্থন করছেন তাদের কঠোর শাস্তি হোক।
এবার আপনার কাছে একটা প্রশ্ন:
আমাদের দেশে আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফসহ অনেকেই নাস্তিক ছিলেন বটে তবে তারা কুরুচিপূর্ণ কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের ভাবনা চিন্তা তারা যুক্তিতর্কের আলোকে লিখে গেছেন।
কিন্তু তাদের নিয়ে দেশের কত আস্তিক কত কটুক্তি এবং আজেবাজে কথা বলছে জানেন? অনেকে 'খানকির পোলা' টাইপের ভাষা ব্যবহার করেতে দেখেছি। তাহলে ওই আস্তিকদেরও কি সাজা হওয়া উচিত নয়?? তারাও কি একই অপরাধে অপরাধী নয়??
আর এরকমভাবে সাজা দিতে চাইলে হাজার হাজার আস্তিকেরও সাজা দিতে হবে যদি নৈতিক মানদণ্ডে বিচার করতে চান। আস্তিকদেরই শুধু অনুভূতি থাকবে আর নাস্তিকদের কোনো অনুভূতি থাকতে পারে না?
একটা সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকারই সমান। মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ লোক সভ্য ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাও রাখে না। কারন তারা মানবিক বিবেকবোধের চাইতে ধর্ম তথা সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে বড় করে দেখে।
বিদ্বেষ উভয়পক্ষ থেকেই ছড়িয়েছে। উভয়পক্ষই একই অপরাধে অপরাধী। হিসাবটা সোজা। নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখুন।
কুরুচিপূর্ণ আস্তিকদের যদি শাস্তি হয় তাহলে যারা বিদ্বেষমূলক রচনা লিখেছেন তাদেরও শাস্তি মেনে নিব। আর যেহেতু সেটা সম্ভব নয় তাহলে একপাক্ষিক ও সম্পূর্ণ অনৈতিক ও সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে একপাক্ষিক বিচারকে সমর্থন সম্পূর্ণ অনৈতিক। এবং কোনো মানবিক বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ এটা সমর্থন করতে পারে না।
আমি মনে করি যাদের কাছে সাম্প্রদায়িক পরিচয় মুখ্য তারা মানুষের আওতায় পড়ে না। আমরা কারো সঙ্গে পরিচিত হলে তার ধর্ম কি সেটা জানার প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশে এখন সম্পূর্ণ অবান্তর একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে।
পরিশেষে সবাইকে মানুষ হওয়ার আহবান জানাই। ধন্যবাদ
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: আপনি তাদের কঠোর শাস্তি হোক তা সমর্থন করেন না সেটা আপনার ব্যাপার। আপনি আপনার মততো সবার উপর চাপিয়ে দিতে পারেননা। আপনার কাছে আল্লাহ্, কোরআন, মুহাম্মদ (সা) নিয়ে কটূক্তি খুব বড় অপরাধ মনে হয় না। সেটা আপনার বিশ্বাসের গভীরতার উপর নির্ভর করে যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন। আর যদি না হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে সেটা খুব বেশী বড় কিছু ভাববেন না সেটাই স্বাভাবিক। আপনার ধর্মীয় অনুভূতি আর সবার ধর্মীয় অনুভূতি যে এক হবে সেটা ভাবছেন কেন? আপনার অনুভূতি চিন্তাধারা দিয়ে আর সবারটা বিচার করতে পারেন না। আপনার এটা ঠিক মনে না হলে যান এর প্রতিবাদ করুন গিয়ে, প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করুন যদি তেমন ইচ্ছে থাকে। যদি আপনার মত তাদের মত প্রকাশ্যে প্রকাশ করতে না পারেন তাহলে এখানে সমর্থন করিনা সমর্থন করি না বলে চিল্লাতে চিল্লাতে মরে গেলেও লাভ হবে না। যান, সাহস করে প্রকাশ্যে বলুন। তুলে ধরুন আপনার বক্তব্য। সেটা যদি সবাই মেনে নেয় তাহলে তো আপনার ইচ্ছে পুরন হবেই।
আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফসহ অনেকেকে যে বা যারা করুচিপুরন মন্তব্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা করেননি তারা? আপনিই বা করেননি কেন? আর তাদের আক্রমণ ছিল ব্যক্তিগত। তাই মামলাও করা যেত ব্যাক্তিগত ভাবে। কিন্তু এখানে আঘাত করা হচ্ছে সমষ্টি গত বিশ্বাসের উপর, একজন মুসলিমের খুব ভিতরের অনুভূতি নিয়ে। ২ টা এক জিনিস হল না। আপনার কাছে বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে না হতে পারে। কিন্তু মেজরিটি মুসলিমের কাছে এটা বড় অপরাধ। আপনার মতামত আপনার কাছে রাখুন। টা দিয়ে আর সবার টা বিচার করতে আসবেন না।
" ধর্ম নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তাদের আমি সমর্থন করি না।কিন্তু,,,, " বা "আমিও তাদের শাস্তি চাই কিন্তু,,,," এধরণের কথা বলা লোকেরা কোন পক্ষের বা কোন ভাবধারার তা ঠিক জানা আছে। যখন প্রথম দিকে শাহাবাগের রমরমা অবস্থা তখন একটা স্লোগান পরিচিতি পেয়েছিল খুব যে " আপনি যদি বলেন " আমি যুদ্ধপরাধিদের বিচার চাই, কিন্তু... " তাহলে এই কিন্তু বললেই আপনি তাদের পক্ষের বা ছাগু। "
এখন সে রকম করে আমারও বলতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে ... আপনি যদি বলেন " আমি ধর্ম বিদ্বেষীদের বিচার চাই, কিন্তু..." তাহলে এই কিন্তু বলার জন্যই আপনি তাদের সমর্থক বা ইসলাম বিরোধী। ......
:p
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: দ্বিতীয়ত, আমি হজ নিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের ভূমিকা তো বলেছিই। সেটা কি পড়েননি? সার্বজনীন মানদণ্ড বলতে আমি কি বোঝাচ্ছি সেটা বোধ হয় আপনি বুঝছেন না।
তালেবানেরা যারা পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলা চালায় আপনার মতো মডারেট মুসলিমরা বলবে ওরা ইসলামের পথে নেই। কিন্তু ওদের কাছে যদি যুক্তি শুনতে যান তবে ওরাও কোরান টেনে আনবে। বলবে এখানে বলা আছে..............শত্রুদের নিপাত...যেহাদের .......কথা। শিয়ারাও কোরান টেনে আনে। একই হাদিস হুজুর ভেদে ভিন্ন হয়। কোন বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও আছে মতবিরোধ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২০
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: আমি ঠিকই বুঝেছি। তাই বলেছি মানদণ্ড কোন ব্যাক্তি ঠিক করবে না। মানদণ্ড ঠিক করবে কোরআন এবং হাদিস। একই হাদিস হুজুর ভেদে ভিন্ন হয়। এই কথাটা ঠিক নয়। সহিহ হাদিস চেঞ্জ করার কোন পথ নেই। ভাল করে জেনে বলুন। আর তালেবানরা বা শিয়ারা বললেই যে সেটা ঠিক হবে এমন তো কথা নেই। আপনি ওরা কি বলছে এরা কি বলছে সেটা শুনার তো কোন দরকার নেই। আপনি জানুন কোরআন কি বলছে হাদিস কি বলছে। ইসলাম মানে কোরআন হাদিস। তাই ইসলামকে ঐসব দিয়েই বিচার করুন। কোন হুজুর কি বলসে, কোন তালেবান কি বলসে এসব বলে লাভ নেই। যারা ইসলাম সম্পর্কে সন্দেহ ছড়াতে চায় তারাই এসব নিয়ে পড়ে থাকে।
১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: @পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন: এত টাইট কইরা ধরসেন ক্যান? কানবো তো পরে!
১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: @পরাজিত একটা ঘা ওয়ালা ল্যান্জাবিশিষ্ট হনু,
ওরে নিয়ে মাথা ব্যাথার কিছু নাই,
কয়দিন পর ল্যান্জায় পচন ধরে আপনাই নিপাত যাবে
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: হুম,,, কিছুদিন আগে দেখেছিলাম শিবির, জামাত, তাদের ব্লগ , পেইজ, " বাসেরকেল্লা" পেইজের কাঁপাকাঁপি, লাফালাফি, ফেইক নিউজ, ছবি পোস্ট দেয়া আর এখন দেখছি তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ, মঞ্চের পক্ষের শক্তি,, মিডিয়া, পেইজগুলোর কাঁপাকাঁপি, লাফালাফি, ফেইক নিউজ, ছবি পোস্ট। ল্যাঞ্জায় পাড়া পরলে সব ছাগলই লাফানো শুরু করে একই ভঙ্গি বা স্টাইলে ।
" ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড..."
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি অযৌক্তিক কথা বলে যাচ্ছেন । যুক্তিতে আসুন।
অনুভূতি কি শুধুই আস্তিকদের??
নাস্তিকদের অনুভূতি কি থাকতে পারে না??
নাস্তিকেরা কি তাদের লেখা পড়তে বাধ্য করেছে কাওকে??
এটা নিয়ে জল ঘোলা করে তারাই ধর্মকে অপমান করছে। বর্তমানে আটক হওয়া ব্লগারদের লেখা যারা আগে পড়েনি তারাও তাদের লেখা পড়ছে। ওই ব্লগাররা তো তাদের লেখা পড়তে বাধ্য করেনি কাওকে। আমিও সম্প্রতি তাদের লেখা পড়লাম। দেখে কিছুটা অবাকও হলাম। প্রত্যেকে ব্লগার হিসেবে হিট। মানে তারা যা লিখেছেন, সবাই হুমরি খেয়ে পড়েছে তাদের লেখা পড়ার জন্য। যেনেশুনে থাপ্পড় খেতে গিয়ে ফিরে এসে বললো আমাকে থাপ্পড় মারলো কেন? কি অদ্ভূত আমাদের যুক্তি। তারপরও বলবো ব্লগের লেখা ব্লগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই উস্কানি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত।
আর আপনি বলছেন, কোরান বা হাদিস অনুসরণ করতে। শুনুন,
কোরান আপনি পড়লে আপনি আপনার মতো করে বুঝবেন। আমি পড়লে আমি আমার মতো করে বুঝিবো। আপনার আর আমার বুঝ সার্বজনীন?? শিয়া মুসলমানেরাও কোরান অনুসরণ করেই তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করে। আপনি যদি শিয়া মুসলিম হতেন তাহলে শিয়ার মতো করেই চিন্তা করতেন। সার্বজনীন হলো কিভাবে?? একই হাদিস হুজুর ভেদে ভিন্ন হয়। হুজুরদের বেশিরভাগই পেটের হাদিস কালাম কয়। আপনি শিয়া ধর্মে জন্ম নিলে আজ শিয়ার মতো করে চিন্ত করতেন। তাহলে সার্বজনীন হলো কিভাবে?? একই হাদিসের ব্যাখ্যা হুজুরভেদে ভিন্ন হয়
আমরা জেনারেল লাইনের লোক হাদিস কালাম শিখি মসজিদের হুজুরদের কাছে। কিন্তু মসজিদের হুজুরদের পেট চলে সমাজের দুই নম্বর লোকদের টাকায়। গত রমজানে এ বিষয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে । যাইহোক পোস্ট থেকে একটা অংশ আপনাকে বলছি
''২০০০ এর দশকে (সালটা মনে নেই) একবার দেশে মারাত্মক বন্যা হলো। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিলো। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হলো। ঠিক একই সময়ে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজে গেল। দেশের কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বললেন না, যে এবার হজ না করে টাকাটা বন্যাদুগর্তদের দেওয়া হোক। মানুষের জন্য ধর্ম না ধর্মের জন্য মানুষ? ইসলামে কি বলে?
যতদুর জানি ইসলামে একটা কথা স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবেশী ক্ষুধার্ থাকলে ঈমান থাকে না। ঈমানই যদি না থাকে তাহলে হজ হয় কিভাবে? উর্বর মস্তিষ্কের ইসলামী চিন্তাবিদদের অবস্থাই যদি এই হয়, তাহলে সাধারন মুসলিমদের অবস্থা কি সেটা অনুমান করতে খুব বেশি মেহনতের দরকার হয় না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইজমা-কিয়াস অনুযায়ী প্রতিবেশীর সংজ্ঞাও নিশ্চয় পাল্টেছে। আমরা মুহুর্তের মধ্যে জানতে পারি, কোথায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। কোথায় মঙ্গা বিরাজ করছে। কোথায় মানুষ না খেয়ে আছে। সমগ্র মুসলিম জাতি কি পারে না বাইজী বাড়ীর খদ্দেরদের বিলাসিতা আরও তরান্বিত না করে এক বছরের হজের টাকা সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষপীড়িতদের দিতে। পারে না কারন, তাতে ধর্ম রক্ষা হলেও হাজী টাইটেল পাওয়া যাবে না। এসব মুসলিমদের আসল কথা দাড়িয়েছে, দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোই আমার চাই। তারা ইসলামকে এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেন দুনিয়ার ব্যক্তিগত ভোগবিলাস, নাম যশ সম্পূর্টাই অটুট থাকে। ''
হজের ব্যাপারে হুজুর কিছু বলে না কেন??
অনেক হুজুর বদলি হজ করে টাকা পায়। অনেক হুজুরের সাথে হজ এজেন্সির লাইন ঘাট ভালো । সেখান থেকে কিছু আয় হয়।
আমি বেশ কিছু হুজুরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছি, দেখেছি তারা, প্রতিবেশি ক্ষুধার্ত থাকলে ঈমান থাকে না; এই কথাটাকে নানা ভাবে পেঁচিয়ে ফেলে। 'আসলে কথাটা ঠিক এভাবে নেই বলে.......ধানাইপানাই শুরু করে। সার্বজনীন বলতে কি বোঝাচ্ছি তা কি আপনার মগজে হান্দাইছে??
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: আপনাদের মত ত্যানা পেঁচানোদের একটা সমস্যা হল আপনারা সহজ কথা বুঝেন না। বা মাথায় ঢুকে না। আপনি যেমন বললেন ব্লগের লেখা ব্লগে সিমাবদ্ধ ছিল ব্লা ব্লা ব্লা, তাহলে বলুন "আমার দেশ" পত্রিকা তা প্রকাশ করার পর সরকার এবং আপনারা কেন তা নিয়ে লাফালাফি করলেন? তা তো গুটি কয়েক মানুষের মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকতো। মিডিয়া এটা নিয়ে লাফালাফি করে কি তা সবার মাঝে ছরিয়ে দেয় নি? আপনার যুক্তি অনুযায়ী এটাও অপরাধ তাই না? এসব তেনা পেঁচিয়ে ঐসব ধর্ম বিদ্বেষীদের বাঁচাতে পারবেন না। আপনার কথা শুনে মনে হয় যে ধর্ষণ করসে তার চেয়ে বেশী অপরাধী যে সেটা প্রকাশ করেছে জনসম্মুখে। কি দারুণ লজিক আপনাদের।
আপনি বললেন " কোরান আপনি পড়লে আপনি আপনার মতো করে বুঝবেন। আমি পড়লে আমি আমার মতো করে বুঝিবো।" একটু ব্যখ্যা করুন দেখি উদাহরণ সহ। কোরআনের আয়াত সহ। দেখি আপনি কেমন ইসলাম সম্পর্কে জানেন। কোরআন সম্পর্কে জানেন। নাকি না জেনেই ছাগলের মত লাফাচ্ছেন।
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি আমার কথাই বোঝেননি। তেনা পেচাচ্ছেন আপনি।
একই আয়াত হুজুর ভেদে ভিণ্ন ব্যাখ্যা আপনি পান নাই?
এই লেখাটা পড়ুন।
Click This Link
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: আমিতো বললাম আপনাকে কোন হুজুর কি করেছে না করেছে, কোন মুসলিম কি করেছে না করেছে তা দিয়ে ইসলাম কে বিচার তারাই করে যারা ইসলামের বিপক্ষে কুৎসা রটাতে চায়। ইসলাম মানে কোরআন এবং হাদিস। আর কিছুই নয়। বলতে হলে সেটা নিয়ে বলুন। এমন হাজার হাজার উদাহরণ দিলেও ইসলাম সম্পর্কে আমার ধারনার বিন্দুমাত্র চেঞ্জ হবে না। আপনি প্রমাণ দিন না যে কোরআনের যেসব আয়াত ইসলামি জীবন ব্যবস্থার সাথে জড়িত সেসব আয়াতের ব্যাখ্যা কোন কোন হুজুর দুই ধরণের ব্যাখ্যা করেছেন বা হুজুর ভেদে ভিন্ন। আপনি জানেন না? আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছেন। কথা তো তুলেছেন আপনি। আপনি প্রমাণ দিন। ত্যানা না পেচায়ে সরাসরি উত্তর দিন। আর যদি না পারেন তাহলে বলতে হয় " go far and expire"
২০| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১১
aiman_jancw বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন " go far and expire" .। আপনার আইডির পিছে একজন ভাদা কে দেখতে পাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুধু কি তাই আল্লাহ তায়ালা নিজ দায়িত্বে কোরআন অবিকৃত রেখেছেন।আর সব কিতাবের সংযোজন বিয়োজন হয়েছে।