নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত ছেলেটি

মেহেদী আনোয়ার

জানিনা

মেহেদী আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ পরবর্তি বাংলাদেশ ( ৩য় পর্ব)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

১২ মার্চ ১৯৭২ ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় বাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বিদায়ী শুভেচ্ছাবাণীতে শেখ মুজিব তাদের উদ্দেশে বলছেন: আমাদের মহাসংকটের সময়ে আপনাদের প্রসারিত সাহায্যকে আমরা সর্বদা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবো। ...ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশের জনগণ তাদের আতিথেয়তার হস্ত আপনাদের দিকে প্রসারিত করতে পারেনি। কারণ, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের কারণে তাদের (বাঙালিদের) আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কিন্তু আপনাদের প্রতি তাদের রয়েছে অকৃত্রিম ভালোবাসা । আমার অনুরোধ, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের ভালোবাসা সঙ্গে করে নিয়ে যান।



কিন্তু দুঃখজনক যে, ভারতীয় বাহিনী ফিরে যাওয়ার সময় ‘ভালোবাসার' সঙ্গে লুটপাটকরা বিপুল সম্পদও সাথে করে নিয়ে যায় । কিছু শিখ অফিসার ও তাদের অধীনস্ত সেনারা যশোর, কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে এবং খুলনার শিল্পাঞ্চলে লুটপাট শুরু করে। সেই সময় ভারতীয় বাহিনী সদ্যস্বাধীন দেশে যে সর্বব্যাপী এবং নজিরবিহীন লুটপাট চালায় তা বিদেশিদেরকেও হতবাক করে তোলে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র 'গার্ডিয়ান'-এর রিপোর্টে বলা হয়: মিল-ফ্যাক্টরির মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুটপাট করে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও খাদ্যশস্য এবং পাট, সুতা, যানবাহন; এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজ, কারখানার মেশিনপত্র ও যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুট করে । এই লুণ্ঠিত সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ ছিল সব মিলিয়ে সেই সময়ের হিসাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অন্তত চারটি ডিভিশনের অস্ত্রশস্ত্র, ভারী কামান, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভারতে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিবাদ করলে টোকেন হিসেবে অল্প কিছু পুরনো অস্ত্র ফেরত দেয়া হয়।এই ভারতীয় বাহিনী এতই নির্লজ্জ ছিল যে, এত কিছু নিয়ে যাবার পরেও ব্রিগেডিয়ার র‍্যাঙ্কের অফিসার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফ্রিজ, আসবাবপত্র, ক্রোকারিজ ট্রাকে ভর্তি করে ভারতে পাচার করেন। ব্রিগেডিয়ার মিশ্র নামে একজন ভারতীয় অফিসারের এই লুটের অপরাধে কোর্ট মার্শালও হয় ।
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘পূর্ব-পশ্চিম' উপন্যাসে এই লুটপাট নিয়ে লিখলেন-
‘ঢাকায় এতসব বিদেশি জিনিস পাওয়া যায়! এসব তো আগে দেখেনি ভারতীয়রা। রেফ্রিজারেটর, টিভি, টু-ইন-ওয়ান, কার্পেট, টিনের খাবার- এসব ভর্তি হতে লাগলো ভারতীয় সৈন্যদের ট্রাকে।পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েক হাজার সামরিক-বেসামরিক যান, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ অনেক মূল্যবান জিনিস এমনকি প্রাইভেট কার পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এই লুণ্ঠন এমন বেপরোয়া আর নির্লজ্জ ছিল যে বাথরুমের আয়না এবং ফিটিংসও সেই লুণ্ঠন থেকে রেহাই পায়নি।
সামরিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের অন্তত চারটি ডিভিশনের বিশাল বাহিনীর বিপুল পরিমাণ হালকা থেকে ভারি সমুদয় অস্ত্র ও গোলাগুলি, যাবতীয় সাঁজোয়া যান ও কয়েক হাজার বেসামরিক ও সামরিক যানবাহন, বিপুলসংখ্যক প্রাইভেট কার, ভারি কামান লুট করে নিয়ে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। বাধা দিয়েছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল। তিনি যতগুলো কার পেলেন তা রিক্যুইজিশন করে সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধাদের তত্ত্বাবধানে রেখে কিছু সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করেন।এজন্য ভারতীয়রা তাকে গুম করে এবং মুজিব সরকার মিডিয়া সেন্সরশিপের মাধ্যমে আড়াই মাস সেই গুমের ঘটনা গোপন রাখে। এজন্য মুজিব সরকার মেজর জলিলের কোর্ট মার্শালও করেছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত সেদিনের ছাত্রনেতাদের সার্বভৌমত্বের এই ইস্যুতে বিন্দুমাত্র ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক' এই ছাত্রনেতাদের কোনো রকম প্রতিবাদ জানাতে দেখেনি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশ।১৬ ডিসেম্বরের পরে ঢাকায় ভারতীয় বাহিনীর কিছু কিছু অফিসার নিজেদেরকে বাংলাদেশের ত্রাতা হিসেবে গণ্য করতে শুরু করেন। এক ধরনের অযাচিত অহংবোধ নিয়ে তারা ঢাকায় চলাফেরা করতেন। ঠিক এই ধরনের মানসিকতার জন্যই পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালিদের, বিশেষ করে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন সামরিক অফিসারদের সৌহার্দ্যপূর্ণ বা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। বরং তাদের প্রতি এক ধরনের অবিশ্বাস ও বিতৃষ্ণা ছিল।

ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধে এই বীর সেক্টর কমান্ডার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুললেন । ফলও পেলেন দ্রুত। ২৮ ডিসেম্বর তিনি যশোর থেকে অন্তর্হিত হন । মেজর জলিল পরে জানান, ৩১ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনীর হাতে তিনি গুম হন। যশোর সেনানিবাসের অফিসার্স কোয়ার্টারের একটি নির্জন বাড়িতে তাকে আটক রাখা হয়। বাড়িটি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি নির্যাতন সেল । বাড়িটি অন্ধকার, রুমে মানুষের রক্তের দাগ ও এলোমেলো ছেঁড়া চুল, কিছু নরকঙ্কাল, সঙ্গে শকুন আর শেয়ালের উপস্থিতির মধ্যে একটা খাটে ডিসেম্বরের শীতের রাতে আধাছেঁড়া কম্বল গায়ে দিয়ে দেশের প্রথম রাজবন্দি এক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল শুনতে পেলেন পাশেই ভারতীয় সেনাদের বর্ষবরণের উল্লাস, নর্তকীর ঘুঙুরের শব্দ আর সেইসঙ্গে নারী-পুরুষের হল্লা ।' মেজর জলিলের এই গুম হবার সংবাদ আড়াই মাস পরে সরকার স্বীকার করে। এটাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম মিডিয়া সেন্সরশিপ ।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন দেশের কনিষ্ঠতম মেজর । পাকিস্তান আর্মির সাঁজোয়া বাহিনীর সদস্য এবং অকুতোভয় এক সৈনিক। জলিলের সঙ্গে সেদিন ভারতীয় বাহিনী আরো গুম করে একই সেক্টরের আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত নৌবাহিনীর প্রাক্তন লিডিং সি-ম্যান সুলতানউদ্দিন আহমেদ ও মো. খুরশিদকে। বাকি দু'জন খালাস পেলেও জলিলের কোর্ট মার্শাল হয় । ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই সামরিক আদালতের বিচারক ছিলেন আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের। বিচারে জলিল নির্দোষ প্রমাণিত হন। কিন্তু মেজর জলিল এই অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন । তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের একটা বাসায় উঠেছিলেন, সেখান থেকেও তাকে বের করে দেয়া হয়। ঢাকায় তার কোনো থাকার জায়গা ছিল না। মতিঝিলে একটা অফিস ছিল সুলতানউদ্দিন আহমেদের। সেখানেই তার সাময়িক আশ্রয় হয়। তার অফিসেই কাঠের পাটাতন দিয়ে বানানো চৌকিতে তিনি রাতে ঘুমাতেন । মফস্বলের নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসার কারণে অনেক সেক্টর কমান্ডার তাকে ‘এলিট’ মনে করতেন না এবং তাকে এড়িয়ে চলতেন।

ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল অরোরা ১৬ ডিসেম্বরের পরবর্তী ২-৩ মাস যতবার ঢাকা এসেছেন ততবারই ঢাকা সেনানিবাসের ‘কমান্ড হাউজ'-এ তার থাকার ব্যবস্থা হতো, যেখানে স্বাধীনতার আগে থাকতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান। ওই সময় ঢাকায় চলাফেরার সময় অরোরার গাড়িতে ইস্টার্ন কমান্ডের পতাকা শোভা পেত। তার গাড়ির সামনে-পিছনে ভারতীয় রক্ষীরা রাস্তার স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করে অরোরার যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেন, অনেকটা এখন যেভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে করা হয়। অরোরার ‘চলাফেরার এই ধরন' এতটাই বিস্ময় তৈরি করে যে, সেই সময়কার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুবিমল দত্তকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বলতে হয়, স্বাধীন দেশের প্রতি প্রতিবেশী দেশের একজন আঞ্চলিক সেনা প্রধানের এই আচরণ যথাযথ নয়।
স্বাধীনতার পর পর ঢাকার বিত্তশালী কিছু কিছু পরিবারের সঙ্গে ভারতীয় আর্মি অফিসারদের হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। এসব লোকজনের অধিকাংশ‍ই স্বাধীনতাবিরোধী ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের সঙ্গেও তাদের একই রকম হৃদ্যতা ছিল। এরা বিভিন্ন সময় পার্টি দিয়ে ইন্ডিয়ান আর্মি অফিসার ও রাজনৈতিক নেতাদের আপ্যায়ন করতেন, ঠিক যেভাবে তারা গত সাড়ে নয় মাস পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের আপ্যায়ন করেছেন।ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিম্নপদস্থ সদস্যরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না। তারাও নিজেদের এই দেশের ত্রাতা মনে করতো। তারা মিষ্টির দোকানে এসে ইচ্ছেমতো মিষ্টি খেয়ে দাম না দিয়ে চলে যেত, কখনো কখনো ঔদ্ধত্য দেখানোর জন্য গ্লাস-প্লেট ভেঙে রেখে যেত। প্রথম প্রথম দোকানদাররা সন্তুষ্টচিত্তেই মিষ্টিমুখ করাতো, কিন্তু দিনের পর দিন তারা এটাকে সহজাত অধিকার হিসেবে ধরে নিয়ে সাধারণ দোকান মালিকদের অতিষ্ঠ করে তুললো । তখন মিষ্টি দোকানদাররা প্রধানত ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের । তাদেরকেই ভারতীয় বাহিনীর মিষ্টি খাওয়ার জুলুম পোহাতে হয়।ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসতে শুরু করেন নতুন বাজার ও লুটের জায়গা খুঁজতে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠতে থাকে। জনগণ মুজিব সরকারকে ভারতের বশংবদ হিসেবে ভাবতে আরম্ভ করে। পত্রিকার ডিক্লারেশন নিতে হলে একটা শর্ত মানতে হতো— “বন্ধু দেশের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতের সেনা প্রধান ও পরবর্তী অধ্যায়ে সম্মিলিত মিত্রবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল মানেক শ' পরে বলেছিলেন: বাংলাদেশিদের কখনোই
ভারতের প্রতি তেমন ভালোবাসা ছিল না। আমি জানতাম, ভারতের প্রতি তাদের ভালোবাসা ক্ষণস্থায়ী। অনুপ্রেরণা লাভের জন্য ভারতের দিকে না তাকিয়ে তারা মক্কা ও পাকিস্তানের দিকে দৃষ্টিপাত করবে। আমাদেরকে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। বাংলাদেশিদের প্রতি আমরা সঠিক আচরণ করিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সবরকম সাহায্য করা উচিত ছিল, কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা তা করেননি। তারা বেনিয়ার মতো আচরণ করেছেন।মানেক শ' রাজনীতিবিদদের এককভাবে দোষী করার চেষ্টা চালালেও শুধু রাজনীতিবিদ নন, ভারতীয় সৈনিক ও অফিসাররাও একই ধরনের আচরণ করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে।
জেনারেল মানেক শ' তো এটাও বলেননি যে, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর সমস্ত সামরিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে তার বাহিনী বিজিত পাকবাহিনীর সমুদয় সমরাস্ত্র ও কয়েক হাজার সামরিক যানবাহন, বিপুলসংখ্যক প্রাইভেট কার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে শুরু করে আরো বিপুল সহায়-সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে গিয়েছিল। আর ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান হিসাবে তিনি সে সব বন্ধ করারও কোনো পদক্ষেপ নেননি ।

১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লি সফরকালে বাংলাদেশি প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিদল অস্ত্র ফেরতদানের প্রশ্নটি উত্থাপন করে প্রত্যুত্তরে এক নির্লিপ্ত সাড়া পান। পরবর্তীকালে জাতীয় সংসদে একজন আওয়ামী লীগ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী বলেন যে, 'ভারত ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দখলিকৃত পাকিস্তানি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের এক বিরাট অংশ ফেরত দিয়েছে এবং এই ফেরতদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।' অবশ্য মন্ত্রী 'জাতির স্বার্থে’ ফেরত প্রদত্ত অস্ত্রশস্ত্রের সংখ্যা বা পরিমাণ উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি জানান ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০০

রাসেল বলেছেন: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের মতো পাকিস্তানিদের প্রতি আমার অনেক ঘৃণা আছে। আরো বেশি ঘৃণা আমার দেশের দেশপ্রেমিকদের প্রতি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয়দের কার্যকলাপে অন্ধ।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: রাজনৈতিক কারণে কেউ প্রকৃত ইতিহাস জানতে দিতে চায় না কিন্তু সত্য শুনতে খারাপ শোনালেও তা সত্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.