![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুখ বন্ধঃ অনেক দিন আগে হুমায়ন আহমেদ এর একটি উপন্যাস পড়েছিলাম। নাম '' হোটেল গ্রেভার ইন্" । তারও অনেকদিন পরে জানতে পারলাম ইন্ (inn) মানে হোটেল। তার মানে উপন্যাসের নাম দাড়ায় , "হোটেল গ্রেভার হোটেল"। তাহলে কি হুমায়ন আহমদে ভুল করেছিল? না করেননি। আসলে এই নামে আমেরিকায় একটা হোটেল আছে ।
আমার এই প্রায় ভৌতিক গল্পের নাম " ফ্লোরিয়েট ইন্" । মজার বিষয় হলো ঢাকা শহরে এই নামে একটা নাদুস নুদুস হোটেল আছে । আমি নিজে সেই হোটেলে কাজ করেছি। হোটেলটা কোথায় সেটা আপনাদের জন্য ধাধা।
১৯৯৮ সাল । শীতকাল চলে যাচ্ছে। প্যারিস লা বোরগে এয়ারপোর্ট থেকে একটা প্লেন আকাসে উড়লো। বি -৩ সিটে চোখ বন্ধ করে যে মেয়েটি বসেছিল তার নাম জেসিকা মনামি। চেহারা দেখে বয়স অনুমান করা কঠিন। পচিশ, পয়ত্রিস দুটোয় হতে পারে । অগাধ সম্পত্তি পায়ে ঠেলে তৃতীয় বিশ্বের একটা দরদ্রতম দেশে পাড়ি দিচ্ছে। বন্ধ চোখের ভুরু হঠাৎ কুঞ্চিত হলো , আবার স্বাভাবিক ।
প্লেন যখন বাংলাদেশে ল্যান্ড করলো তখন সবে ভোর হতে শুরু করেছে। ঢাকার ভোর । পাখির ডাকহীন ভোর। amenista international এর বিশেষ প্রতিনিধি জেসিকা। সদ্য ঘুম ভাঙ্গা শহরের রাস্তা দিয়ে তার গাড়ি যে হোটেলের সামনে থামল তার নাম ফ্লোরিয়েট ইন। ইয়োলো পেজ ঘাটতে ঘাটতে নজরে পড়ে এই হোটেল । নাম দেখেই পছন্দ। ফুলের সাজানো বাগান।
ছোট্ট, সুন্দর , ছিমছাম হোটেল । বুকিং দেয়া আছে পেন্ট হাউস। সেটা পাচতলায়। হোটেলে কোন লিফট নাই। তারা কি গেষ্টকে জোর করে ব্যায়াম করাতে চাই। মনে মনে ভাবলো জেসিকা। কিছুটা বিরক্ত। কিন্তু রুমে যেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো। বিশাল ছাদের মাঝখানে পেন্ট হাউস। প্রসস্ত রুম , পেইন্ট করা লবি, আধুনিক কিচেন। বড় জানালা দিয়ে বাতাস এসে লুটোপুটি খাচ্ছে রুমের ভেতর । সাওয়ার নিয়ে একটা লম্বা ঘুম দিতে হবে।
ঝিম ধরা একটা দিন। বিকেলের মরা রোদ লুকোচুরি খেলছে ছাদের আনাচে কানাচে। জেসিকা রকিং চেয়ারে বসে ডুবে যাওয়া সুর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। মাথার উপর দিয়ে এক ঝাক পাখি উড়ে গেল। জেসিকা উপরের দিকে তাকিয়ে বলল, will you kiss me? শেষ কবে রবার্ট তাকে কিস করেছিল মনে পড়ে না। চোখের কোনা থেকে জল গড়িয়ে পড়লো শংখ সাদা হাতের উপর। এমন সময় মোবাইল বেজে উঠলো, কিছুক্ষন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থেকে রিসিভ করলো । মোবাইলে কথা বলে চুপ হয়ে থাকলো অনেক সময়। ঐ প্রান্ত থেকে ফোন কেটে গেছে অনেক্ষন কিন্তু কান থেকে মোবাইল নামাতে ভুলে গেছে জেসিকা।
পরের দিন সকালে ওয়েটার ব্রেকফাস্ট দিতে এসে আবিস্কার করলো, সাদা মেয়েটা মরে নীল হয়ে পড়ে আছে সোফার উপর। ময়না তদন্তের রিপোর্ট মৃত্যুর কারন মাত্রাতিরিক্ত স্লিপং পিল সেবন।
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু হলোনা।
চলবে...
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১০
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: ওহ, আমি প্রথম প্যারা পড়েই ভাবছিলাম যত বড়ই হোক শেষ করবো
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
পয়গম্বর বলেছেন: শুরুটা চমৎকার! চলুক ... সাথেই আছি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: পয়গম্বর ভাই ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দ্বিতীয় পর্ব আর প্রথম পর্ব দুটি কি সমান্তরালে চলছে! বুঝেছি গল্পে ধাধা থাকবে! বাহ!
৫| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চলুক....
৬| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নাম টা সুন্দর !
২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৭
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: হুম । এই নামে একটা হোটেল আছে ঢাকাতে। এক সময় আমি সেখানে কাজ করতাম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
হাবিব শুভ বলেছেন: চালিয়ে যান.।।। ভাল লাগছে।