নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি কে বা কি ?

মাধুকরী মৃণ্ময়

কিংকর্তব্যবিমুড়

মাধুকরী মৃণ্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লোরিয়েট ইন্ (দ্বিতীয় পর্ব)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০




প্রথম পর্ব

২০০৮ । ডিসেম্বরের চলে যাওয়া শীতের সন্ধ্যা। ফ্লোরিয়েট ইন এর সামনে একটা নীল ট্যাক্সি এসে থামলো। ট্যাক্সি থেকে যে ছেলেটা নামলো তার নাম আবির আহমদে। পাচ তালা হোটেলের দিকে পূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে তাকালো। মনে মনে বললো "এখান থেকে শুরু""। আবিরের প্রথম কর্মস্থান। চোখ জুড়ে সমুদ্র সমান স্বপ্ন।
সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত আবির যখন বিছানায় গেল, ঠিক তক্ষুনি মনে পড়লো বাবাকে। বুকটা হঠাৎ শুন্য হয়ে গেল নিমিষে। বাবা থাকলে আজ অনেক খুশি। তার উড়নচন্ডি অকার্মা ছেলে আজ একসাথে দুটি কাজ করছে। পড়ালেখা আর চাকরী। বাবা হওতোবা এইসব ভেবে তার প্রসস্ত বুক আরো প্রসস্ত করে রাস্তায় হাটতো আর মানুষ কে ডেকে ডেকে আমার অকর্মা আবির বিরাট কর্মবীর হয়ে গেছে। এই সব সাত পাচ ভাবতে ভাবতে আবিরের ঘুম পেল।
দ্বিতীয় দিন রাতের দিকে আবিরের সিগারেটের খেতে খুব ইচ্ছে হলো। পুরো একটা দিন সিগারেটা না খেয়ে আছি ভাবা যায়! নিরিবিলি একটা জায়গা খুজতে খুজতে পাচ তলায় গেলো আবির। প্রথমেই চোখে পড়লো পেন্ট হাউস। আগ্রহবসত দরজায় নব ঘুরালো আবির। । ক্যাচ ক্যাচ করে খুলে গেলো। তার মানে এখানে কেউ থাকেনা। মনে মনে খুসি হলো আবির। মাঝে মাঝে এখানে এসে সময় কাটানো যাবে। শীতের কুয়াসা মাখা চাদের আলো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ঘরের ভিতর। হালকা বাতাসে তির তির করে কাপছে জানালার পর্দা।
আবির ঘরের ভিতর পা বাড়ালো। তিব্র ঔষুধের গন্ধে ঝাক বেধে নাকে ঢুকলো। আবির পাত্তা না দিয়ে ভিতরে গেল। আচমকা চারিদিকে সুনসান হয়ে গেলো। পায়ের পাতার উপর দিয়ে কি যেন সরসর করে চলে গেল। ইদুর হওতোবা। ভাবলো আবির। সিগারেট জ্বালাল আবির। দিয়াশলয়ের ছলকে যাওয়া আলোয় দেখা গেলো, টি টেবিলের উপর ফুলদানিতে মরে যাওয়া নুয়ে থাকা ফুল। সাজানো সোফা, চকচক করে ঊঠা মাকড়সার জাল। ঝাক ধরে গন্ধটা আবার নাকে আসলো। খানিকটা অবাক হলো আবির। অনেকদিন বন্ধ থাকা ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ আসবে, ঔষধের গন্ধ কেন!!
সকাল হলো। আবির আবিস্কার করলো পেন্ট হাউসের প্রতি তার তীব্র আকর্ষন সৃষ্টি হয়েছে। রাতে সবার অগোচরে আবির পেন্ট হাউসে গেলো। ফুরিয়ে যোয়া শীতের মৃয়মান চাঁদ উকি দিচ্ছে আকাসের এক কোনে। চাদের ঝাপসা আলো অতি কষ্টে পেন্ট হাঊসের ভিতর ঢুকে পেন্ট হাউসকে পোড়া বাটি বানিয়ে ফেলেছে।
আবির সোফার ঊপর বসে সিগারেট ধরাতে যাবে এই সময় পাশ থেকে কে যেন জোরে নিঃস্বাস নিলো । চমকে উঠলো আবির। প্রচন্ড ঠান্ডা লাগতে শুরু করলো। কাপা কাপা হাতে সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে ম্যাচ পড়ে গেল হাত থেকে। নিকষ অন্ধকারের ভেতর বসে থেকে আবিরের মনে হলো কে যেন হামাগুড়ি দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে। শরিরের সমস্ত শক্তি একত্র করে আবির দরজার দিকে দৌড়ে গেল। দরজা বন্ধ। জোরে জোরে কয়েকবার নব ঘুরালো। খুললো না। চিৎৎকার দিতে গিয়ে বুঝলো একটা হিমশীতল হাত তার মুখ চেপে ধরে রেখেছে।

চলবে....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

থ্রিলার মনে হচ্ছে। সাথেই আছি। এগিয়ে নিন! এই পর্বে প্লাস। অনবদ্য লেখা। আবিরের কি হবে তা জানার জন্য উৎসুক হয়ে আছি!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য। উৎসক্য দূর করা হবে ।

২| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চলুক....

৩| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তারপর ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.