নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাকে বললাম , বিয়া করার দরকার কি । এমনিতেই তো ভালো আছি । মা বললেন, তোর মতো যদি তোর আব্বাও ভাবতো তাহলে আমার এই আজাইরা কথা শোনা লাগতো না। আমি এই প্যাচের কথা কিছুক্ষন পরে বুঝে ফিক করে হেসে দিলাম।
ছোট বোন কুরিয়ার অফিসে গেছে কুমড়োর বড়ি কুরিয়ার করার জন্য। সেখানে মেয়ের মায়ের সাথে পরিচয়। মেয়ের মা ছেলের ছবি আর চাকরীর বিবরণ শুনে" হাওয়ামে উড়তা যায়ে" অবস্থা। ছোট বোনের অবস্থা আরো উন্নত, তার অলরেডি পাখনা গজিয়ে গেছে। এখন শুধু উড়ে ঢাকা এসে চিলের মতো আমাকে ছোঃ মেরে বাড়ি নিয়ে যেয়ে বিয়ে দিয়ে এতোবছরের জমানো নিঃস্বাস ছাড়বে।
তবে আমি বললাম নিঃশ্বাস যখন এতোদিন আটকে রেখেছিস আরেকটু আটকে রাখলে মরবি না। আমাকে মেয়ের নাম্বার দে , আমি কথা বলবো। এই কথা শোনার পর আমার মা আর ছোটবোন বললো, আমাদের স্বাশ প্রশ্বাস নেয়ার এতো সখ নাই, তুই মেয়ের সাথে কথা বলিস না। আমি নাভিমূল থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে সেটা আস্তে আস্তে ছাড়তে ছাড়তে বললাম, মেয়ের সাথে কথা না বলতে দিলে আমি বিয়া করবো না। আমি মেয়ের নাম্বার পাইলাম।
ছোটবেলাই আমরা পলান টুকটুক খেলতাম মানে লুকোচুরি খেলতাম। একজন হতো চোর , তার চোখ ধরে একজন দশ কিংবা বিশ পর্যন্ত গুনতো এরমধ্যে আমরা পালিয়ে যেতাম। এরপর চোরের চোখ খোলা হতো। বাকিদের সে খোজা শুরু করতো । খুজে না পেলে চোর , করজোরে বলতো টুকি দিতে । আমরা টুকি দিতাম । চোর , টুকির শব্দকে অনুসরন করে আমাদের খুজে বের করতো।
মেয়ের সাথে আমার পলান টুক টুক খেলা শুরু হয়ে গেলো। আমি ফোন দিলে তাকে পাই না , আবার উনি ফোন দিলে আমাকে পাই না। এইরকম খেলার অবসান ঘটনার জন্য আমি বাড়িতে ফোন দিয়ে বললাম, মেয়েকে আমি রাত দশটা থেকে এগারোটার ভেতর টুকি দিবো , মেয়ে যেনো ফোনের আসে পাশে থাকে। এই কথা মেয়ের মকে জানিয়ে দেন। আমার বাড়ি থেকে মেয়ের মাকে ফোন করা হলো। মেয়ের মা , মেয়েকে ফোন করে ঘটনা বললো। মেয়ে বললেন, আইচ্ছা।
রোমান হলিডে সিনেমা দেখেছেন ? যারা দেখেছেন তারা জানেন, নায়িকা অতি আলতো, মোলায়েম, মাখনের মতো সুরে "থ্যাংক ইউ" বলে। এতো সুন্দর করে যে থ্যাংক ইউ বলা যাই এই সিনেমার দেখার আগে আমি জানতাম না। মেয়েটা সেই স্বরে "হ্যালো " বললো। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো, গভির রাত, আলো অন্ধকারে মেশানো রোমান রাজপ্রসাদ। রাজকন্যার সেবিকা গুড নাইট বলে রুমের বাতি নিভিয়ে দিচ্ছে। নায়িকা রাজপ্রসাদের প্রটোকলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটা গরীব সাংবাদিকের ভাঙ্গা ঘরে যেয়ে অঘোরে ঘুমাচ্ছে।
আমি নিজেকে সেই সাংবাদিক যুবক ভাবতে ভাবতে বললাম, আমি গরীব মানুষ। আমার নুন আনতে পান্তা ফুরাই না , কিন্তু মাসের শেষে টাকা ফুরিয়ে যায়। আমি অতি সরল জীবন যাপন করি। আমি আপনাকে ঠিক এই মূহুর্তে কোন গর্জিয়াস কালারফুল লাইফ দিতে পারবো না। আপনি যদি এইসব কথা শোনার পরও আগ্রহী হন তাহলে আমাদের দেখা হতে পারে।
মেয়েটার সাথে আমার দেখা হয় নাই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: হুম , আসলেই ভালো মুভি।
এই মুভি দেখে নাকি সত্তুর দশকের মেয়েরা হাপুস নয়নে কেদেছিলো। হুমায়ুন আহমেদের বই তে পড়েছি।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। প্রথম প্যারাতেই ইমপ্রেসড!!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫২
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: রোমান হলি ডে দেখেছি দারুন মুভি।