![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওৎ পেতে থাকা শেয়াল শকুন
ওৎ পেতে থাকা হায়েনা,
ধ্বংসের খেলা খেলে যায় তারা
মানুষের ভালো চায় না
তাদের জন্য প্রয়োজন সতর্ক চোখ রাখা …
স্বাধীন দেশে উড়বেই শুধু স্বাধীন পতাকা …
সবুজের বুকে লাল, সে তো উড়বেই চিরকাল …
সবুজের বুকে লাল, সে তো উড়বেই চিরকাল …
অনেক আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম, মাহফুজ অভিনীত। নাম- লাল সবুজ। ক্রিকেটের যেন সিচুয়েশনটা ওই সিনেমার মতোই। আমাদের ক্রিকেটের জন্যও হায়েনা-শকুনেরা আছে। পিছনে থেকে কেবল কামড়ে দেয়। বার বার কামড়ে দেয়। আঁচড়ে দেয়। আহত বাঘ ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে হেঁটে হুমড়ি খেয়ে পড়তে পড়তে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
এবারের আহত হয়েছিল তাসকিন আহমেদ। দীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস ছেলেটার উপর যে অযথাই যে নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলিয়ে রেখেছিল, মানসিক ভাবে দূর্বল করে দিয়ে ওর যোগ্যতায় প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিল, সেটাকে ওভারকাম করে ফিরে আসা সত্যিই খুব খুব কষ্টকর। তবুও সে শুরু করেছিল কনফিডেন্টলি।
সামনের চুলটাকে সোজা করে সেই পুরোনো স্টাইলে দৌড়।
মিসড ইজি ক্যাচ। তাসকিনের অবিশ্বাস্য দৃষ্টি। কেন তার ক্ষেত্রেই ক্যাচ মিস হতে হবে? নিস্ফল বুকচেরা আস্ফলন। তারপর আবার
সামনের চুলটাকে সোজা করার চেষ্টা করে পরের বলের জন্য নির্ধারিত জায়গায় যাওয়া … কিন্তু ইতিমধ্যেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলা শুরু করার প্রাণপণ চেষ্টাটা বিফলে যাওয়ায়, সেটার ভিত্তিটা নড়ে গেছে।
তারপরের উপাখ্যান ছিল হতাশার। ইয়োর্কার স্পেশালিষ্ট বোলিং করতে শুরু করে গায়ের জোরে। ফলাফল যা হবার, তাইই। ব্যর্থ।
এই লেখাটা লিখতে শুরু করেছিলাম খেলা শুরু হবার পর পরই। আমাদের পেস স্পেশালিস্টদের আফগানরা নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছিল, আর ওরাও যেন হারার আগেই হেরে যাচ্ছিল। ওদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আমি কেবল আশ্চর্যই হচ্ছিলাম তখন। এই কি আমাদের ম্যাশবাহিনী? যারা শেষ বল শেষ হবার আগে হারে না? বিশ্বাস হচ্ছিল না।
আর তারপর … তারপর শেষ তিন ওভারে যেন ইতিহাস হয়ে গেল। সাকিবের শেষ ওভার শেষ হবার পর ভাবছিলাম, এখন কী হবে? এখন কী হবে? কেন যেন মানসপটে তখন ভেসে আসছিল, ম্যাশ তার প্রিয় তাসকিনের হাতে বল তুলে দিতে দিতে বলছে, "তুইই আমার শেষ ভরসা … "
ব্যস! এটুকুই। তাসকিন তার গুরুর ভরসার দাম দিলো। চমৎকার সব ডেলিভারি করল। আমি তখন ভাবছিলাম, এই ডেলিভারি গুলি এতক্ষণ কই ছিলো? আর হঠাৎ করে তাসকিন এত ভালো ইয়োর্কার মারার উদ্দাম কই পেল? আবারো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো, আমার মানসপটে দেখা ওই কল্পনাটুকু সত্যিই কল্পনা নয়। আর তারপর আমি দেখলাম, আমি তারস্বরে চেঁচাচ্ছি। তাসকিনকে দেখে দেখে রুবেলের আত্মবিশ্বাসও যেন ফিরে এলো। ওও এই ম্যাচে ওর সেরা ডেলিভারিগুলি করলো। উইকেটও তুলে নিলো। এত বেশি এক্সাইটমেন্ট শেষ পেয়েছিলাম গত বছর। সাউথ আফ্রিকা বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচে। লাইভ। আজকের শেষ তিন ওভারের উত্তেজনা যেন সেটাকেও ছাড়িয়ে গেল।
শেষ ওভারে আবার ফিরে এলো তাসকিন। তার সাথে আবারো টেনশন। কিন্তু টেনশনকেও এক ফুঁতে উড়িয়ে দিলো তাসকিন। ও ফিরলো। এবং রাজকীয়ভাবেই।
হায়েনারা বড়জোর আহত করতে পারে। কিন্তু বাঘকে কখনো তাতে দমানো যায় না। কিছুতেই না।
খেলা শেষ হতেই আরেকবার চেঁচিয়ে উঠলাম, দৌড়া! বাঘ আইলো!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
মাদিহা মৌ বলেছেন:
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ছিল। দারুণ লিখেছেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: শেষ তিন ওভারে সব জাদুর মত বদলে গেল …
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই টাইপ লেখা কেন লিখেন! কেন?? আবেগে চোখে অশ্রু চলে আসে!
বাস্তবিক জীবনে আমি আবেগমুক্ত হলেও কিছু কিছু জায়গায় আমার ইমোশন উপচে পড়ে!! ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যাপারটা আবেগের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেছে!
আমার বাবাও ক্রিকেটের ভক্ত। এমনকি মাও!! তাদের কাছ থেকেই ক্রিকেটের ওপর ঝোঁক পেয়েছি।
যাইহোক, কথা হচ্ছে হাতুড়ে সিংয়ের গোয়ার্তুমি ঠিক হচ্ছে না। কোন কারণ ছাড়াই নাসিরের মতো একজন ফিট প্লেয়ারকে বাদ দিয়ে অন্যায় করছে লোকটা। ভারতে গত এশিয়া কাপেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। এরপর নাসির দেশে ফিরে নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করলো! তাও লাভ হলো কই???
হয়তো কালকের ম্যাচের ব্যবধান ভিন্ন কিছু হতো যদি এই ডিপেন্ডেবল প্লেয়ারকে রাখা হতো।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
মাদিহা মৌ বলেছেন: ক্রিকেট নিয়ে ইমোশনের কথা নতুন করে কী আর বলবো! ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও খেলা দেখতে ছাড়ি না।
চন্দ্রিকার কিছু কিছু ব্যাপার একদমই বুঝি না। কালকের ম্যাচে নাসির একদম এসেনশিয়াল ছিল। ব্যাটিং তো আছেই, ওর স্পিনও কাল দলের জন্য পাওয়ার হিসেবে কাজ করতো। চন্দ্রিকার মাথায় কী ঘুরছে, আমার আসলে কোন আইডিয়াই নাই।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫
নতুন বিচারক বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভালো লাগল ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
মাদিহা মৌ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এপ্রিল ১, ২০১৪ - তাসকিনের প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিল।
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬ - তাসকিন দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করলো।
প্রথমবার চমকে দিয়েছিল ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েলদেরকে। আর, এইবার বুঝালো - ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের অভাব আপাতত সে সামলে নিতে পারবে। সাথে রুবেল তো আছেই। অনেকদিন পর আবার ফিরে আসলো দলে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
মাদিহা মৌ বলেছেন: গড়গড় কইরা পরিসং্খ্যান বইলা গেলি নাকি? লাভ নাই। পরিসং্খ্যান আমার মাথাতেই থাকে না।
তবে আশা করছি, তাসকিন সত্যিই মুস্তার অভাব পূরণ করে দেবে এই যাত্রা …
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ইমরুল ক্যাচটা ধরলে তাসকিন পাঁচ উইকেট পাইতো।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
মাদিহা মৌ বলেছেন: ক্যাচ মিসের কথা আর বইলেন না! কাল তো মাঠে ক্যাচ মিসের মহড়া চলছিল!
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গতকাল রাতে বিছানায় গিয়ে টানা দুই ঘন্টা সবার স্ট্যাটাসে লাইক দিচ্ছিলাম। এর মধ্যে আপনার এই লেখাটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিলো।
#গর্জন!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
মাদিহা মৌ বলেছেন: লাইকিং এর এই সেইম কাজটা আমিও করেছি। কিন্তু সকালে উঠে।
হামা ভাইয়া, আপনাকে অনেকদিন পর গতকাল পেয়েছিলাম আমার পোস্টে। খেলার টেনশনে বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপক টেনশনে ছিলাম গতকাল! আসলে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল হইলেই মনে হয় এমনটা হয় বেশি। একদিকে মান সম্মানের প্রশ্নতো থাকেই, আর তার উপরে সেটা প্রভাব পড়ে প্লেয়ারদের মনবলের উপর।
যদিও কিছুটা নিশ্চিত ছিলাম গতকাল আমরা জিতবো। তবে এতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই যে খেলাটা শেষ হবে এটা ভাবি নাই। একদম রুদ্ধশ্বাস মূহুর্ত্বে শেষ বল অবধি অপেক্ষা করতে হইছিল!
তবে বাংলাদেশের পাশাপশি আমি অবশ্যই আফগান ক্রিকেট টিমকে ধন্যবাদ জানাই, এমন সুন্দর একটা খেলা উপহার দেওয়ার জন্য! আসলে এক তরফা ম্যাচ হলে সেটা কখনোই উপভোগ্য হয় না। তবে গতকালকের ম্যাচ দুইদিকই বিবেচনা করলে বেশ একটা খেলার মত খেলা ছিল!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: এক্সেক্টলি। ওরা পিওর ক্রিকেট খেলেছে। খুব ব্রিলিয়ান্ট ক্রিকেট খেলেছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর ঠিকই বলেছেন। টান টান ম্যাচ না হলে খেলা দেখেও মজা নাই। আফগানদের ওই পঁচিশ ওভারের জুটিটা ছিল ম্যাচের ক্লাইম্যাক্স। সত্যি বলতে কি, বিগ ম্যাচ মেবি এটাকেই বলে।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: মানুষ ক্ষমতা পেলে আকাশে উড়তে থাকে । তার নিজের অজান্তেই তার পা মাটি থেকে শুন্যে উঠে যায় ।
আমার মনে হয় হাতুড়ে সিংয়ের ক্ষেত্রেও সে রকমটা ঘটছে । এখনি রাশ টানা দরকার ।
শেষ ৩ ওভার - অবিস্মরণীয় ।
পোস্টে প্লাস ।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩
মাদিহা মৌ বলেছেন: আসলেই। হাতুড়ের কিছু কিছু কাজ এক্সেস হচ্ছে
আমার দেখা সবচেয়ে এক্সাইটেড ম্যাচগুলির মধ্যে অন্যতম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
আমি সেই অভিলাষ মাহমুদ বলেছেন: মামৌ... খেলা তেমন দেখি না । তবে বাঙ্গালীর খেলা হৈলে দেখি ।.। আপনার লেখাটা ভালো লাগলো ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১২
মাদিহা মৌ বলেছেন: আমিও একই দলে …
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
খেলাকে খেলার মত থাকতে দেন; বিপ্লবী দেশ প্রেমিক হবার চান্স আসবে, তখন এসব কবিতা মবিতা লিখে পালিয়ে যেতে পারবেন।