![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে আর কি বলবো! আমি তো আমিই!
কী আশ্চর্য! এখনো বেঁচে আছি! হ্যাঁ, বেঁচেই তো আছি! এইতো হালকা নীল রঙের ডিম লাইট জ্বলছে, পায়ের গোড়ালিতে টনটন ব্যাথাটাও টের পাচ্ছি। স্বপ্নে ব্যাথা টের পাবার কথা না। তার মানে স্বপ্ন নয়, সত্যি সত্যিই বেঁচে আছি!
স্পষ্ট মনে আছে শোয়ার আগে একটা এ্যান্টাসিড ম্যাক্স, দুইটা পেইন কিলার আর দুইটা স্লিপিং পিল খেয়েছিলাম।
তারমানে মৃত্যুটা স্বপ্ন ছিল, দুঃস্বপ্ন। স্বপ্ন ভাঙতেই হঠাৎ বেঁচে থাকাটা আশ্চর্য মনে হচ্ছে। হাওয়ার ওপর ভর করে একটা মেশিন চলছে। হাওয়া বন্ধ হয়ে গেলেই মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে। মেশিনের কেন্দ্র আছে আত্মা। এই আত্মাটাকে চালু রাখার জন্যে পুরো মানব শরীরে কতো রকম কলকব্জা কাজ করে যাচ্ছে! অথচ এই আত্মাটাই অদৃশ্য! ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, দৃষ্টিরও বাইরে! কোন মানে হয় বলুন!
ঘুমের মাঝে স্বপ্নে দেখলাম মরে গেছি। শরীরটা খাটিয়ায় শোয়ানো আছে, আর আত্মাটা চক্রাকারে ঘুরছে। ঘুরতে ঘুরতে একটা কালো গহ্বরের মাঝে তলিয়ে যাচ্ছে। পুরো মৃত্যু প্রক্রিয়াটা ঘটছে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অনুসারে।
রসায়নে বরাবরই দূর্বল ছিলাম। কলেজে বার দুয়েক ফেইলও করেছিলাম। কিন্তু স্বপ্নে স্পষ্ট মনে পড়লো রাদারফোর্ডেরর পরমাণু মডেল।
আত্মাটা একটা কালো গহ্বরের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আত্মা যেতে চাইছে না কিছুতেই। দেহের মাঝে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু কিসের আকর্ষণে যেন কালো অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে!
প্রক্রিয়াটা এরকম, নেগেটিভ চার্জযুক্ত আত্মা ইলেকট্রণ। পজিটিভ চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াসের চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে নিউক্লিয়াসের কেন্দ্র পতিত হচ্ছে। দেহ এখানে নিউট্রন বা চার্জবিহীন হওয়ায় আত্মা পজিটিভ চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াসের আকর্ষণেই কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছে। আর দেহ নিস্তেজ পরে আছে।
শুয়ে শুয়ে ভাবছি, আচ্ছা কেন্দ্রে বসে থাকা এই নিউক্লিয়াসটা কে? উনিই কি সৃষ্টিকর্তা? মহাবিশ্বের সকল আত্মা কি ইলেকট্রনের মতো তাঁকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে? কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে তাঁর মাঝেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে?
আচ্ছা, মহাবিশ্বের সকল আত্মা যখন সর্পিলাকার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিউক্লিয়াসের মাঝে নিঃশেষ হয়ে যাবে সেদিন কি মহাপ্রলয় ঘটবে?
(দয়া করে এর মাঝে কেউ নাস্তিকতা বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা টানবেন না। এটি উর্বর মস্তিসকের কল্পনা মাত্র।)
©somewhere in net ltd.