![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কর্মে বিশ্বাসী,আবার আমি ভোগী ও। আমার ভেতর ভালো কাজ করার প্রবণতা জন্মগত,প্রবণতাটা কিছু পাবার অাশায় মুখাপেক্ষী নয়। আমার ভেতর ধ্বংসের বীজও লুকিয়ে অাছে,ধ্বংস অামি করিও,তবে বিবেকের নির্দেশে ন্যায়ের স্বার্থে ধ্বংস করি। মানুষ হয়ে জন্মেছি সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে জানি,সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ত্রুটিহীন,অাদর্শ মানুষ আমি কোনদিন ও হতে পারব না,কারও পক্ষেই হওয়া সম্ভব নয় আর সেজন্য অামার ক্ষোভ আর যন্ত্রণার শেষ নেই...
মানুষটি ঝাড়া ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা,চিতা বাঘের মত ক্ষিপ্রগতি তার।চোখে শিকারীর নেশা।অদম্য সাহস,তেজ আর অত্যধিক প্রাণশক্তি আর প্রচন্ড মনোবলের অধিকারী সে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুংকার তার।তার হুংকারে ভয়ে তটস্থ শত্রু শিবির। ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা তিনি।বাংলাদেশের পেস বলের কান্ডারি।তার শীতল চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ভয় পায় বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যান রা। তাকে মোকাবিলা করার আগে কয়েকবার ভাবতে হয় সবাইকে।ব্যাটসম্যান দের জন্য আতঙ্কিত এক নাম তিনি। উপমহাদেশের মাটিতে অসাধারণ বোলিং পার্ফরমেন্স তার।২০১৫ বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত সবচেয়ে কম ইকনোমি বোলার (২.২ মাত্র ২০/০২/১৫ পর্যন্ত)। তিনি বর্তমান বাংলাদেশ দলের দলনেতা। নিশ্চই বুঝতে পারছেন আমি এতক্ষণ কার কথা বলছি।হ্যা আমি নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত বাংলার ক্রিকেট আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফি বিন মর্তুজার কথাই বলছি।
কেউ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নাম জানে কিন্তু মাশরাফির নাম জানে না এটা কল্পনা করা যায় না। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে তিনি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।২০০১ সালে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই তৎকালীন জাতীয় দলের কোচের নজর কাড়েন এবং জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ান।সেই থেকে আর কখনো ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি তার এই ৩১ বছরের জীবনের দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্রিকেট জীবনে বাংলাদেশ দল কে অনেক কিছু দিয়েছেন। একের পর এক ইনজুরি হয়তো তার ক্যারিয়ার কে দীর্ঘায়িত ও সাফল্যমণ্ডিত করার পথে বাধা দিয়েছে কিন্তু তার প্রতিভার পথে মাথা তুলে দাড়াতেই পারে নি। প্রতিবার ইনজুরি কে কাঁচকলা দেখিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন উজ্জিবীত হয়ে,নতুন রুপে,আরো ভয়ংকর এবং বিধ্বংসী হয়ে। একই পায়ে যখন অষ্টমবারের মত অস্ত্রোপচার করার জন্য তাকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হয় তখন তার চিকিৎসাতা ডাক্তার নিজেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সকল প্রতিবন্ধকতা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারবার ফিরে এসেছেন দেশের টানে,গায়ে জড়িয়েছেন লাল সবুজের জার্সি,দলকে দেখিয়েছেন জয়ের পথ।
আপনার কি মনে পড়ে সেই দৃশ্য? ঐ যে একটি তাগড়া যুবক যার টি শার্টের কলার দাড়া করানো,যেটা একসময়ের ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছিল;বল হাতে উইকেট গুড়িয়ে দেয়ার পর তীব্র হুংকার কিংবা পরপর চার বলে চারটি ছয়ের মার? হ্যা,এ সেই মাশরাফি।বাংলাদেশ দল কে বাংলার বাঘ আখ্যা দেয়ার অন্যতম কারণ তিনি। ব্যাটে বলে যখন যেভাবে পারেন দলকে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ম্যাচ জয়ী,তিনি বাংলাদেশের হয়ে বহু ইতিহাসের সাক্ষী,তিনি বাংলাদেশ কে এনে দিয়েছেন বহু গৌরবের মুহূর্ত । সমগ্র ক্রিকেটপ্রেমি তথা গোটা জাতি আমরা তার অবদানের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের এতকিছু দিয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে কিছু কি চেয়েছেন? হ্যা,চেয়েছেন।চেয়েছেন আমাদের উষ্ণ ভালোবাসা,আমাদের সাপোর্ট। চলতি বিশ্বকাপে ও তিনি বাংলাদেশ দল কে সামনে থেকে পরিচালনা করছেন। আমরা তার সাফল্যের দিকে তাকিয়ে।
আচ্ছা বলুন তো কোন বাবা কি তার সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনে ঠিক থাকতে পারেন? পারেন না। আর যদি সে সন্তান হয় মাত্র কয়েক মাসের তাহলে তো বাবার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা। হ্যা মাশরাফি ভাইয়ের ছোট ছেলে যে কি না বাবার জন্মদিনে জন্ম নিয়ে জানান দিয়েছে,"আমি এসেছি,আমাকে বরণ করো" সেই 'সাহেল মর্তুজা' আজ অসুস্থ। ছেলের এই অসুস্থতার খবর হয়তো কিছু টা মুষড়ে দিয়েছে মাশরাফিকে কিন্তু তার কর্তব্যবোধ থেকে সড়িয়ে আনতে পারে নি। তিনি দেশের টানে রয়ে গেছেন দলের সাথে।কারণ তিনি নির্ভয়ে তার ছেলের ভার দিয়ে গেছেন এই ষোল কোটি জনতার উপর। আচ্ছা একবার ভাবুন তো একটি বাচ্চার ষোল কোটি অভিভাবক, তাহলে কি তার কোন সমস্যা হওয়ার কথা? প্রশ্নই উঠে না।কারণ সমস্যা নামের শব্দটি তখন আর ডিকশনারি তে থাকবে না। আসুন আমরা যে যার যার অবস্থান থেকে এই ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া চাই,মোনাজাত করি।তিনি যেন শীঘ্রই সাহেল কে সুস্থ করে তুলেন। আমীন।।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৫
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সাহেল মর্তুজা'র দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমীন! সাহেল মর্তুজা'র জন্য অনেক অনেক আদর ও ভালোবাসা রইলো। খবরটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩০
এহসান সাবির বলেছেন: pray..
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: মোনাজাত করি। তিনি(আল্লাহ) যেন শীঘ্রই সাহেল কে সুস্থ করে তুলেন। আমীন।।