![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কর্মে বিশ্বাসী,আবার আমি ভোগী ও। আমার ভেতর ভালো কাজ করার প্রবণতা জন্মগত,প্রবণতাটা কিছু পাবার অাশায় মুখাপেক্ষী নয়। আমার ভেতর ধ্বংসের বীজও লুকিয়ে অাছে,ধ্বংস অামি করিও,তবে বিবেকের নির্দেশে ন্যায়ের স্বার্থে ধ্বংস করি। মানুষ হয়ে জন্মেছি সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে জানি,সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ত্রুটিহীন,অাদর্শ মানুষ আমি কোনদিন ও হতে পারব না,কারও পক্ষেই হওয়া সম্ভব নয় আর সেজন্য অামার ক্ষোভ আর যন্ত্রণার শেষ নেই...
# কিছুটা_এডাল্ট_পোস্ট
(প্লিজ কেউ এড়িয়ে যাবেন না। সময় নিয়ে পুরো পোস্ট টা পড়ুন।)
শিহাব আর ফরহাদ বসে আছে রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানটায়! একটু পরেই ফারিহা সে রাস্তা ধরে প্রাইভেট থেকে ফিরতে লাগলো। পড়নে অনেকটা চাপা ড্রেস,আটোসাটো টি শার্টের সাথে ন্যারো থাই জিন্স। ফারিহার দৃষ্টিতে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুখে ইশশশ্ শব্দ করে শিহাব ফরহাদ কে বললো..
-কি মাল মাইরি! শালী কিন্তু সেরকম দোস্ত!
-হু। সাইজ কত হবে রে?
- ৩৪ এর কম না দোস্ত। দেখলেই শরীর গরম হয়ে যায়!
-হুম। একবার পাইলে রে দোস্ত! এরকম ফিগার বানাইলো কিভাবে!
-কে জানে! ওর ঠোট দুইটা দেখছস? সেই পিনিক!
আহা!! ফ্রেন্ড সার্কেলের মাঝে কি কনভার্সেশন! আসেন একটু লজিক খাটাই,চিন্তা করি!
ছেলেগুলা এই যে কথাগুলো বললো হয়তো কথাগুলো ফারিহার কানে যায় নি কিন্তু কথাগুলো কতটা যুক্তিসংগত? তাদের এই কথাগুলো বলা কি আসলেই ঠিক হয়েছে?
অনেকেই বলবেন এইটা কি বাস্তব গল্প কি না? উত্তর হচ্ছে "না"। আমি এটা জাস্ট নিজে লিখলাম। বাট বিলিভ মি এরকম অহরহ হচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে,কলেজের সামনে,কোচিং সেন্টারগুলোর সামনে,শপিংমল কিংবা সিনেমা হলের সামনে,বাস স্ট্যান্ড গুলোতে এসব নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।
কারা করছে এসব? আপনি,আমি,আমাদের ফ্রেন্ডরা,ছোট ভাই রা। এটা কি অাধুনিকতার বহিঃপ্রকাশ?
হ্যা এখন অনেকেই বলবেন যে ভাই শুধু ছেলেদের দোষটাই উল্লেখ করলেন, খারাপ কমেন্ট গুলো তুলে ধরলেন? কিন্তু মেয়েটা যে ছোট পোশাক পড়ে ছেলেগুলো কে প্ররোচিত করলো তার কোন দোষ নাই? সেটার কথা যে বললেন না?!
লল! খুব মজার একটা কথা বললেন ভাই। দারুণ যুক্তি দিলেন! মেয়ে টা কি পোশাক পড়েছে সেটা তো আমাদের দেখার দরকার নাই। মেয়েটা চাপা জিন্স পড়েছে নাকি টাইটফিট টপস পড়েছে সেদিকে নজর না দিলেই তো হয়! আর চোখের সামনে হঠাৎ এরকম চলে আসতেই পারে। কিন্তু চোখের সামনে আসলেই এরকম কমেন্ট করতে হবে? আজিব গল্প তো!! মেয়েটার উপরে দোষ না চাপিয়ে নিজেরা শুধরাই আগে। মেয়েটা তার এসব উগ্র অাধুনিকতার জন্য জাহান্নামের আগুনে পুড়বে। আপ্নার কি সমস্যা? আপনি যদি পারেন তাকে ভালো রাস্তা দেখান বাট এসব বাজে কমেন্ট কিংবা এর পিছনে লজিক দেখানোর কি মানে?
আমার একটা ফ্রেন্ড সার্কেল আছে। আমরা কম্বাইন্ড কলেজে পড়ি,কম্বাইন্ড কোচিং করি,অনেক মেয়েদের সাথে একসাথে ওঠা বসা করি,চলাফেরা করি। অনেক বড় লোকের মেয়েদের অনেক চাপা ড্রেস পড়ে হট লুকে দেখি! কই আমি তো আমার ফ্রেন্ডদের এরকম কমেন্ট করতে দেখলাম না কখনো।
আবার আমার অারো কিছু ফ্রেন্ড আছে যারা শুধু ক্লাসমেট না বড় আপু আন্টি যেই হোক না কেন সবাইকে নিয়েই এরকম কমেন্ট করে।
আমি আমার দুই ধরনের ফ্রেন্ড সার্কেলের কথা উল্লেখ করলাম এই কারণে যে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে এরকম মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষগুলো কিন্তু আমাদের মাঝেই আছে,আমাদের ক্লোজ,আমাদের পাশের কেউ,আমাদেরই পরিচিত কেউ। তাদের ভালো রাস্তা টা দেখানো আপনার,আমার কর্তব্য।
অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন যে ভাই আপনি এত পন্ডিতি কথা বলেন বাট আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন কি যে আপনি কখনো এরকম করেন নাই। আমি বলবো, "না। অবশ্যই আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো না যে আমি কখনো এরকম করিনি। অবশ্যই করেছি একসময়। কিন্তু এখন তো পরিবর্তিত হচ্ছি,চেঞ্জ হওয়ার চেষ্টা তো করছি।
মেয়েদের ছোট পোশাকের উপর দোষ না চাপিয়ে নিজেরা নিজেদের নাফস্ কন্ট্রোল করি আগে।"বাঘের সামনে হরিণ আসলে বাঘ তো ঝাপিয়ে পড়বেই" এরকম নিজেকে সেইভ করার উদ্ভট লজিক বাদ দেই। ইসলামিক ফতোয়া গুলো মেয়েদের না দিয়ে নিজেরা নিজেদের বিবেক কে দেই আগে।
সবশেষে একটা ছোট্ট গল্প বলি, একবার এক রাজা তার রাজ্যের সব প্রজাদের হুকুম দিল যে রাজপ্রাসাদের সম্মুখে সদ্য খনন করা পুকুরটা দুধ দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। সবাই যেন রাতে এক গ্লাস করে দুধ এনে পুকুরটায় ঢেলে দিয়ে যায়। রাজার এই আদেশ শুনে এক প্রজা মনে মনে ভাবলো যে ধূর! দুধ দেয়ার কি আছে? সবাই তো দুধ দিবেই। আমি একজন দুধের বদলে যদি পানি ঢেলে দিয়ে আসি তাহলে বোঝা যাওয়ার তো কথা না। পরিকল্পনামত সেই প্রজা রাতের অন্ধকারে সবার সাথে গিয়ে দুধের বদলে পানি ঢেলে দিয়ে আসলো"। পরদিন সকালে কি দেখা গেল জানেন? ঐ পুকুর দুধের বদলে পানি দিয়ে ভরে গেছে। অর্থাৎ ঐ ফাঁকিবাজ প্রজার মত সবাই একই ভাবনা ভেবেছিল। অন্যের আশায় থেকে নিজের কর্তব্য ভুলে গিয়েছিল!
গল্পটা বলার কারন হলো আজকে আমাদের অবস্থা টা ঠিক এরকম হয়ে গেছে। আমরা ভাবি ধূর বাল ও এই কাজটা করতেছে আমি করলে দোষ কি? সবাই যেখানে চেঞ্জ হচ্ছে না সেখানে আমি চেঞ্জ হয়ে কি লাভ! ঐ মেয়েটা ছোট ড্রেস পড়ছে দেখেই তো আমি কমেন্ট করেছি নাহলে কি করতাম?
বাদ দেন এসব ভাই। নিজের দোষ আরেকজনের উপর চাপানোর মানে নাই। প্রবাদ আছে জানেন তো? "নিজ ভালো তো জগৎ ভালো।"
আসেন ভাই ভিশন চেঞ্জ করি। সবাই বদলালে আমি বদলাবো এরকম না ভেবে প্রথম আলোর স্লোগান টা ভাবি, "বদলে যাই এবং বদলে দেই"।
নিজেরা চেঞ্জ হই, আমাদের কাছের মানুষগুলোকে চেঞ্জ করি। সফল না হই বাট চেষ্টা তো করতে পারি।
আপু সমাজ কে বলছি "চিনির বয়াম খোলা থাকলে পিপড়ে আসবেই" ছেলেরা যেন এরকম লজিক দিতে না পারে তার দিকে একটু লক্ষ রাখেন! টিএসসি স্ক্যান্ডাল যে কাল জিয়া উদ্যান,ধানমন্ডি লেক কিংবা দিয়া বাড়িতে হবে না তার কি গ্যারান্টি?!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল। প্লাস।
আর বোরকা মেয়েদের দেখেও যে কেউ এগুলো করে না, এই কথা কই পাইলেন? এখন বোরকা পড়া মেয়েরাও অনেক ক্ষেত্রে টিজিংয়ের শিকার হয়। আর এখানে পোস্টটা আগে ভাল করে পড়েন। ইসলাম তার আইন শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য আনেনি, ছেলেদের জন্যও এনেছে। এখানে ছেলেদের মানুষিকতাটাও পরিবর্তন করার কথা বলা হচ্ছে। আপনি যদি নিজেই খারাপ হয়ে থাকেন, তাহলে অন্যের দোষ ধরা বা সেই দোষ নিয়ে মন্তব্য করা আর যারই সাজুক, আপনার সাজে না!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
মাহাদী রনি বলেছেন: আপনাকে লেখাটি আবার মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। @বাহার
আমি ভুলেও উল্লেখ করিনি যে সমাজ সামাজিকতা বলে কিছু নেই। মেয়েদের যে দোষ নেই কিংবা তাদের অশ্লীল পোশাক কে আমি সমর্থন করছি সেরকম কিন্তু নয়। আমি জাস্ট বলতে চাচ্ছি আগে আসুন আমরা নিজেদের মানসিকতা চেঞ্জ করি। একটা মেয়েকে দোষ দেয়ার আগে নিজেরা নিজেকে পাল্টাই। নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি আগে চেঞ্জ করি তাহলে অবশ্যই অন্যান্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারবো। গড়ে তুলতে পারবো স্বপ্ন সুখের সোনার বাংলা। :-) ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ভাল একটা পোস্ট
আপনার ভাবনাগুলো জেনে খুব ভাল লাগলো আশা জাগল একদিন হয়তো সবার মানসিকতা পরিবর্তন হবে
৫ম ++++++
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
jahirul019 বলেছেন: ভাইয়ের মনের ভিতর কি যে চলছে কে জানে, ভাই জান মনে হয় মেয়েদের সর্ট জামায় দেখতে অনেক লাইক করে কিন্তু তা গুনাগুন বিচার করতে লাইক করে না। দেখুন আপনার লেখা পড়ে তার গুনাগুন বিচার করে প্রকার করার জন্য একটি সুবিধা রাখা হয়েছে, কারন পৃথিবীটা মত প্রকাশের স্থান। সেটা ভাল হউক বা মন্দ হউক। যদি বিবেচনা করার স্থান না-ই থাকত তাহলে কেউ ভাল অথবা খারাপ কাজ, দুটার একটাই করত না। মানুষ শুধু অন্যকে দেখার ও অন্যের বাহ বাহ পাওয়ার জন্য বেশীর ভাগ কাজগুলো করে থাকে।
ভাবুন আপনার ছোট বোন বা মেয়ে বা মা আপনার সামনে এমন একটা সর্ট বা হট ড্রেস পরে ঘোরা-পেরা করছে, আর অন্য ছেলেরা খারাপ মন্তব্য করছে, তখন আপনার কাছে কেমন লাগবে? এই মেয়েরা-ই আমাদের কারো স্ত্রী, কারো বোন, কারো খালা, কারো ফুফু, কারো মেয়ে অথবা কারো মা। আপনি যদি ভাবেন আপনার স্ত্রী, বোন, মেয়ে, ফুফু, খালা বা মা কে এইভাবে রাস্তায় চলতে দিবেন না, দেখবেন একদিন রাজার ঐ রাজ্যের মত আমাদের দেশের মেয়েদের সর্ট ও হট জামাকাপড় উদাও হয়ে গেছে।
আপনি আরো জানেন কি? একটি মেয়ে তিনজন পুরুষকে জাহান্নামে নিবে তারা হলেন, তার বাব, তার ভাই এবং তার স্বামী।
নিজেকে সংযম করার সাথে সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করুন ও ইসলামকে মান্য করুন এবং নবী রাসুদের অনুসরণ করুন নিশ্চই আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করার জন্য একাই যথেষ্ঠ।
ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
মাহাদী রনি বলেছেন: আপনাকে সম্পূর্ন লেখাটি আবারো মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি। @জহির। আমি কিন্তু কোথাও ইসলামের আইনের বিপক্ষে কিছু বলিনি কিংবা মেয়েদের শর্ট ড্রেস পড়াটা কে ও সাপোর্ট দেইনি। লক্ষ্য করলে দেখবেন আমি কিন্তু বলেছি যে আমরা চেষ্টা করবো যারা এরকম ড্রেস পড়ে তাদের ভালো পথে আনতে। কিন্তু আমার মূল পয়েন্ট টা হচ্ছে অন্যের মেয়েকে ভালো হওয়ার উপদেশ দেয়ার আগে নিজেরা আসুন ভালো হই। অপরের মেয়েকে ভালো পথে আনার চেয়ে নিজেকে আগে ভালো পথে আনাটা আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে। আগে আসুন নিজেদের এবং নিজেদের কাছের মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই তারপর অন্যকে পাল্টানোর জন্য আহ্বান করি। ধন্যবাদ। :-)
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বোরকা পরা কোন মেয়েকে দেখে কেউ এরকম মন্তব্য করবে না। গ্যারান্টি।
স্বাধীনতার মানে এই নয় আপনি ন্যাংটো হয়ে হাটবেন।
সমাজ, সামাজিকতা বলে একটা কথা আছে।
তাহলে আদিম মানুষদের কে আমরা অসভ্য বলতাম না।
------------------------------
=== লজিক পাল্টান................