নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

BE CHANGED AND CHANGE

মাহাদী রনি

আমি কর্মে বিশ্বাসী,আবার আমি ভোগী ও। আমার ভেতর ভালো কাজ করার প্রবণতা জন্মগত,প্রবণতাটা কিছু পাবার অাশায় মুখাপেক্ষী নয়। আমার ভেতর ধ্বংসের বীজও লুকিয়ে অাছে,ধ্বংস অামি করিও,তবে বিবেকের নির্দেশে ন্যায়ের স্বার্থে ধ্বংস করি। মানুষ হয়ে জন্মেছি সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে জানি,সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ত্রুটিহীন,অাদর্শ মানুষ আমি কোনদিন ও হতে পারব না,কারও পক্ষেই হওয়া সম্ভব নয় আর সেজন্য অামার ক্ষোভ আর যন্ত্রণার শেষ নেই...

মাহাদী রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিন বদলের চেষ্টা- ০৩

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

আসেন ছোট্ট একটা গল্প বলি।
আমার পরিচিত এক মেয়ে নাম ইলা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা মা উভয়েই খুব ধার্মিক,খুব অমায়িক ব্যবহার। ইলা দেখতেও সিরাম সুন্দরী! সুন্দরী মেয়েদের সাথেই কিভাবে কিভাবে যেন আমার পরিচয় হয়ে যায়! যাই হোক মাস পাঁচেক আগে ও আমাকে একদিন বলতেছে 'দোস্ত আই এ্যাম ইন লাভ।' সুন্দরী বান্ধবীরা প্রেমে পড়লে মনটা স্বভাবত খারাপ হওয়ার কথা থাকলে ও আমার খারাপ হয় না। কারন যদি হতো তাহলে আমার যে পরিমাণ সুন্দরি ফ্রেন্ড আছে আর ওরা যে হারে রিলেশনে জড়াচ্ছে তাতে করে আমার জীবনে তাহলে কোনদিন সুখ নামক শব্দ টাই আসতো না।
যাই হোক মূল গল্পে আসি। ও যেহেতু খুব সুন্দরী ছিল সেহেতু বুঝতেই পারছেন বয়ফ্রেন্ড কিরকম হবে। হ্যা বড়লোকের এক ছেলে,সিরাম স্মার্ট,কুল গেটাপ,আর-ওয়ান ফাইভ হোন্ডা ইউজার,দু পকেটে দুইটা ফোন (আইফোন,এইচ টি সি) নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এক ছেলের সাথে ওর সম্পর্ক হয়েছিল। এটা কিন্তু পাচ মাসের আগের ঘটনা।
রিসেন্ট ঘটনা শোনেন। দুদিন আগের কাহিনী! ইলা শুনলাম হাসপাতালে। কি হয়েছে? আত্নহত্যা করতে চেয়েছিল! কোনরকম বাচানো গেছে! আত্নহত্যার কারণ কি? আত্নহত্যার কারণ ইলা প্রেগন্যান্ট! বিয়ে ছাড়া একটা যুবতী মেয়ে প্রেগন্যান্ট এবং এর পিছনে যে পুরুষ দায়ী সে নিখোজ! এর চেয়ে বড় লজ্জা,এর চেয়ে প্রকট সমস্যা একটা মেয়ের জীবনে আর কিছু হতে পারে না! তাই সমস্যা সমাধানের জন্য ইলার কি অভিনব উপায়! মৃত্যু! আজিব!
ঘটনা টা ওখানেই শেষ! ঐ বড়লোকের ছেলের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে মধ্যবিত্ত একটা পরিবারের সকল সুখ,স্বপ্ন,আশা,আকাঙ্খা!
জোকস এপার্ট, ইলার কিছু বান্ধবীদের ই আবার বলতে শুনলাম যে এখানে নাকি ছেলেটার একা দোষ না! মজা নেয়ার সময় নাকি দুজনেই মজা নিয়েছে! এখন শুধুশুধু ছেলেটির দোষ দিয়ে লাভ কি!
ধিক্কার জানাই আমি এসকল ফ্রেন্ডদের! নিজের ফ্রেন্ডের শোচনীয় অবস্থা দেখেও আজ তারা এর পেছনে লজিক দাড় করায়? নিজেদের মহৎ প্রমানের চেষ্টা করে? হায় রে! বুঝতে পারলাম যে এসব ফ্রেন্ডদের জন্যেই 'দুধের মাছি' বাগধারাটির আবির্ভাব। এয়ারটেল এর "বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল" কথাাটা যতটুকু সত্য ঠিক ততটাই সত্য আমি বলছি, এরকম ফ্রেন্ড না থাকলে কিচ্ছু আসে যায় না। এরা কোন উপকারে তো আসেই না বরং বিপদে মজা নেয়!
মেয়েটার কি দোষ? মেয়েটা মন প্রান দিয়ে ছেলেটিকে ভালোবেসেছিল এটাই তার দোষ? ভালোবাসা কি তাহলে অন্যায়? ছেলেটির ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলে পড়ে মেয়েটি তার সবকিছু বিশ্বাস করে ছেলেটির হাতে তুলে দিল এটাই কি তার দোষ? বিশ্বাস করা কি অপরাধ তাহলে?!
আজিব কিচ্ছা তো রে ভাই! এই ঘটনা যখন আমাদের নিজেদের বোনের সাথে ঘটে তখন তো কুত্তার মত পাগল হয়ে যাই। ঐ ছেলেটিকে খুজে বের করে নিজ হাতে গলা চিপে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে হয়। আর অন্য মেয়েদের বেলায়, অন্যের বোনের বেলায় যুক্তি খুজি আমরা? লজিক দাড় করাই যে চিনির বয়াম খোলা দেখলে পিপড়া আসবেই?!
ছি: জঘন্য তারা যারা ঘরে বসে বসে এসব খোড়া যুক্তি দাড় করায়। এরাও সমান অপরাধী! যারা অন্যের মা-বোন কে সম্মান দিতে পারে না তারা নিজের মা-বোন কে ও সম্মান দিতে পারে না! যারা সরাসরি নারীদের লাঞ্ছিত করে তাদের সাথে সাথে যারা ঘরে বসে বসে শুধু পুরুষের একার দোষ নয়,নারীর ও দোষ আছে এসব যুক্তি দাড় করায় তারা ও সমান অপরাধী। এরা সব মানষিক ভাবে বিকলাঙ্গ!
আমরা তরুণ সমাজ কোন পথে এগোচ্ছি? দেশটা কে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি? আমরা কি পার্শ্ব দেশ ভারত কে ফলো করছি? দেশ ডিজিটাল করতে চাচ্ছি মানে কি ওয়েস্টার্ণ কালচারের মত লিভ টুগেদার ব্যবস্থা চালু করছি?!
প্রশ্নগুলো যার যার কাছেই থাক! উত্তর গুলো ও নিজেদের কাছেই রেখে দিন! কোথাও কোন অনৈতিক কর্মকান্ড দেখলে চোখ বন্ধ করে রাখুন! কোন মা-বোনের আর্তচিৎকার শোনা থেকে বিরত থাকতে কানে হেডফোন ব্যবহার করুন। আর হ্যা আশা করি পদ্ধতিগুলো যেন আপনার নিজের ফ্যামিলি মেম্বারদের ক্ষেত্রেও পালন করবেন!
আপু সমাজদের বলছি একটু সচেতন হোন! যে প্রেমিক রিলেশনে থাকাকালীন অবস্থায়ই আপনার শরীর চায় তাকে ছেড়ে দিন না! ভালোবাসা জীবনে একবারই আসে এই গাঁজাখুরি গল্প বিশ্বাসের কোন কারণ নেই। জীবনে ভালোবাসা বারবার আসবে। প্রথম প্রেম শেষ প্রেম বলতে কিছু নাই। প্রেম জীবনে বারবার আসবে আর সবগুলোই প্রথম প্রেম! একজনের লেজ ধরেই ঝুলে থাকতে হবে এরকম তো কোন কথা নেই!
আসুন আগে নিজেরা বদলে যাই,নিজেদের মনমানসিকতা বদলে দেই। তারপর নিজেদের কাছের মানুষদের পাল্টে দেই। কতটুকু সফল হই সেটা না হয় পরে হিসেব করা যাবে। ব্যবসা শুরু করার আগেই যদি লাভ-ক্ষতির চিন্তা করেন তাহলে তো ঝামেলা। আগে চেষ্টা তো করি। সফলতা তো সময়ের ব্যাপার।

(বি.দ্র. আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আমি মেয়ে জাতিদের উপরে উঠাতে চেয়েছি আর ছেলেদের নিচে নামাতে চেয়েছি এরকম ভাবার কোন কারণ নাই।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

আমি মুরগি বলেছেন: ভালবাসা কি?? দেহ নিয়ে নাচানাচি। দেহ নাই, ভালবাসা নাই। বিয়ের আগে আবার কিসের ভালবাসা? বিয়ে করুন মন ভরে ভালবাসুন। পবিত্র থাকুক আপনার ভালবাসা।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১

মাহাদী রনি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। বাট এই ব্যাপারটা কন্ট্রোল করা টাফ। আমি বা আপনি মানুষের এই প্রেমে পড়া বা ভালোবাসাটা কে আটকে রাখতে পারবো না। এটা সহজ কাজ না। বরং ভালোবাসার নামে যেন প্রতারনা কিংবা ছলচাতুরী না হয় সেটা কন্টট্রোল করাটাকে আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে। মন পরিবর্তনের চেয়ে মানসিকতা পরিবর্তন করা সহজ নয় কি? ভেবে দেখবেন প্লিজ। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.