নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

BE CHANGED AND CHANGE

মাহাদী রনি

আমি কর্মে বিশ্বাসী,আবার আমি ভোগী ও। আমার ভেতর ভালো কাজ করার প্রবণতা জন্মগত,প্রবণতাটা কিছু পাবার অাশায় মুখাপেক্ষী নয়। আমার ভেতর ধ্বংসের বীজও লুকিয়ে অাছে,ধ্বংস অামি করিও,তবে বিবেকের নির্দেশে ন্যায়ের স্বার্থে ধ্বংস করি। মানুষ হয়ে জন্মেছি সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে জানি,সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ত্রুটিহীন,অাদর্শ মানুষ আমি কোনদিন ও হতে পারব না,কারও পক্ষেই হওয়া সম্ভব নয় আর সেজন্য অামার ক্ষোভ আর যন্ত্রণার শেষ নেই...

মাহাদী রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিন বদলের চেষ্টা- ০৬

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

হাবিলদার:- স্যার কাহিনী হুনছেন?
অফিসার:- কি কাহিনী?
হাবিলদার :- কন কি স্যার? আপনে হোনেন নাই?
অফিসার:- তোমাকে না একদিন বলছি যা বলার ডিরেক্ট বলবা!
হাবিলদার :- সরি স্যার! কাহিনী হইলো গিয়া "মিনু জলিল রে এসিড মারছে।"
অফিসার:- তোমাকে ধরে...!
হাবিলদার :- থুক্কু স্যার!! "জলিল মিনু রে এসিড মারছে।"
অফিসার:- কোন জলিল?
হাবিলদার :- ঐ যে স্যার,নেতার ২ নাম্বার বউয়ের ভাইয়ের শালার ছেলের বন্ধু!
অফিসার:- অকা! চোখ কান বন্ধ করে খিচ মেরে থাকো। আমরা কিছু শুনি নাই।
এই হচ্ছে কাহিনী! এটা কোন সত্যি ঘটনা না। আমি জাস্ট নিজে লিখলাম। বাট চোখ মেলে একটু চারপাশে তাকিয়ে দেখেন, এরকম ঘটনা অহরহ হচ্ছে। অপরাধী রা অপরাধ করে নেতার নাম দিয়ে বেচে যাচ্ছে। ধর্ষণ, মার্ডারের মত বড় বড় অপরাধের কোন বিচার হচ্ছে না বলে এসব ক্রমশই বেড়েই চলছে। জানতে বড় ইচ্ছে হয় এসবের শেষ কোথায়?
লেখাটা পড়ে হয়তো অনেকেই পুলিশ বাহিনীর বাপ মা তুলে গালি গালাজ শুরু করবেন। আচ্ছা আসুন একটু চিন্তা করি। সব দোষ কি আসলেই পুলিশের? আমি বলবো,নাহ্। সরকার হচ্ছে এদের মা বাপ। যে সরকার যখন আসবে, যেভাবে বলবে এরা সেভাবেই চলবে। এরা ভালো থাকতে চাইলেও পারে না।আমার,আপনার মত এদের ও পরিবার আছে। প্রাণপ্রিয় বাবা,মা,স্ত্রী, সন্তান আছে। এদের হাত পা বাধা। এরা যাত্রার নট ছাড়া আর কিছু না। আপনি জাস্ট একবার ভাবুন,একজন পুলিশ অফিসার কে যদি একজন সংসদ সদস্য ফোন দিয়ে কোন একটা আদেশ দেয় তাহলে আমাদের দেশের পুলিশের মনে হয় না সেই ক্ষমতা আছে যে তারা সেই অর্ডার অমান্য করবে। আর এরকম অহরহই হচ্ছে। আমার বা আপনার কথাই ধরুন না। আমরা যদি গুরুতর কোন অপরাধ করেই ফেলি তাহলে আমাদের কয়জনের পরিবার আছে যে সেচ্ছায় আমাদের আইনের হাতে তুলে দিবে। বুকে হাত দিয়ে কয়জন বলতে পারবে বলুন? বেশিরভাগই যে পারবে না তার প্রমান দেখানোর কোন প্রয়োজন মনে করছি না,আপনারা নিজেরাই একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
অপরাধীর সঠিক বিচার চাই কথাটা শুধু মুখে না বলে আসুন বাস্তবেও প্রয়োগ করি। অপরাধী যখন অন্যের সন্তান হয় তখন ফাসির দাবী জানাই আর যখন আমার ভাই হয় তখন নেতা বা বড় কারো হাতে পায়ে ধরে তাকে বাচানোর চেষ্টা করি এরকম যেন না হয়।
এবার আসুন নেতা প্রসঙ্গে। আমি মুচি,কামার,নাপিত,মেথর এসব পেশার নাম শুনেছি কিন্তু নেতা পেশার তো নাম তো কখনো শুনি নি! নেতা আবার কি? নেতা কারো পেশা হতে পারে নাকি? শার্টের বোতাম খুলে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে হোন্ডায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো কিংবা দামী স্যুট টাই,পাঞ্জাবি পাজাম পড়ে কেতারদুরুস্ত সাজলেই কি সে নেতা হয়ে যায়??! আজিব!!
আফসুসের বিষয় এই যে আমার মত তরুন রা আজ এসকল নামের নেতার পা চাটছি। আমরা ভাবছি নেতা নামের ঐ সকল বিবেকহীন মানুষের ছত্রছায়ায় থাকলেই না জানি কি একটা পাওয়ার পেয়ে যাই,যেখানে সেখানে নিজের অাধিপত্য জাহির করতে পারি,একটা ভাব বাড়ে,ক্রাইম করতে পারি। আর এসবের সাথে সাথে আমরাই যে বাংলাদেশ সেই কথাটা ভুলে যাই। বিবেকবর্জিত হয়ে অন্যের পা চাটা কুকুরে পরিণত হই।
আজ আমরা কোথাও কোন অন্যায়, অপরাধ দেখলে মিথ্যা আফসুস করি,ক্ষণিকের জন্য গজগজ করি যে "ঐ অপরাধের কেন কোন সুষ্ঠু বিচার হলো না।" আহাাহাহা কত সুন্দর নাটক। এই বিচার ব্যবস্থা ততদিন ঠিক হবে না যতদিন পর্যন্ত না আমরা আমাদের নিজেদের অপরাধ কিংবা কাছের মানুষের অপরাধ গুলো সৎ সাহস নিয়ে নিজেরা প্রকাশ করবো। তাই আমি আবারো বলবো, ভিশন চেঞ্জ করেন। #BE_CHANGED_AND_CHANGE ...প্রথমে ক্রাইম করা থেকে নিজে বিরত থাকুন,কাছের মানুষগুলোকে বিরত রাখুন। আর যদি অপরাধ ভুলেও করে ফেলেন তখন তা স্বীকার করে নিন। আইন কে সহযোগীতা করুন।
আরেক টা দিক বলতে চাই। শুধু আমাদের চেঞ্জ হলেই কিন্তু এখানে হবে না। ঐ যে উপরমহলে যারা বসে আছে তাদের মনমানসিকতার ও পরিবর্তন করতে হবে। সেটা আদৌ সম্ভব কি না আমি জানি না। শুধু জানি যদি একবার জুডিশিয়ারি ডিপার্টমেন্ট কে আলাদা করা হয়,শুধু একবার যদি "আইন সকলের জন্য প্রযোজ্য" বাক্যটির যথাযোগ্য প্রয়োগ করা হয়,আমি গ্যারান্টি দিতে পারি বাংলাদেশে কোন ক্রাইম হবে না, কোন দুর্নীতি হবে না।
আসুন একটু বুঝিয়ে বলি। প্রতিদন টিভির পর্দায় কিংবা পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালে প্রচুর ধর্ষণ,মার্ডার সহ অন্যান্য অপরাধের দৃশ্য চোখ পড়ে। এরকম ক্রাইম চোখের বাইরে আরো হাজারো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা বাড়ছেই। কেন জানেন? কারন এসকলের কোন বিচার হচ্চে না।
আপনি বিশ্বাস করুন,সরকার যদি একবার জুডিশিয়ারি ডিপার্টমেন্ট কে আলাদা করে দেয়,একবার যদি আইন পাশ করে যে, "কোন ব্যাক্তি যদি প্রমান সহ খুন কিংবা ধর্ষন কেইসের অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয় তাহলে কোন কেইস নেই,কোন মামলা নেই, কোন বিচার নেই,তাদের ওপেন রাস্তায় ক্রসফায়ার করা হবে কিংবা পুরুষাঙ্গ কেটে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।আর এই শাস্তি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির ছেলের জন্য ও সমভাবে প্রযোজ্য হবে",তাহলে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো যে কয়েক মাসের মধ্যে দেশ থেকে এসকল ক্রাইম একেবারে উঠে যাবে।
বেশি না,জাস্ট ৬৪ টা জেলায় এরকম ৬৪ টা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহারণ তৈরি করলে এরপর থেকে কেউ একটা অপরাধ করতে গেলে হাজারবার ভাববে। জীবনের মায়া কিন্তু সবারই আছে।
হয়তো আমার এরকম কথা শুনে অনেক সুশীল সমাজের লোকেরা বলবেন শাস্তির নামে তো এসব বর্বরতা হয়ে যাবে। তাদের বলছি,আপনাদের উপদেশ নিজের কাছেই রেখে দিন। অপরাধীরা প্রতিনিয়ত যেসব অপরাধ করছে সেগুলো কি বর্বরতা হচ্ছে না নাককি তখন চোখে দেখছেন না? যাদের বিবেক আছে তারা জাস্ট একটু চিন্তা করে দেখেন আসলেই যদি ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট টা স্ট্রং করা হয় তাহলে আর কোন অপরাধ হবে না।
আমি জানি এসব শুধুই থিওরেটিক্যাল ব্যাখ্যা, প্র্যাক্টেক্যালি এরকম আদৌ সম্ভব না। জুডিশিয়ারি ডিপার্টমেন্ট কখনো ইন্ডিপেন্ডেন্ট করা হবে না। অপরাধী রা ইচ্ছেমত অপরাধ করবে আর উপর থেকে কেউ ফোন দিয়ে তার অপরাধ কে পুলিশের চোখে ঢেকে দিবে।ধর্ষিত কোন মেয়ের বাবা কখনো তার সুবিচার পাবে না কিংবা পিতা-মাতা হারা কোন সন্তানের কান্না কখনো কারো মন গলাবে না। শুধু আমাদের মাঝে ক্ষণিকের নাটকিয়তা সৃষ্টি করবে।
আমি স্বপ্ন দেখি নতুন এক বাংলার যেখানে অপরাধীর অপরাধের বিচার হবেই সে যেই হোক না কেন।। আমি স্বপ্ন দেখি নতুন এক প্রজন্মের, আমি স্বপ্ন দেখি তরুন প্রজন্ম কে একত্রিত হয়ে প্রতিটা অন্যায়ের বিচারের জন্য আন্দোলন করতে। আমি স্বপ্ন দেখি একটা সুপার হিউম্যান যে কিনা বদলে দিবে সব,বদলে দিবে আমাদের মানসিকতা,বদলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।। আমি জানি না এসব আদৌ সম্ভব কি না,আমি জানি না আমি আদৌ কিছু করতে পারবো কি না কারন আমার এসকল কথা হয়তো বুকের মাঝেই চাপা কষ্ট হয়ে ধীরেধীরে বাড়বে কিংবা ফেসবুকে শ'খানেক আবেগে তাড়িত ছেলে মেয়েদের মাঝে ক্ষণিকের চেতনা সৃষ্টি করবে। সময়ের সাথেসাথে এসব চেতনা আবার চাপা পড়ে যাবে। তবুও আমি বদলে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠবো আর রাতে ঘুমোতে যাবো, তবুও আমি বারবার বলবো,
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি"।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.